হায়রে মানবতা!
আজও কেন তুমি
হতে পার না মানুষ?
কেন, কীসের স্বার্থে?
হিংসা-বিদ্বেষে হারিয়েছ
তোমার মানবিক হুশ!
কেন আজও?
মানুষ-মানুষে, হিংসা-বিদ্বেষে
হিন্দু-বৌদ্ধ-ইয়াহুদি-খ্রিস্টান
প্রযুক্ত আরও
শিয়া-ছুন্নী-কাদিয়ানী
কত কী নামে-মুছলমান!
মানুষ-মানুষে, দল-উপদলে
আজও কেন?
হেন ভেদাভেদ রবে!
কেন আজও?
তুমি হতে পার না মুক্ত
কেন আজও? রয়েছ
দল-উপদলে বিভক্ত
হিংস্র সাম্প্রদায়িকতায় মত্ত
বিষধর সর্প কিংবা
রক্তচোষা ড্রাকুলার শৃঙ্খলে যুক্ত।
একক মানবজাতের মাঝে
যুদ্ধ-বিগ্রহ, হানাহানি ত্রাসে
বিকশিত হবার আগে
কেন? স্তব্ধতা নেমে আসে
কুসুমকলির মত নিষ্পাপ
অবোধ নিরপেক্ষ শিশুর জীবনে!
হায়রে মানবতা!
কেন? পিছু ছুটছ মিছে
হেন পাশবিক ধর্মীয় বিভাজনে!
যদিও-
লক্ষ কোটি ভাগ্যকুলে
জন্মেছ তুমি মানুষ হয়ে!
অ-মানুষ হও তব কোন্ আক্বেলে?
স্রষ্টার প্রতিনিধি, মানবতা!
আশরাফুল মাখলুকাত তুমি!
কেন আজও? তব আছো ঘুমি!
ঘোষে মোর বুদবুদ
করে ফোঁস ফোঁস
মানবতা তুমি শোন
ফেরাও তোমার হুশ।
ফের যদি হতে চাও মানুষ।
রুখে দাঁড়াও তবে-
মানুষ-মানুষে, হিংসা-বিদ্বেষে
পরস্পরে দলাদলী, দু’নম্বরী প্রথা
তথা ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা।