somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সখী, ভালোবাসি- ভালোবাসি

১৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তিন


চার

-নিলয়। এই নিলয়।
-বল্। নিলয় এমনভাবে জবাব দেয় যেন মনে হচ্ছে রুবির কাছে থেকে অনেক দূরে। অথচ তারই পাশে একই রিকশায় বসে আছে। সে তাকিয়ে আছে আরেকদিকে।
-বল্ মানে? আজ আবার তোর কি হয়েছে? তোর বার্থডে তে রিকশা করে ঘোরা হয় নাই তো কি হয়েছে? আজতো ঘুরছি। আরে বাবা এদিকে তাকা না। দেখ না। আজ তোর সাথে রিকশা করে ঘুরবো বলে কেমন সেজে এসেছি।
নিলয় কিছু বলে না। সে এবার আকাশের দিকে তাকায়।
-কিরে আকাশে কি দেখছিস্।
-কিছু না। আকাশ আমার ভাল লাগে।
-আমাকে ভাল লাগে না।
-না ।
-মানে?
-তোকে তোর মত লাগে। বলেই নিলয় আবার ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায়।
-আচ্ছা। সেইজন্যই ঘাড় ঘুরিয়ে সুন্দরী মেয়ে দেখা হচ্ছে না। ঠিক আছে তুই একা একা রিকশা করে ঘুর। আর শহরের সব সুন্দরী মেয়েদের দেখে দেখে তোর চোখের ক্ষুধা মিটা। আমি এখনই নেমে যাচ্ছি। এই রিকশাওয়ালা ভাই রিকশা থামান।
-এই কি করো। কি করো। রাস্তার মাঝে সিন ক্রিয়েট করছো কেন?
-আমি সিন ক্রিয়েট করি না।আপনি নিজে যে ড্রামা করে চলেছেন সেই তখন থেকে। সেটা কিছু না না।
-সরি।
-আচ্ছা সরি হতে হবে না আর।
-আসলে রুবি আমি কি ভাবছি জানো? আমাদের জীবনের এতটা সময় আমরা হেলায় নষ্ট করলাম কেন?
-মানে?
-না ভাবছি আমরা এমন কত রিকশা করে ঘোরার অলস দুপুর নিজেদের অজান্তেই অপচয় করেছি।
-তাই না?
-সত্যি। আজ আমার কাছে পুরো শহরটাকেই অন্যরকম লাগছে। আকাশটাকেও আগের থেকে অনেক ভাল লাগছে। ভাবছি এই আকাশ এতদিন কোথায় ছিল।
-আহা কি আমার ভাবুক। কই যাওয়া যায় বলতো।
-কোথাও না। এই রিকশা অনন্তের পথ ধরে অনন্তকাল চলবে। আর আমরা অসীম আকাশের নিচে নিতান্তই চক্কর খাবো ভাবনার জগতে।
-কিরে কবিতা লেখা শুরু করছিস্ নাকি?
-প্রেমে পড়লে তো কবিতা আসতেই পারে।
-তুই প্রেমে পড়েছিস্! কার?
-আকাশের ।
-তাই। তাহলে আকাশের কাছে চলে যা।
-আকাশ কি আমাকে বুকে টেনে নেবে?
-আকাশকে জিজ্ঞেস কর।
-আকাশ তো নিরুত্তর।
-কবিও নীরব।
-হয়তো বসন্ত আসেনি।
-কবি কি অন্ধ?
-আলোতে জ্বলসে গেছে চোখ।
-মন ও কি মরে গেছে?
-সে তো মনের খোঁজে ব্যস্ত।
-মন কি আকাশে ওড়ে?
-মন তো মনের কাছে।
-তবুও কবি বিভ্রান্ত!
কথার পিঠে কথার খেলা ভালই জমে। হঠাৎই হেসে উঠে দু'জনে। রিকশাওয়ালা পেছনে ফিরে তাকায়। প্যাডেলে জোরে পা চালায়। অনন্তের পথে রিকশা ছোটে অনন্ত স্বপ্নযাত্রী দু'জনকে নিয়ে। রুবির খোলা চুল এলো বাতাসে নিলয়ের চোখ মুখ মন ছুঁয়ে যায়। সে স্বপ্নরাজ্যে ভাসে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×