somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাগের ০০৭ নং কেদারামানবের পৌরাণিক স্বপ্ন B-)B-)B-)B-)B-)B-)B-)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগের তামাম পাব্লিকের মাঝে লুলকাহিনীর জোয়ার বওয়াইয়া দিয়া একদিন ঘুমের মধ্যে দোচালা পদ্মা সেতুর স্বপ্ন দেখতেছিলেন আমাদের সাত নং কেদারামানব । তিনি বুঝতে পারেননি আসলে কেমতে এই দোচালা পদ্মা সেতু আইয়া হাজির হৈল। তিনি কিঞ্চিত মস্তিষ্ক ভার অনুভূত হওয়াতে দুহাত জাগাইয়া তথাস্থানে হাত বুলাইলেন। তিনি সহজেই বুঝিয়া গেলেন সামথিং ঘাপলা ঘাপলা। এইডা নিশ্চিত সামু বোলগা না। এইখানে চুদুরবুদুর কইল্লে নির্ঘাত কল্লা ফালাইদিবে। নয়তো ঐ বিশাল পাইলিং এর হাতুড়ি সাইজের মুগুরের ঘা দিয়া পুরা দেহ কদবেল ছেচা কৈরা ফালাইবে।

ব্লগের সাত নং কেদারামানব ভাবিলেন এই সব চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে সবার আগে পেটের দিকে নজর দিলেন। তিনি বুঝলেন অঙ্গুলিবনে প্রবেশ করে চামে দুই এক কাদিঁ কদলী সাবাড় করিলেই পেটখানি পোয়াতি মাইয়্যাদের মতো কইরা ফালান যায়। লগে ৩২ নং গুদাম ঘরের দরজায় এক লাখ শেয়ালের হুয়া হুয়া বন্ধ হৈয়া যাইবেক। চামে কেউ যদি তাতে মুগুর লৈয়া ছ্যাচা দিতে আসে বিশেষ করে সামুর কুনো কুনো ব্লগার যদি যদি আমার লগে এইখানে আইয়া পড়ে। হ্যাতে এমুন কিছু পাব্লিক আছে যারা মহানায়ক জলন্ত জলিলরে পর্যন্ত ছ্যাচা দেয়। আমি সামান্য কেদরামানব একটা আর এফ এর চেয়ার আর মমতাজ আফার ঝাঝালো এড বাদে কিছুই দেখি পাই নাই এই জীবনে। যদিও দুই একটা মাইনস্যের ঘরের জরু-গরু-ছাগু-মুর্গা সহ কি হাবিজাবি সব মাল হননের কথা দুষ্টু লোকে কৈয়া থাকে। যাইহোক প্যাটটা যদি পোয়াতি মাইয়্যার মতোন ফুলানি যায় ডাইরেক্ট কইয়া ফালান যাইবে প্যাটে ওঁয়া ওঁয়া আছে। আব্বে হালা বাড়ি দিছনি তর আব্বার দুহাই লাগে।


একটা পিটালি গাছে নিচে শিকড়ের উপর মাথা দিয়া হুইয়া কি জানি ভাবতেছিল আমাগের ৭ নং কেদারামানব। লুঙ্গিটা অনেকটা উপরে উইঠা আছে তার। দুই পায়ে দুই রকমের সেন্ডেল দেইক্কা এই সময় অনেক দুক্কু হৈল। কুতায় আমার আর. এফ. এল এর চেয়ার। কুতায় আমার জলহস্তীতুল্য মুমতাজ আফা। হটাৎ সম্বিত ফিরা পাইলো সে। একবার চোখ মুছলো। পাশথেকে দুইটা নারী সানি লিওনের মতো স্টাইল লৈতেছে। এইবার আস্তে আস্তে কেদারা মানব তার জগৎ বুইঝা লৈতে শুরু করছে। পকেট হাতড়াইয়া ম্যাচ আর বিড়ি বাইর কৈরা সবে আগুন লাগাইতে গেছে হটাৎ আইয়া হাজির হৈল চিত্রাঙ্গদ ও বিচিত্রবীর্য। কয় কাগু আরা আন্নের লগে থাকিতে চাই। শুধু এই চখামিস্টিক আগুন শলা টানিতে দিলেই হবে। কেদারা মানবও ছাড়ার পাত্র নন। তিনি কহিলেন ঐ বেটা আমি কেদারায় বসার আগে মানুষকে সিলিম সিলিম শুকনা খাওয়াইছি, লগে ঐডাই দিছি। তয় এই বেনের পোলার আট টেকা দি কিনা ঝাক্কাস বিড়ি আঁর ইস্টেটাস এর লগে যায়। ইডা চাইলে থ্যাবড়া দি খাম করি ফালামু।

