তবুও বেড়ে যায় শ্যাওলা, অস্বচ্ছ যত জানালা
রোদের মতই অসহ্য সবগুলো দেবতা
সবকিছুই কেমন ঘোলাটে, আঁশটে গন্ধময়
ঘরের ভেতরে রয়ে যাচ্ছে কে, বাইরে ছুটে যাচ্ছে কে বার বার?
যদি থাকত দূরে কোনো এক সুশীতল, তবে কি চাইতাম উড়ে যেতে
মায়াবী এই চরাচর?
ভাবতে পারি না হাত, চোখ-কান-নাক
বাতাসের পা অস্তিত্বের শেষচিহ্নটুকু মাড়িয়ে চলে গ্যাছে অজানায়
আর আমি হাতড়ে মরছি কিঞ্চিত চাঁদ, বিশুদ্ধ-জল
এইখানে যত বাতিরা আছে সাজানো
এখুনি যদি তারা নিভে যায়, যদি ডুবে যায়
বসন্তের শেষ চাঁদ?
একেকটা মাছরাঙাও কত সাবলীল ঢুকে যায় জলে, সাহসে
আর আমি দু'ধাপ বাড়িয়ে পেরিয়ে যেতে পারি না বাঁশের ঘর
ছায়ার মতই সবগুলো বারতা
ছায়ার মতই সরে সরে যায়...
নির্বিষ সাপ খুঁজে খুঁজে আজ হয়রান
অথচ ভয়হীনতার মাঝেও ভীত ভাবছি উড়ন্ত ঘোড়া, দু'মুখো জানোয়ার
কত ভারী হয়ে উঠেছে যাবতীয় বিশ্বাস, আর মাটির গভীর থেকে
টান দেয় লোমশ-হাত
এ যেন ঠিক দোযখের মাস
মরে যাও, জ্বলে-পুড়ে যাও দিনভর
কিছু রোগ কিছুতেই সারে না, কিছু অপেক্ষা ও ক্ষোভ কিছুতেই
ভুলতে পারে না ঘুম-পথ
হাত তাই খুঁজে মরে অন্যহাত...
আকাশ দেখি, বিবর্ণ যত নীল আমার
কিছু তারা আছে মাঝে মাঝেই বলে যায়
'জেনো, প্রেমের মতই সবকিছু ঈশ্বর
আর সেইসব ফেরেশতা, যারা রোদ ফেরি শেষে নিয়ে আনে পূর্ণ-চাঁদ
তাদের ভুলেও ভেবো না বিধাতা
কারণ, কৃষ্ণচূঁড়া আজীবন ফুটেছে দহনে'
আমি নামিয়ে আনি মাথা, আর ঘুমন্ত সবুজদের বলি
যদি হও দেবতা, পূজো দেব, মাথা নোয়াব বার বার
এবারের গ্রীষ্ম আমাকে মরতে দেবে না কিছুতেই
তুমি তাকে জানিও
বিবশ লেপ্টে আছি ভ্রম ও ভ্রমণের কাঁথায়
আর রাতভর জাগিয়ে রাখছি বিমর্ষ-দেবতা
হয়ত তারাই দেখিয়ে দেবে কৃষ্ণগহ্বর, আর বলবে
'মরো এবার'
চাঁদের দেশ থেকে চাঁদের দেশে এগুতে থাকব বার বার
আর কপালে নেমে আসবে অপরূপ হাত
হয়ত বুকের বামপাশে এসেই থেমে যাবে অনন্ত-রাত
আর জলের গভীরে ঢুকে যাবে সমস্ত চরাচর
অথচ আমাকে তাড়া করে ফেরে একদল ক্ষুধার্ত শেয়াল
আমি পালাই, ভয়ে ছুটতে থাকি উর্ধ্বশ্বাস
পালাতে পালাতে রোজকার মতই হারিয়ে ফেলি চেনা গলিপথ
আর মাথার উপর দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে যায়
অভিশপ্ত সাদা বক...