লন্ডন পুরান ১:
কিছু শব্দ আমরা সিলেটি ব্রিটেন প্রবাসীরা নিজেদের মত করে তথ্ভব শব্দের মাধ্যমে পরিবর্তন করে নিয়েছি যাহা খুঁজে বের করতে প্রথমে আমাকে একরকম ধাক্কা খেতে হযেছিল ; যেমন পে এস ইউ গো থেকে পেজেগে, ল্যান্ড লর্ড থেকে লাং লর্ড, পাউন্ড থেকে পন, প্যান থাকে ফান, ব্লিচ থেকে বিলিচ, ক্যাপসিকাম থেকে পেপসিকাম, কেনেপি থেকে কেনাবি, ক্রিস্প থেকে কিরিস, বাস্টার্ড থেকে বাস্তর , এই রকম অনেক যা এই মুহুর্তে মনে আসছে না
লন্ডন পুরান ২ :
বাংলাদেশ আর ব্রিটেন এর মধ্যে অনেক তফাত যা সুরু হয় একে বারে তৃনমূল থেকে..... যেমন দেশে থাকতে আমরা শুনতাম গাভীর দুধ, ছাগলের দুধ, মহিষের দুধ এমন কি বাঘের দুধ কিন্তু এখানে এসে শুনি টেসকোর দুধ, আসদার দুধ, সায়ন্সবেরির দুধ, .....দেশে থাকতে শুনতাম নদীর মাছ, পুকুরের মাছ, খাল এর মাছ, বিলের মাছ, সাগরের মাছ এমনকি গভীর জলের মাছ কিন্তু এখানে ইকবাল ব্রাদার্স এর মাছ. শাহজালাল ব্রান্ডের মাছ, দেশী ব্রান্ডের মাছ
লন্ডন পুরান ৩:
বাংলাদেশ থেকে অল্প থেকে মহা শিক্ষিত তরুণ তরুণীরা বিলেতে এসে প্রথমে যাহা চেষ্টা করে সেটা হলো ইংলিশ উচ্চারণের পরিবর্তন যেমন ইজ নট ইট থেকে এন এ, ওয়াটার কিংবা হুয়াট ২ টা থেকেই ওয়া, থিংক থেকে ফিন্ক, এই রকম অনেক শব্দ এবং কিছু গালি গালাজ যেমন ফাকিং হেল, ব্লাডি হেল,ইত্যাদি .যদিও এখানে শুদ্ধ করে ইংলিশ বলা টা ই মূলকথা,উচ্চারণ নয়, না হলে ইন্ডিয়ান রা তাদের ওই কমেডি টাইপ ইংলিশ উচ্চারণ নিয়ে আমাদের থেকে এগিয়ে যেতে পারত না