somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘুষ খায় আম জনতা……তারপর….

১৩ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘূষ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি? এই প্রশ্নের উত্তর আমরা হয়তো সবাই বেশ ভাল দিতে পারব। আমরা প্রায়ই বলি আম জনতা ঘুষ দেয় এটা ঠিক
কিন্তু আম জনতাও ঘুষ খায়। এখন দেখি কখন খায়। যখন সাধারণ নির্বাচন হয় , তখন এক এক জন আম জনতা কত কাপ চা, কতটি সিগারেট ও কতটি পান খান? কত টাকা গ্রহন করেন তার খবর কি আমরা রাখি। আমি এমন এমন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের কথা শুনেছি যেখানে ধনী চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দী এক এক জন ভোটারের জন্য তিন হাজার টাকা বরাদ্দ (ঘুষ বরাদ্দ) করেছেন এবং বিজয়ী হয়েছেন। আমাদের দরিদ্র , লোভী ভোটাররা দুই তিন হাজার টাকা নিয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ/বাইবেল/গীতা প্রভৃতি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ স্পর্শ করে ভোট দেয়ার প্রতিজ্ঞা করেন। বিনিময়ে ঐ নির্বাচিত প্রতিনিধি তার আমলে কত টাকা আয় করেন জনপ্রতি আমরা আম জনতা কি জানি? আমি হিসাব করে দেখেছি জনপ্রতি আম জনতার ৫০ হাজার টাকা পরিমাণ বা তার বেশি লস হয়। যেমন চাউলের কার্ড, আটার কার্ড, সারের কার্ড , বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা প্রভৃতি নিতে ঐ আম জনতারই টাকা দিতে হয়। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পে আম জনতার অর্থ আত্মসার্ত করা হয় এবং আম জনতা এর প্রতিবাদ করতে পারেন না, কারণ তারা টাকার বা অন্য কিছুর বিনিময়ে ভোট দিয়েছেন। এভাবেই আমরা ব্যবসায়ী/সন্ত্রাসী/বিবেকহীন জনপ্রতিনিধিদের হাতে নিজেদের ও নিজেদের দেশকে সোপর্দ করি। মোট কথা আমরা ছোট ছোট ঘূষ খোর নির্বাচিত করি বড় বড় ঘূষখোরদের। এরপর আমরা ঐ জনপ্রতিনিধি বা জনপ্রতিনিধিদের আর্শিবাদপুষ্ট সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের টাকা দিই চাকুরি পাবার জন্য/স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার জন্য/মুক্তিযোদ্ধার সনদ পাবার জন্য(খুব কষ্টের সাথে বলছি একথা)/ অন্য যেকোন সুবিধা পাবার জন্য। আমরা আম জনতা ঘূষকে লালন পালন করি।
যখন বৃষ্টি হয় তখন আমরা রিকশা ওয়ালাদের ঘূষ দিই। থাইল্যাণ্ডে যে এত বড় বন্যা হয়েছিল, ওখানকার কোন কিছুর ভাড়া কিন্তু এক পয়সাও বাড়েনি।
আমরা রেলওয়ের কর্মচারীদের ঘুষ দিই ভাল ছিটে বসার জন্য। আমরা বাসের কর্মচারীদের ঘুষ দিই ছিট পারার জন্য, তারা বেশি ভাড়া ঘূষ হিসাবেই নেন। আমরা ঘুষ দিই দুই ভাবে, ইচ্ছে করে এবং বাধ্য হয়ে। আবার নিই দুই ভাবে (বাধ্য করে/অনেকে ইচ্ছে করে দেন আরো বেশি সুবিধা নেবার জন্য)। আমরা কি কখনো ঘুষ দেওয়া /নেওয়া বন্ধ করতে পারব?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বর্গের নন্দনকাননের শ্বেতশুভ্র ফুল কুর্চি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭


কুর্চি
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : কুরচি, কুড়চী, কূটজ, কোটী, ইন্দ্রযব, ইন্দ্রজৌ, বৎসক, বৃক্ষক, কলিঙ্গ, প্রাবৃষ্য, শক্রিভুরুহ, শত্রুপাদপ, সংগ্রাহী, পান্ডুরদ্রুম, মহাগন্ধ, মল্লিকাপুষ্প, গিরিমল্লিকা।
Common Name : Bitter Oleander, Easter Tree, Connessi Bark,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচলের (সচলায়তন ব্লগ ) অচল হয়ে যাওয়াটই স্বাভাবিক

লিখেছেন সোনাগাজী, ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬



যেকোন ব্লগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর, একটি ভয়ংকর খারাপ খবর; ইহা দেশের লেখকদের অদক্ষতা, অপ্রয়োজনীয় ও নীচু মানের লেখার সরাসরি প্রমাণ।

সচল নাকি অচল হয়ে গেছে; এতে সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

হরিপ্রভা তাকেদা! প্রায় ভুলে যাওয়া এক অভিযাত্রীর নাম।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২২ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩


১৯৪৩ সাল, চলছে মানব সভ্যতার ইতিহাসের ভয়াবহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। টোকিও শহর নিস্তব্ধ। যে কোন সময়ে বিমান আক্রমনের সাইরেন, বোমা হামলা। তার মাঝে মাথায় হেলমেট সহ এক বাঙালী... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনারই মেরেছে এমপি আনারকে।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন!

এই হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×