টেলিটক কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে ঢাকা শহরের ঠিক বাইরে আমার অবস্থানে থ্রিজি কাভারেজ আছে কিনা তা জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হলাম। থ্রিজির জন্য ১০০ টাকা দিয়ে পুরনো সিম রিপ্লেস করতে হলো। তারপর টেলিটকের মহান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত গলাকাটা চার্জ ৫০০ টাকা দিয়ে থ্রিজিতে মাইগ্রেশন করলাম। এতো কিছুর পর যা পেলাম তার নাম GPRS! কানেক্ট করে দেখি স্পিড ২ থেকে ৪ কিলোবাইট পার সেকেন্ড! ছবিতে দেখুন ফোনের নেটওয়ার্কের বারে কতো সুন্দর EDGE আইকন ‘E' শোভা পাচ্ছে! আমি কি কাঁদবো না হাসবো?
টেলিটকের যে কাস্টমার কেয়ার নম্বর রয়েছে ওটাতে ফোন করলে কেউ রিসিভ করে না। আমি জিপি-বাংলালিংক দিয়ে যাহোক ব্রাউজ করতে পারতাম। এটাতে দেখছি কোন পেজই লোড হচ্ছে না। কানেক্ট করতেও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে। ঢাকার ভেতরে ঢুকলে ফোনে ঠিকই থ্রিজি কাভারেজ পাচ্ছি কিন্তু আমার বাড়িতে এলে আর থ্রিজি পাচ্ছি না। ফোনের নেটওয়ার্ক এজ কাভারেজে চলে যাচ্ছে এবং টেলিটকের এজ কাভারেজে গতি ২ থেকে ৪ কিলোবাইটের বেশী ওঠছেই না। মেজাজ পুরো খারাপ। এভাবে চলে গেল দুদিন। তারপর হঠাৎ খেয়াল করলাম ফোনটা জানালার কাছে রাখলে মাঝে মাঝে ফোনের নেটওয়ার্কে বারে ২/১ দাগ থ্রিজি সিগনাল দেখাচ্ছে। এটা দেখে ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংসে ডুয়াল নেটওয়ার্ক পরিবর্তন করে শুধুমাত্র UTMS করে দিলাম। আর ফোন ঝুলিয়ে দিলাম জানালার সাথে!
এবার থেকে ফোনে থ্রিজি সিগনাল পেতে শুরু করলাম! তবে যেখানে এজ কাভারেজে পূর্ণ সিগনাল থাকে, সেখানে থ্রিজিতে থাকছে ১টি বা ২টি সিগনাল বার! এই এক দুই সিগনাল বার সিগনাল স্ট্রেন্থ দিয়েই ৩০ থেকে ৩৫ কিলোবাইট পর্যন্ত ডাউনলোড স্পিড ওঠেছে যদিও অধিকাংশ সময়ে স্পিড থাকছে ১২ থেকে ১৫ কিলোবাইটের মধ্যে! সম্ভবত নেটওয়ার্ক কাভারেজ কম এটাই স্পিড ওঠানামা করার বড় কারণ। আর এভাবেই জানালার সাথে ফোন ঝুলিয়ে দিয়ে এখন টেলিটকের বহু আকাঙ্খিত থ্রিজি ব্যবহার করছি! আহারে কতো সাধের থ্রিজি! যেখানে জিপির মেজাজ ভালো থাকলে এজ দিয়েই ৩৫ কিলোবাইট ডাউনলোড স্পিড পাওয়া যায়, সেখানে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে পাচ্ছি ৩৫ কিলোবাই ডাউনলোড স্পিড!!