“নতুন ব্লগারের ‘বাক-বাকুম’” শিরোনামের পোষ্টটি যখন সামুতে দিই তখন ব্লগে নবাগত হিসেবে আমার অবস্থা আসলেই ছিলো বাকুম, বাকুম । দিন গড়াচ্ছিলো আর আমি অপেক্ষায় ছিলাম আমার অবস্থানটি কবে, কখন “পর্যবেক্ষণ” থেকে “জেনারেল” এ যাবে আর আমি অনেক বেশী ব্লগারের সাথে আমার আত্মার যোগসূত্র স্থাপন করতে সক্ষম হবো। লেখা ছিলো আমাকে ৭ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে, যখন ১৫ দিন পাড় হয়ে আরো আরো দিন গড়াচ্ছিলো আমার ভ্রুজোড়া ক্রমশই কুঞ্চিত হচ্ছিলো-“আরে! ঘটনাটা কি? আমি কি এতই অখাদ্য-কুখাদ্য লিখি নাকি? সরল চেহারায়, অতিসরল কিছু মানবিক অনুভূতি নিয়ে সামুর পাতায় নাম লিখিয়েছি-আমার এত সারল্যকে অত গভীরভাবে এত এত সময় নিয়ে “পর্যবেক্ষণ” এর কি আছে?”
মনের মধ্যে সামুর প্রতি অভিমান জমতে জমতে “কিংকর্তব্যবিমূড়” শিরোনামে একটি লেখা মাথায় আসছিলো। কিন্তু এরই মধ্যে সামুর দু-চারজন অনুজ আমার লেখার প্রশংসা করা শুরু করে দিলো। দিনে দিনে ওদেরও ভ্রু কুঞ্চিত হওয়া শুরু হলো-“আপু, ব্যাপার-স্যাপার তো কিছু বুঝতে পারতেছি না” – ঠিক তখনই অবিশ্বাস্যভাবে লক্ষ্য করলাম আমার জন্য ওদের ভ্রু কুঞ্চিত হতে দেখে আমার ভ্রুজোড়া সোজা হয়ে গেছে। “ওহো, পর্যবেক্ষণ জোনে আছি তারপরও কেউ কেউ ভালোবাসছে আমায়, আমার লেখাকে ---------! হাঃ হাঃ মন্দ নয়তো!”
তো এইরকম স্বস্তি, ভালবাসায় ডগমগ হয়ে সামুর অনুজদের উদ্দ্যেশ্যে নাতিদীর্ঘ বানী ঝেড়ে দিলাম- “আরে রাখো না, দেখি কি হয়! তোমরা মন খারাপ করছো কেনো, আমার তো ধৈর্য অপরিসীম। আর শোন, যে বিষয়ে আমার হাত নেই, সেখানে আমি অস্থির হয়ে কি করবো? কোন লাভ আছে তাতে?” ইত্যাদি, ইত্যাদি----------।
এসব দোলাচালে দুলতে দুলতে, ওদেরকে বানী ঝেড়ে, নিজের মনকে “মন্দ নয়তো” সান্তনা দিয়ে গড়াচ্ছিলো সময়, “কিংকর্তব্যবিমূড়” শিরোনামের লেখাটি আর সামুর পাতাতেই দিতে ইচ্ছে করছিলো না। তারপরও মনে কিছুটা অভিমান নিয়ে রোজই অন্ততঃ একবার সামুর পাতাতে ঘুরতে গেছি, অন্যান্য পাতাগুলো দেখে আমার “বিনয়াবনত” পাতাটিতেও চোখ রেখেছি। আমার পাতাটিতে চোখ বুলানোর সময় আড়চোখে চোখ রেখেছি সামুর পাতায় আমার অবস্থানের জায়গাটিতে। হায়! রোজ একই অবস্থান, কোন নড়চড় নেই।
তো রোজকার মতো গতকালও যখন সামুতে আমার পাতায় আমার অবস্থানের জায়গাটিতে আড়চোখে তাকাচ্ছিলাম হঠাত ই মনে হলো –“কি যেনো changed মনে হচ্ছে!” আড়চোখ সোজা করলাম- “এইরে, আমার অবস্থান তো বদলে গেছে। yahoooooooooo!”
সাথে সাথে মনে হলো-সন্ধ্যার আকাশে জ্বলে উঠেছে হাজার হাজার আতশবাজি আর কান স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে আতশবাজির শব্দে !!!!!!!!!!!” এত আলো, এত শব্দ--------‘WOW”!
অভিমান নিয়ে এদিন ধরে মনে মনে যে লেখাটা ড্রাফট করছিলাম, সে লেখাটাকে মনেই ফেরত পাঠিয়ে দিলাম। নতুন একটা লেখা ড্রাফট করলাম, শিরোনামও পাল্টে দিলাম। যাক, অবশেষে---------!
পর্যবেক্ষকদের মন থেকেই “ধন্যবাদ” দিতে ইচ্ছে করছে অবশেষে আমার অবস্থান “পর্যবেক্ষণ” থেকে “জেনারেল” এ নিয়ে যাবার জন্য আর সামুর পাতার শত শত জীবন্ত আত্মাদের (!) সাথে আমার সরাসরি সংযোগ ঘটিয়ে দেবার জন্য। হে পর্যবেক্ষকগণ! আপনারা আমার ধন্যবাদ নিলেন তো?
আলোচিত ব্লগ
রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!
রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।
আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!
এই... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঁচতে হয় নিজের কাছে!
চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু। লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা
২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন
নিউ ইয়র্কের পথে.... ২
Almost at half distance, on flight CX830.
পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১
হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন
সামুতে আপনার হিট কত?
প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন