somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমেরিকা পরমাণু বোমা মেরে চাঁদ উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল-আর কোথায় তারা বোমা মারবে !!

২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আমেরিকা ! আমেরিকা ! বিশ্বের অশুভ শক্তির নাম। তাদের কলঙ্ক এখন আর চাপা দেয়ার নয়। বিশ্ববাসীর কাছে সুস্পষ্ট। বিশ্বের দেশে দেশে মানবতার নামে গণতন্ত্রের নামে তাদের অমানবিক আচরণ এবং পরমাণু বোমা হামলার জুজুর ভয় তারা ছোট ছোট দেশগুলোর দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর তাদের দোসর ইসরাইল তো তাদের অপকর্মের দোসর সাথী। আমেরিকার কত বড় স্পর্ধা তারা চাদকেও পরমাণু বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। শেষ মেষ আর কোথায় তারা বোমা মারতে চায় ! ১৯৫০-এর দশকে পরমাণু বোমা মেরে চাঁদ উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল আমেরিকা।


ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময় মহাকাশ গবেষণা প্রতিযোগিতা নিয়ে নিজের শক্তি দেখানোর জন্য আমেরিকা এ জঘন্য পরিকল্পনা নিয়েছিল।


গোপন এ প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছিল 'এ স্টাডি অব লুনার রিসার্চ ফ্লাইট' এবং এর ছদ্মনাম ছিল 'প্রজেক্ট A119' তবে, এ প্রকল্প কখনই বাস্তবায়ন করা হয়নি।


মার্কিন এ পরিকল্পনায় তখনকার তরুণ গ্রাজুয়েট ছাত্র জ্যোতির্বিদ কার্ল স্যাগানকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। বিস্ফোরণের পর চাঁদের ধুলোবালি ও গ্যাস তৈরির প্রবণতা কি হবে তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল স্যাগানকে। ডেইলি মেইল এ গোপন পরিকল্পনার খবর ফাঁস করে দিয়েছে।


এ প্রসঙ্গে পদার্থবিদ লিওনার্দ রেইফেল বলেন, আমেরিকা মনে করেছিল- পৃথিবী থেকে পরমাণু বোমার এ বিস্ফোরণ দেখে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভীত হয়ে পড়বে। স্পুতনিক উতক্ষেপণের পর মার্কিন বিজ্ঞানীদের মনে এক ধরনের আস্থাও তৈরি হয়েছিল।


ওই পরিকল্পনার আওতায় অজ্ঞাত স্থান থেকে মার্কিনিরা একটি ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে পরমাণু বিস্ফোরক পাঠাতে চেয়েছিল এবং পরিকল্পনা ছিল, এ ক্ষেপণাস্ত্র দু'লাখ ৩৮ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে চাঁদের বুকে বিস্ফোরিত হবে। এ জন্য পরিকল্পনাকারীরা হাইড্রোজেন বোমার বদলে অ্যাটম বোমা ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। কারণ তারা মনে করছিলেন- হাইড্রোজেন বোমা ওই ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য অনেক বেশি ভারি হয়ে যাবে। তবে, মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা পরিকল্পনাটি বাতিল করে দিয়েছিলেন এই বলে যে, যদি এ মিশন ব্যর্থ হয় তাহলে পৃথিবীর মানুষের জন্য তা অনেক বেশি বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

রেইফেল জানান, সে সময়কার বিজ্ঞানীরা চাঁদের বুকে ভয়াবহ তেজস্ক্রিয়তার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:২১
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×