জানালার খড়খড়ির ফাঁক
তারপর জানালার ডাবল গ্লাস
তারপর বায়ুমণ্ডল
এসব ভেদ করেও যখন দৃষ্টি
চলে যায় বাতাসে আন্দোলিত
দূরের ঐ গাছটির শীর্ষপাতায়
তাহলে আমি বেঁচে আছি।
ঠিক বিপরীতে দূর থেকে
ট্রেনের হুইসেল যখন শুনছি
চিন্তাশক্তির প্রতিকুলে,
তাহলে আমি বেঁচে আছি।
গলার ভেতরটা তিতা হয়ে আছে
কষ্ট পোড়ার ধোঁয়ায়,
পুড়েছে কি সব কষ্ট গতকাল রাতে?
প্রিয়ার চুম্বন না পাওয়া ঠোঁটের?
কতদিন হল ভোর দেখা হয় না-
একি! এখনও ভোর দেখার সাধ জাগে!
তাহলে আমি সত্যিই বেঁচে আছি।
তবু সংশয় জাগে মনে-
প্রযুক্তির এই যুগে
ফুরিয়ে গেছে ইয়েলো পেজের প্রয়োজন।
হলুদ সর্ষে ক্ষেত আর হলুদ কুটুম পাখি
ছাড়া অন্য কোন হলুদ রং
সহ্য করতে পারতাম না আমি।
অথচ এখন আমার ভালো লাগে
হলুদ আকাশ, হলুদ বাতি,
এমন কি হালের হলুদ সাংবাদিকতাও
আমি কি সত্যিই বেঁচে আছি?