আমার চারদিকে বিপুল অন্ধকার
কোথাও কোন আলোর ছিটে ফোটাও নেই।
বিদঘুটে আধাঁর আমার কক্ষে.....
অন্ধকার গর্ভে এলোপাতাড়ি হাত
চালিয়ে স্পর্শ করতে চাইছি আপনাকে।
না, কোথাও আপনি নেই......
ব্যার্থ হাত আমার ফিরে এসে
আঘাত হানল আমারই পুড়া কপালে
সরুষে বলে উঠল হিয়া.....
দূর বোকা, স্যার কি তোর সাথে
দেখা করবে? বলবে কি আর কথা তোর সাথে?
তিনিতো 'মেঘের উপর বাড়ি বানিয়েছেন'।
সেখানেই পাড়ি জমালেন......
না এ হতে পারে না।
তাঁর সাথে দেখা করা আমার আজন্ম স্বপ্ন ছিল।
আমি যখন নৈরাশ্যে জ্বলে পুড়ে
খাক হচ্ছিলাম, তিনিইতোঘৃণিত নরক হতে আমাকে
পথ দেখিয়েছিলেন নন্দিত নরকের অভিমুখে.....
মিসির আলী কিংবা হিমু
যে কোন একটা ছায়া আমার ছায়াবৃত্তে
এসে মিশেছিল বলে মমতাময়ী মা
আমার রেগে বলেছিলেন,
তোর হুমায়ুনের নিপাত কবে?
আমি বলি, মাগো, এ নাম নিপাতের উর্ধ্বে।
তিনোতো মিশে গেছে আমাদের
রক্তের প্রতিটি কণিকায় ......
মায়ের কথায় সেদিন
ঘর ছেড়েছিলাম, পথে প্রান্তরে খালি পায়ে
হলুদ রঙের পান্জাবি আর সাদা
পায়জামা পড়ে হেঁটেছিলাম হিমু হয়ে....
মা আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে
যেদিন আমাকে বাড়ি ফিরাতে এসেছে
সেদিনই আপনি পৃতিবী-গৃহের মায়া ছড়লেন.....
আমি আর বাড়ি ফিরবনা .....
আমার চারপাশে অন্ধকার
বিরহরে নীলে নীলে নুয়ে পড়ছি আমরা
নীরবে ঝরছে শ্রাবণধারা.....