somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলা ছবি "কোটি টাকার রিকশাওয়ালা"

২২ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শাকিব খান একজন রিকশাচালক। ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারানো শাকিব বড় হয়েছে বস্তিতে। চৌধুরী সাহেবের লোকেরা কিছুদিন পরপরই বস্তিতে আসে উৎপাত করতে। বস্তির দখল নিতে। কিন্তু শাকিব থাকতে গরীবের বস্তি দখল নেবে এই সাধ্য কার? চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফাতের ভাষায় তাই রিকশাচালক শাকিব হচ্ছেন গরীবের প্রান ভোমরা।

এই দুনিয়ায় শাকিব খানের আছেন বলতে বস্তির এক রহমত চাচা। রহমত চাচার একমাত্র মেয়ে ময়ূরী শাকিবকে প্রান দিয়ে ভালবাসে। কিন্তু দুষ্টু প্রকৃতির ময়ূরী শাকিবকে বড়ই বিরক্ত করে। কিন্তু শাকিব ময়ূরীকে বিশেষ পাত্তা দেয়না।

আর পাত্তা দেবেই বা কেন? সেই সময় কি আর শাকিবের আছে? প্রতিদিন সকালে রিকশা নিয়ে বের হয় শাকিব আর ফেরে সেই রাতে।

যাই হোক, একদিন শাকিব রিকশা নিয়ে বের হয়েছে গুলশানে। হঠাৎ এক বড়লোকের মেয়ে অপু বিশ্বাস ডাকে শাকিবকে। অপু ধানমন্ডি যাবে।

অপুকে দেখেই তার প্রেমে পড়ে যায় শাকিব। রিকশা চালাতে চালাতে মনের মধ্যে অপুকে নিয়ে গানের সাথে নাচে শাকিব।গান শেষ হতেই শাকিব রিকশা নিয়ে ধানমন্ডি পৌঁছান, অপুর ভার্সিটির সামনে। অপু টাকা দিয়েই চলে যান। শাকিবের দিকে ফিরেও তাকায়না।

এভাবে প্রতিদিন শাকিব অপুর ভার্সিটির সামনে এসে দাড়িয়ে থাকে। ক্লাস শেষে অপুকে বাসায় দিয়ে আসে। ভাড়া নিতে না চাইলেও অপু জোর করে শাকিবের গাল টিপে ‘দুষ্টু’ বলে ভাড়া দেন।

শাকিব সিদ্ধান্ত নেয় আর না। এবার তাকে ভালবাসার কথা বলতেই হবে। কিন্তু ভালবাসার কথা অপুকে জানাতেই অপু রেগে যান। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি তোমাতে আমার ভাল বন্ধু মনে করেছিলাম। তাই তোমার রিকশায় আসতাম। কিন্তু তোমার মন এতো নিচ। ছিঃ!! অপুর ভাবতেও লজ্জা লাগে যে এই শাকিবকে তিনি তার ভাল বন্ধু ভাবতেন।

মন ভাঙলেও আশা ভাঙ্গেনা শাকিব খানের। তিনি প্রতিদিন রিকশা নিয়ে অপুর ভার্সিটির সামনে দাড়ায়। কিন্তু অপু এখন আর শাকিবের রিকশায় ওঠেনা।

রিকশায় উঠলেও শাকিব প্রতিদিন অপুর রিকশার পিছন পিছন রিকশা চালিয়ে যান। যদি একনজর দেখা যায়!

একদিন গুন্ডারা অপুকে মাইক্রোতে করে তুলে নিয়ে যায়। শাকিব রিকশা নিয়ে মাইক্রোর পিছনে ধাওয়া করে। তারপর গুন্ডাদের ধরে এমন মাইর দেয়, গুণ্ডারা পালিয়ে বাঁচে।

অপু তার ভুল বুঝতে পারে। শাকিব খান আসলেও তাকে অনেক ভালবাসে। অপু শাকিবের ভালবাসায় সম্মতি দেয়।

এইভাবে আরও দুই একটা গানের পর অপু শাকিবকে তার বাসায় নিয়ে আসে ড্যাডের সাথে দেখা করানোর জন্য। অপুর ড্যাড হচ্ছেন চৌধুরী সাহেব যিনি শাকিবদের বস্তি দখল নিতে চান।

চৌধুরী সাহেব রিকশাচালক শাকিব খানের সাথে তার একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিতে প্রথমে অস্বীকৃতি জানান। চরম অপমান করে এক পর্যায়ে এক শর্তের বিনিময়ে শাকিবের সাথে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হন। শর্ত হচ্ছে এক মাসের মধ্যে শাকিবকে এক কোটি টাকা এনে দিতে হবে।

শুরু হয় বাংলা ছবির সেই বিখ্যাত সংলাপ।

‘চৌধুরী সাহেব, আমি গরীব হতে পারি কিন্তু মনে রাখবেন আমারও স্ট্যাটাস আছে। আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি যেভাবেই হোক একমাসের মধ্যে এক কোটি টাকা আপনার পায়ে ছুড়ে দিয়ে আমার ভালবাসা অপুকে নিয়ে চলে যাবো। আমি হচ্ছি গরীবের সন্তান।’

শাকিব চলে গেলে চৌধুরী সাহেব অপু বিশ্বাসকে তার রুমে আটকে রাখেন।

এই এক মাস শাকিব দিন রাত ২৪ ঘন্টা রিকশা চালিয়ে ১ কোটি টাকা যোগাড় করে ফেলেন। তারপর সেই টাকা চৌধুরী সাহেবের পায়ে ছুড়ে দিয়ে অপুকে নিয়ে বস্তিতে চলে আসেন।

শুরু হয় নতুন ঝামেলা। ময়ূরী কিছুতেই শাকিবকে অন্যের হতে দিতে চায়না। এর মাঝে চৌধুরী সাহেব তার দলবল নিয়ে বস্তিতে আসেন। শাকিব এক কোটি টাকা দিয়েছে বলে কি নিজের স্ট্যাটাস বিক্রি করে দিতে হবে নাকি?

শুরু হয় শেষ মারামারি। এক পর্যায়ে চৌধুরী সাহেব শাকিবের দিকে গুলি ছুড়লে ময়ূরী ঝাপিয়ে পড়ে নিজের জীবন দিয়ে শাকিবকে রক্ষা করেন। কিন্তু এবার? শাকিব দৌড়ে ছুটে যান চৌধুরী সাহেবের দিকে। ইচ্ছা মতো কিলিয়ে ভর্তা বানানোর পরে তিনি পিস্তল দিয়ে চৌধুরী সাহেবকে গুলি করতে যাবেন ঠিক এমন সময় পুলিশ অফিসার প্রবীর ঘোষের আগমন।

‘আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।’

শাকিব বন্দুক ফেলে ময়ূরীর দিকে ছুটে যায়। শাকিব-অপুর কান্নাকাটির মাঝে ময়ূরী ১০ মিনিটের একটি সংলাপ দিতে দিতে মারা যাবেন। প্রবীর ঘোষ ময়ূরীর চোখ বন্ধ করে দেবেন।

এরপর দেখা যাবে অপুকে নিয়ে শাকিব গান গেয়ে গেয়ে রিকশা চালিয়ে যাচ্ছেন গুলশানে।
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭



অনেক দিন পর আমি আজ এই হোটেলে নাস্তা করেছি। খুব তৃপ্তি করে নাস্তা করেছি। এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা। ঠিকনা: ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডম ভবেরচর, গজারিয়া, মন্সীগঞ্জ। দুইটি তুন্দুল রুটি আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭


জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×