somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটু সুখবর নিয়ে ঘুমাতে যাচ্ছি :) । জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্যের মর্যাদা পেল ফিলিস্তিন

৩০ শে নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটু সুখবর নিয়ে ঘুমাতে যাচ্ছি। এত বড় একটা সুখবর বিবিসি, ডয়চেভেল, ভি ও এ এখনো আপডেট করে নি। রেডিও তেহরান কে ধন্যবাদ। আজকের ভোট নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। ফলাফল দেখে ভাল লাগছে । আলহামদুলিল্লাহ্‌ ।

নিজে লেখা কঠিন কাজ, কপি পেসট মেরে দিলাম >>

৩০ নভেম্বর (রেডিও তেহরান) : সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা পেয়েছে ফিলিস্তিন। বৃহস্পতিবার গ্রিনিচমান সময় রাত ১০টায় (বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর ৪টায়) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে বিপুল ভোটে এ মর্যাদা লাভ করে ফিলিস্তিন। এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের পক্ষে ১৩৮টি এবং বিপক্ষে মাত্র ৯টি ভোট পড়ে। এ ছাড়া, ৪১টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। যে ৯টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে সেসবের মধ্যে রয়েছে সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র আমেরিকা এবং ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। এ ছাড়া সাবেক উপনিবেশবাদী দেশ ব্রিটেন ভোটদানে বিরত ছিল।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি পাস হওয়ার ফলে ফিলিস্তিন ভ্যাটিকানের সমান মর্যাদা পেল বলে মার্কিন নিউজ চ্যানেল সিএনএন জানিয়েছে।

এর আগে ফিলিস্তিনের জন্য জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্যের আবেদন জানান স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেয়া এক ভাষণে তিনি এ আবেদন জানান।

মাহমুদ আব্বাসের ভাষণ টেলিভিশনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সরাসরি সম্প্রচারিত হয় এবং পশ্চিম তীরের রামাল্লায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পতাকা উড়িয়ে এবং উল্লাসধ্বনি দিয়ে তাদের আনন্দ প্রকাশ করেন। গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের এ আবেদনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

ব্রিটেন ছাড়া ইউরোপের অবশিষ্ট দেশগুলোর বেশিরভাগই ফিলিস্তিনের জন্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে।

মাহমুদ আব্বাস প্রস্তাবটি পাস হওয়ার আগে এ সংক্রান্ত ভাষণে সাধারণ পরিষদে উপস্থিত ১৯৩টি দেশের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, "আপনারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে 'জন্মসনদ' প্রদান করুন।" তিনি আরো বলেন, যেসব দেশ ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্যের মর্যাদা দেয়ার পক্ষে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

গাজা উপত্যকার নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর সাম্প্রতিক ইসরাইলি আগ্রাসনের কথা উল্লেখ করে মাহমুদ আব্বাস বলেন, গাজায় হাজার হাজার বার আগ্রাসন ও শত শত টন বোমাবর্ষণের ফলে যে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উপর ইসরাইলি দখলারিত্বের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে তা এখন আর আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে অস্পষ্ট নয়। অবিলম্বে এ দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে হবে। ফিলিস্তিনিরা জেরুজালেমকে (বাইতুল মোকাদ্দাস) রাজধানী করে একটি স্বাধীন দেশের চেয়ে কম কোনো কিছুতেই সন্তুষ্ট হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। মাহমুদ আবাস বলেন, ফিলিস্তিনিদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।

ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বলেন, একমাত্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে ফিলিস্তিন সঙ্কটের 'দুই রাষ্ট্রভিত্তিক' সমাধান সম্ভব। এ ভোটাভুটিকে তিনি 'শেষ সুযোগ' বলে বর্ণনা করেন। মাহমুদ আব্বাসের ভাষণ শেষ হলে উপস্থিত বিশ্ব প্রতিনিধিরা উঠে দাঁড়িয়ে বিপুল করতালির মাধ্যমে তার প্রতি সমর্থন জানান।

মাহমুদ আব্বাসের ভাষণের পর জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত রন প্রোসর ভাষণ দেন। তিনি দাবি করেন, জাতিসংঘে ভোটাভুটির মাধ্যমে নয়, বরং ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিন স্বীকৃতি পেতে পারে। তিনি বলেন, ১৯৯৩ সালে স্বাক্ষরিত অসলো চুক্তিতে এ কথাই বলা হয়েছে। কিন্তু ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তির পর গত প্রায় ২০ বছরে 'দ্বিপক্ষীয় আলোচনা'র মাধ্যমে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলিদের হাতে গণহত্যার শিকার হওয়া ছাড়া আর কি পেয়েছে সে সম্পর্কে প্রোসর কোনো মন্তব্য করেননি। এ ছাড়া, ভোটাভুটির মাধ্যমে ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা পাওয়ার পর জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান রাইস এক বক্তব্যে এ ঘটনাকে 'অগঠনমূলক' বলে বর্ণনা করেছেন।#

সূত্র :
রেডিও তেহরান/এমআই/৩০
১৫টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্যতার কলঙ্ক ইজরাইল

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৯ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৮

ইহুদিদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম তোরাহ। এটি ৫ টি পুস্তকের সমন্বয়ে গঠিত। ইহুদি এবং সকল একেশ্বরবাদীরা বিশ্বাস করে তোরাহ হচ্ছে প্রফেট Moses ( মুসা নবী ) এর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক থেকে ভালোবাসার পথে: আমার এবং মীমের গল্প

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ৩০ শে মে, ২০২৪ রাত ২:৩৭

## প্রথম অধ্যায়: অনলাইন থেকে অফলাইনে

ফেসবুকের পাতায় একটি সাধারণ দিন। আমি তখন নিউইয়র্কের ব্যস্ত শহরে বসে থাকি, চারপাশে মানুষের কোলাহল আর কাজের চাপ। হঠাৎ করেই ফেসবুকে একটি পোস্টে কমেন্ট করতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে প্রায় প্রত্যেকেই স্ব স্ব স্হান থেকে সমস্যার সৃষ্টি করেন।

লিখেছেন সোনাগাজী, ৩০ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮



শেখ সাহেব পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এসে ৩য় দিন ( ১/১২/১৯৭২) দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদটা তাজউদ্দিন সাহেব থেকে নিয়ে নিয়েছিলেন; ৯ মাস জেলের পর, উনার দরকার ছিলো কিছুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্যারিয়ার কথন: ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং এবং সর্তকতা।

লিখেছেন জাদিদ, ৩০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৪

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং, পেশা হিসাবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্মানজনক সামাজিক স্বীকৃতি পাওয়ায় অনেকেই এই পেশায় যুক্ত হয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এছাড়া বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে একজন মানুষকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজ মনটা কেমন যেন অনেক কিছু চিন্তা করছে।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ৩০ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



সকালের মৃদু আলোয় মোড়ানো একটি মনোরম দৃশ্য ধরা পড়েছে এই ছবিতে। এটি একটি খোলা জায়গা, যেখানে সবুজের সমারোহ এবং প্রকৃতির ছোঁয়া স্পষ্ট। ছবির বাম দিকে গাছের সারি এবং ডান... ...বাকিটুকু পড়ুন

×