আমি যদি খুনী হই, তাহলে সমাজ আমার বিচার করবে। আর যদি কেউ খুন করতে দেখে তাহলে সে সাক্ষী হয়ে উক্ত বিচারকে গতিশীল করতে পারবে !
যদি শুধু চোখে দেখে নয়, কেউ তা গোপনে ক্যামেরায় ধারণ করতে পারে, তাহলে তো বিচার প্রত্যাশীদের বিচার পেতে দেরী হবার কথা নয়! প্রমানাদি তো চোখের সামনেই থাকবে।
আচ্ছা আমি খুন করে যদি সে খুনের দৃশ্য নিজেই খুনী ব্যক্তির সম্মতিতে ক্যামেরায় ধারণ করি তাহলে ব্যপারটা কেমন হয় ?
না, যাকে খুন করব সে খুন করতেই বা সম্মতি দেবে কেন, আর ক্যামেরায় ধারন তো দূরের কথা !
না সম্মতি দিবে, শর্ত হলো নিশ্বাস ত্যাগের খুন করা যাবে না, দু’জনার নিশ্বাস উষ্ণ করার খুন করতে হবে, আর সেটা সম্ভব হবে দু’জনারই বিবেক কে নির্বাসনে পাঠিয়ে !
হ্যা এবার (যাকে খুন করা হবে) সে ভীষণ খুশী হলো, এবং খুনীর কথা মেনে নিলো ! বলুন তো এটা কী সম্ভব? হ্যা সম্ভব !
অবশেষে, একদিন খুনী তাদের ধারনকৃত দৃশ্য সমাজে প্রচার করল।
এখন (সুশীল সমাজ!!!) কী বলবে/কী করবে জানেন?
মুখস্ত বিদ্যা ঝাড়বে...। “বিশ্বাস...বিশ্বাস তো সম্পর্কের ভিত্তি”। মনোবিজ্ঞানীরা উড়ে এসে পত্রিকার পাতা জুড়ে বলবে, “যে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে, সমস্যা তো তার”। এরকম আর কত উক্তিতে জগত ভরে যাবে !
না এ খুন কোন দেহ থেকে আত্মা বিয়োগের খুন নয় ! এ খুন হলো দুটি দেহের অবৈধ ভোগের খুন ! যা শত-শত (পথভ্রষ্ট) তরুণ-তরুণীরা করছে !
আমার প্রশ্ন :
সমাজে যদি ১টি খুন করলে বিচারের মুখো-মুখি হতে হয়, তাহলে যে রাজীব-প্রভারা কোটি মানুষের হৃদয়কে দংশন করলো, লক্ষ তরুণ-তরুণীর বিবেককে হত্যা করলো তার বিচার কেন হয় না ? আমি জানতে চাই !
আজ যারা ক্লাস নাইন, টেন পার করছে ওরাই যে আগামীর রাজীব, প্রভার চরিত্রের ধারক-বাহক হতে চাইবে না তা কী অস্বীকার করা যায় ?
নাটকে এই খুনী প্রভার পুনরায় ফিরে আসার মাধ্যমেই আমার অথবা আপনার ড্রয়িংরুম থেকেই উষ্ণ বিবেক খুনের চরিত্র তৈরী হতে থাকবে ।