রাজপুত্র চিত্রাঙ্গদ আর বিচিত্রবীর্য এতে যারপর নাই বিরক্ত হৈল। তারা কৈল ওরে বেডা এইডি সামু বোলগ না। আর আমরাও বোলগার না যে তুই বেডা চামে যা কৈবি তাই মোরা শুনমু। ক এই বেনের পোলার পেকেট আর আকিজ এর আগুনের বাক্স দিবি নাকি ? আমাগো কেদারামানবও নাছোড়বান্দা। হ্যাতে কৈল ঐ বেটা এই তরে দিমু অহন ক তুই তোরে কি দিবি। বিচিত্রবীর্য এরশাদ চাচার শীতকালে দেয়া মেরিল লিপজেল টাইপের ভেটকি দিল। কি কৈল হেইডা বুঝতে অপারগ চেয়ারম্যান হাতের মধ্যমা অঙ্গুলি প্রদর্শন করাইলো। কিন্তু তারা এর অর্থ বুঝিতে পারিল না। হটাৎ কৈরা চটের পেন্টুলুন খুইলা সুসু করা শুরু কৈরা দিল। চেয়ারম্যান মেজাজ খ্রাপ কৈরা আবার মধ্যমা অঙ্গৃলি প্রদর্শন করিতে গিয়াও থমকে যায়। চোখ যায় তার আলবালের দিকে। সেখানে কাশীরাজের তিন কন্যা গাড়ের গোড়ায় পানি ঢালতেছে। কেদারামানব ভাবিল হায়রে সামুর ফেমিনিস্ট ব্লগাররা কুতি। এখানে আইলে তো তারা অস্থির একটা পুস্ট লিখতে পারতো। পুস্টে কত্ত হিট হৈতো। চাইকি ঐ পুস্ট ইস্টিকি হৈতো।


বিধি বাম :P
কুনহানথাইক্যা আইয়া ঐ বিচিত্রবীর্য বেডায় কাশীর রাজার তিন মাইয়্যাকে একলগে বিয়া কইত্তে চাইলো। কেদারামানব মারাত্ম বিরক্ত হৈলো। সে ভাবিল সামু বোলগে সে এদ্দিন জানিয়া আইছে খেজুরদেশীয় খবিসরাই একাধিক বিবি লইয়া মানবতার পুঙ্গি বাজায়। কিন্তু এই হালায় তো দেহি আরো বেশি হ্রামি। একলগে তিন ভইনরে বাগানোর চেষ্টা কইত্তেছে। সাহস কতো। অসাবধানবশত কেদারামানবের গাল থেকে দুই তিন ফোটা লালা ঝলে পড়ে। সে নিজেকে হারিয়ে ফেলে ভীষ্মের মাঝে।

লাফ দিয়ে পড়ে একটা চার ঘোড়ায় টানা রথে। এরপর গাইতে থাকে ....
:)
পাইছি বউ লগে দুইডা শালী,
সত্যিই মোটে আধসের এতো লালী,
দিমুনা শ্লা তরে কুনু বিড়ি,
কিনমু মুড়ি লগে ঠোঙ্গা ফ্রি,:D

এরপর পর্দা সরে যায়। কেদারা মানব দেখেনে তার পশ্চাৎদেশের নিচে কুনো আর, এফ এল এর চেয়ার নেই। তিনি ভীষ্মও নন। তিনি বইয়া আছে কম্পুটারের সামনে। আধপোড়া সিগারেট তার জিন্সে তিনটা পোড়া ছিদ্র বানাইয়া ফালাইছে। তিনি আসলে দোচালা পদ্মা সেতু হিসেবে কম্পুটার টেবিলের পাশের বইয়ের র‌্যাকটাকে নাড়িতেছিলেন। ঠান্ডা হওয়া কফিকাপটা পড়ে আছে মেঝেতে। এই সময় কেউ যদি তাকে দেখে পরিষ্কার ফগা ফাইন। আমাদের কেদারা মানব দ্রুত বেসিনে গিয়ে গাল থেকে ঝরা লাল মুছতে যান। লগে পেন্ট বদলাইয়া একটা বাংলার সেরা পোশাক লুঙ্গি পরেন। এরপর ভালকরে হাত মুছতে গিয়ে কেমন যেনো তেলতেল ভাব অনুভব করেন। ছি ছি সন্ধায় পুরি খাইছিলাম, বাল্ডা অহনো মুছি নাই। পরক্ষণে আবার তিনি হারিয়ে যান কোন এক যুগে। হাতের তেল তেল অনুভূতি তাকে মনে করিয়ে দেয়। একসময় তিনি ছুডো ছিলেন। ঐ সময় এই রকম তেল পানিতে ধুইয়া তিনি ফুটকা উড়াইতেন। কিন্তু সময় পাল্টাইছে। তার ঐ প্রিয় ফুটকাগুলাতে মাইষ্যে কি জানি করে আর দ্যাশের মুন্ত্রি মিনিস্টার আর সাংসদরা ঐগুলা উড়াইয়া অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে। তখন মনের অজান্তেই চোখ থেকে এক ফোটা পানি ঝরে পড়ে কেদারামানবের। ধুর ঐ মহাভারতের যুগেই আমি ভালো ছিলাম। হ্লার বিচিত্রবীর্যরে ছটকাইয়া একটা বউ জুটাইছিলাম, লগে দুইডা শালি। ধুর্বাল এই শ্লার মশা। আমারে কইত্তন কৈ লৈ আইলো। আর শ্লার অর্ণব না জানি কুন হালা আমার ইজ্জতডারে এক্কের ফগাফাইন করি দিল। তরে খাইছি.......................



সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪০
৩৯টি মন্তব্য ৩৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গাজার যুদ্ধ কতদিন চলবে?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার আগে মহাবিপদে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু৷ এক বছর ধরে ইসরায়েলিরা তার পদত্যাগের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন৷ আন্দোলনে তার সরকারের অবস্থা টালমাটাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্যামুয়েল ব্যাকেট এর ‘এন্ডগেম’ | Endgame By Samuel Beckett নিয়ে বাংলা ভাষায় আলোচনা

লিখেছেন জাহিদ অনিক, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮



এন্ডগেম/ইন্ডগেইম/এন্ডগেইম- যে নামেই ডাকা হোক না কেনও, মূলত একটাই নাটক স্যামুয়েল ব্যাকেটের Endgame. একদম আক্ষরিক অনুবাদ করলে বাংলা অর্থ হয়- শেষ খেলা। এটি একটা এক অঙ্কের নাটক; অর্থাৎ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রায় ১০ বছর পর হাতে নিলাম কলম

লিখেছেন হিমচরি, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

জুলাই ২০১৪ সালে লাস্ট ব্লগ লিখেছিলাম!
প্রায় ১০ বছর পর আজ আপনাদের মাঝে আবার যোগ দিলাম। খুব মিস করেছি, এই সামুকে!! ইতিমধ্যে অনেক চড়াই উৎরায় পার হয়েছে! আশা করি, সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

পজ থেকে প্লে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

লিখেছেন বন্ধু শুভ, ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৫


.
একটা বালক সর্বদা স্বপ্ন দেখতো সুন্দর একটা পৃথিবীর। একজন মানুষের জন্য একটা পৃথিবী কতটুকু? উত্তর হচ্ছে পুরো পৃথিবী; কিন্তু যতটা জুড়ে তার সরব উপস্থিতি ততটা- নির্দিষ্ট করে বললে। তো, বালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামে ভুল থাকলে মেজাজ ঠিক থাকে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৫


বেইলি রোডে এক রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে একজন একটা পোস্ট দিয়েছিলেন; পোস্টের শিরোনামঃ চুরান্ত অব্যবস্থাপনার কারনে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডকে দূর্ঘটনা বলা যায় না। ভালোভাবে দেখুন চারটা বানান ভুল। যিনি পোস্ট দিয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×