আমি আজ (২৪-১১-১২) সন্ধ্যায় রুশান কেমন আছে তা জানার জন্য রুশানদের বাসায় যায়।সাথে করে নিয়ে যাই আজকে সামুতে রুশানকে নিয়ে যে পোস্টটি স্টিকি করা হয়েছে,সেই পোস্টে যারা বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছে সেই মন্তব্যগুলো প্রিন্ট করে রুশানের আম্মুকে দেই।
রুশানের আম্মু মন্তব্য গুলো পড়ার সময় আমি খুব গভীর মনোযোগ দিয়ে রুশানের আম্মুকে লক্ষ্য করি।রুশানের আম্মু মন্তব্যগুলো পড়ার একপর্যায়ে তার দুচোখ দিয়ে অশ্রু নেমে আসে।
আসে।হয়তো তার চোখের এই অশ্রু এই ভেবে নেমে আসে যে সাড়া দেশের মানূষ তার ছেলের জন্য কিছু একটা করার চেস্টা করছে।
আমি তাকে বললাম আপনি শুধু মহান সৃস্টিকর্তার কাছে দোয়া করুন,যারা আপনার ছেলের জন্য কিছু একটা করার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছে তারা যেন সফল হয়।
আমি রুশানকে বলি রুশান তুমি কেমন আছো?
তার চটপটে উত্তর আমি এখন ভালো আছি।
তার বুকে হাত রেখে রুশান আমাকে বলে আমার এখানে ব্যাথা করে।আমি তাকে বলি তোমার বুকের ব্যাথা ভালো হয়ে যাবে,ও উত্তরে বলে আমার আম্মু বলেছে ব্যাথা ভালো হয়ে যাবে।
রুশানের আম্মুর কাছে ওর বর্তমান শারীরিক অবস্থা এখন কেমন জানতে চাই।রুশানের আম্মু বলে ডাক্তার বলেছে ও যেন ছুটাছুটি না করে বেশী ছুটাছুটি করলে খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়বে।
সাধারনত এই বয়সের একটা বাচ্চা ছুটাছুটি করবে এটাই সাধারন নিয়ম,কিন্তু রুশানের জন্য এই নিয়মটা এখন প্রযোজ্য নয়।
রুশানকে নিয়ে লেখা পোস্ট পড়ে ঢাকা থেকে গতকাল কেউ একজন কুরিয়ারে ওর জন্য ছোট একটা নোট বুক পাঠায়।যে পাঠিয়েছে সে তার নাম বলেনি কুরিয়ারে তার মোবাইল নাম্বার দিয়েছে।সাথে রুশানের নানুর মোবাইল নাম্বার দিয়েছে।
রুশানের আম্মু তার দেয়া মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের চেস্টা করে তাকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য কিন্তু সেই নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আমার মাধ্যমে সেই অদৃশ্য প্রেরককে রুশানের আম্মু আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে,আমি ব্লগের মাধ্যমে এই ধন্যবাদ তাকে পৌছে দিলাম।
বর্তমানে রুশান ঐ নোটবুকে বসে বসে কার্টুন দেখে,এর ফলে একটা লাভ হয়েছে ওর ছুটাছুটি এখন বন্ধ।
যা এই মূর্হতে ওর শরীরের জন্য খুব বেশী প্রয়োজন।আমি রুশান বাসায় যখন যাই রুশান তখন কার্টুন দেখার জন্য নোটবুক নিয়ে বসেছে।
ওর কয়েকটি ছবি তুলে আপাতত ওর কাছ থেকে এবং ওর আম্মুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসি।
আসার সময় রুশানের আম্মুকে বলে আসি চিন্তা করবেন না সব ঠিক হয়ে যাবে,আমার মাধ্যমে সে সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছে।
সে আগামী মাসে রুশানকে নিয়ে ঢাকা আসবে ডাক্তার দেখানোর জন্য তখন সে রুশানকে নিয়ে সবার সাথে দেখা করবে।
আলোচিত ব্লগ
ভণ্ড মুসলমান
ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?
মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আসবে তুমি কবে ?
আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন
(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )
একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন
কোথাও ছিলো না কেউ ....
কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।
আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন
#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়
আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন