ঢাকার প্রায় প্রতিটি রাস্তায় এখন এক ধরনের ঠাণ্ডা পানীয় পাওয়া যায় । একটি ঠেলাগাড়িতে একটি পানি পরিশোধণকারি ফিল্টার, তাতে বরফ আর লেবু নিয়ে বসে থাকে হকার । প্রতি গ্লাস "শরবত" মাত্র পাঁচ টাকা । তাতে দেয়া হয় কথিত বিশুদ্ধ পানি ( বাস্তবে মোটেও বিশুদ্ধ নয়, ফিল্টারটি ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করলেই কিছুটা বুঝবেন । পানি কোথা থেকে আনা হয় সেটা নাহয় নাই দেখলেন!পানি যা হোক বরফ নিশ্চয় বিশুদ্ধ পানির না। মাছ রক্ষাকারী বরফ কতই বা বিশুদ্ধ হবে?), সেই পানিতে লেটি লেবুর চার ভাগের এক ভাগ ডোলে রস বানিয়ে দেয়া হয়, আর দেয়া হয় একটু বিটলবণের ছিটা । ঘাম ঝরানো এই প্রচণ্ড গরমে ঠাণ্ডা হতে গিয়ে সস্তায় অনেকেই এই "শরবত" খায় । খরচ নাই ৩ টাকা, বিক্রয় হয় ৫ টাকায় । চরম অস্বাস্থ্যকর । খেলে নিশ্চিত ক্রিমি অথবা পেটে সমস্যা হবে ।
আপনাকে খেতে মানা করছি না । শুধু একবার ভেবে দেখুন, ৫ টাকার এক গ্লাস শরবত খেয়ে পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বারবার টয়লেটে দৌড়ানো, ক্ষুধামন্দা আর হাজার টাকার ঔষধ খেতে প্রস্তুত আছেন তো? যদি না থাকেন, তাহলে এসব "নিম্বুপানি" খাওয়া বাদ দিয়ে বাড়ি থেকে পানি সাথে নিয়ে বের হন । পথে তেষ্টা পেলে পান করবেন ।
ওদিকে ঠাণ্ডা জুসও খাওয়ার জো নেই । গতকাল একুশের অখিল পোদ্দারের রিপোর্ট দেখার পর কি যে খাবো, আর কি যে খাবো না, তা নিয়ে আমি নিজেই চিন্তায় আছি! হায়রে ভেজাল! হায়রে মানুষের সততা!