ওয়েস্টার্ন ইম্পেরিয়ালিজম বা পশ্চিমা আধিপত্য এমন একটা পর্যায়ে আছে যেটা বহিরাগত কোন আঘাত - আক্রমনে পতন হবার নয়।
সামরিকভাবে অসম্ভব, কারন পারমানবিক বোমা আর প্রযুক্তিগত দিক থেকেও অসম্ভব, কারন সব আধুনিক টেকনোলজির সোর্স ওদের হাতে।
তাই পশ্চিমাদের পতনকামীদের জন্য রিল্যাক্স করা ছাড়া কোন পথ নাই।
তাই বলে কি এই অন্যায় অবিচারের আধিপত্য টিকে থাকবে?
না, সত্যের মির্তু নাই, তাই এই অন্যায় অবিচারের আধিপত্যের পতন নিশ্চিত।
২টা উপায়ে এই পতন হইতে পারে, একটা সেক্যুলার প্রেডিকশন আরেকটা রিলিজিয়াস।
পশ্চিমে যা হবে সেটা হলো সংস্কার, ভেতর থিকা সংস্কার, একটা সময় পশ্চিমে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করবে মানুষ, তখন তারা নিজেরাই নিজেদের খোল নলচে পাল্টানো সংস্কার করবে, এবং সংস্কারের অস্থির ও ননপ্রোডাক্টিভ সময়টাতেই অন্য কেউ নিয়ন্ত্রন গ্রহন করবে।
পশ্চিমা সমাজ উৎকর্ষের চুড়ান্তে পৌছে গেছে মাত্র কিছুদিন হলো, পরবর্তি ২টা জেনারেশনের ভেতর আর উৎকর্ষের চাহিদা থাকবে না, এখনই নাই, তাই শত্রু বধে ব্যাস্ত ওরা, আগামী কিছুদিন পর ওদের কোন শত্রুও থাকবে না। তখনই ওরা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে, এবং নিজ থেকেই এই অন্যায় অবিচার বন্ধ করার লক্ষ্যে সংস্কার প্রক্রিয়ায় হাত দিবে। সংস্কারে'র ফলে পশ্চিমারা যেই শুদ্ধ রূপে আসবে তার সাথে সাথে বর্তমান পশ্চিমের পতন হবে।
আরেকটা সম্ভাবনাও আছে, সেটা হলো কূটনীতি'র ভাষায় মিউচুয়াল এ্যাসিউর্ড ডিস্ট্রাকশন ওরফে ম্যাড আর ধর্মীয় ভাষায় কেয়ামত।
পারমানবিক এই যুগে সত্যিকার অর্থের একটা যুদ্ধই পারে পুরা বিশ্ব ধ্বংস করতে। যা ৮০ বছর আগেও সম্ভব ছিল না, এর সাথে জেরুজালেম কেন্দ্রিক বিশ্ব রাজনীতির যে আশ্চর্য্য ধারা তৈরী হইছে, এর সাথে রিলিজিয়াস প্রেডিকশন মিলাইলে দেখা যায়, একটা পারমানবিক যুদ্ধ ঠিক ঠিক "মাথা'র এক বিঘত উপরে সূর্য নেমে আসা"র এবং বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের সাইরেন এর আওয়াজ ঠিক ঠিক ইস্রাফিলের শিঙ্গা'র আওয়াজ রূপে আবির্ভুত হইতে পারে।
যার ফলাফল পৃথিবীর সাথে সাথে পশ্চিমা বিশ্বেরও পতন!!!