somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অদ্ভূত ঘুম

০৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিস্তি ৪৭:

বদলে যাওয়া সময়ের সাথে অনেক কিছুই বদলাতে থাকে। যেমন আমিও বদলে গেছি। তবে এসএম হল এখনো বদলায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ হলটি ঘিরে আছে আমার অনেক স্মৃতি। রাত জেগে আড্ডা আর অনেক দিন ঘুমিয়ে কাটিয়েছি এখানেই। খাবারের জন্য পর্যন্ত বাইরে যেতে হয়নি। এসএম হলের বিশাল মাঠ। ভেতরে বাইরে সবখানে খোলামেলা। এই হলে থাকতো আমার বন্ধু শামীম, তৌহিদ ও দানেশ। প্রথম দুজন সাংবাদিক, বাকিজন ছাত্র নেতা।
এই হলে যার সাথে আমার বেশি আড্ডা চলতো তিনি সাইমুম ভাই। মজার মানুষ। এ রকম আনন্দময় মানুষ আমার চোখে কম পড়েছে। ছাত্রদলের এই নেতা সব সময় আন্তরিকতার সাথেই কথা বলেন, সে সময়ও বলতেন। আমরা বহু রাত আড্ডায় এক সাথে কাটিয়েছি।
এই আড্ডায় হেন বিষয় নেই যে তা উঠে আসত না, তবে রাজনীতির চেয়ে ছেলেরদের আড্ডায় যে ধরণের আলাপ হয় সেগুলো বেশি হতো। সাইমুম ভাইয়ের একটা অসাধারন গুণ হলো মানুষকে হাসাতে পারতেন। এখনো পারেন ,নিশ্চয়। তবে সে রকম আড্ডা এখন আর দেয়া হয় না। কারণ আমরা এখন সবাই বিচ্ছিন্ন। সাইমুম ভাইয়ের সাথে আড্ডা আনন্দটা আমি এখনো মিস করি।

ক্যাম্পাস লাইফে শামীম এবং আমি, বেশ আড্ডা দিতাম। অনেক রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে থাকতাম। শেষ রাতে হলে ফেরা। বেশির ভাগ সময় এসএম হলেই থাকা হতো। এভাবেই বেশ চলছিলো। ক্যাম্পাসে আমার দীর্ঘ ঘুমের স্মৃতি এসএম হলে। আমরা একদিন রাতে ঘুমালাম, পরদিন সন্ধ্যায় উঠে সিরাজের দোকান থেকে খাবার এনে খাইলাম। আবার ঘুম। তার পরের দিন উঠলাম। ভালই ছিল আমাদের সে সময় গুলো।

শামীমের সাথে আমার পরিচয়টা ক্যাম্পাস লাইফের মাঝামাঝি সময়ে। ২০০২ সালের দিকে মহসিন হল শিশির ভাইয়ের হাতছাড়া হয়ে যায়। সে দিনই ওর সাথে আমার পরিচয়। ওরা কয়েকজন হলের সামনে নোটবুক হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে বসে সময় কাটাচ্ছে। সে সময় আমাকে একজন পরিচয় করিয়ে দিলেন শামীমের সাথে। সে সময় ও আল আমিন পত্রিকায় কাজ করতো। পরে ইনডেপেনডেন্ট হয়ে এখন রেডিও টুডেতে কাজ করছে। শামীমকে আমি খুব যৌক্তিক ছেলে মনে করি, কিন্তু কোথাও কোথাও যে সে আবার গোল্লা মেরেছে সেটি সামনের কোনো এক কিস্তিতে বলবো।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×