somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দি ডিভাইন ম্যাট্রিক্স

১৩ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সি, সৌরজগৎ , গ্রহ , নক্ষত্র নিয়ে আমাদের এই মহাবিশ্ব যার সীমা - পরিসীমা আমাদের চিন্তার ঊর্ধে । আমাদের চিন্তা ভাবনা , অনুভূতি কি এই সুবিশাল মহাবিশ্বে কোন ভুমিকা রাখতে পারে ? কিংবা কোন পরিবর্তন কি ঘটাতে পারে বহমান সময়ের স্বাভাবিক বিবর্তনকে ছাড়িয়ে ?
গ্রেগ ব্রাডেন নামে একজন বিজ্ঞানী রয়েছেন যিনি প্রায় ২০ বছর ধরে মিশর , পেরু এবং তিব্বতের বিভিন্ন মঠগুলোতে ঘুরে ঘুরে খুঁজে বেড়িয়েছেন জীবনের নানা রহস্য , নানা প্রশ্ন যার উত্তর হয়ত লুকিয়ে আছে কোন এক প্রাচীন আধ্যাত্নিক গ্রন্থে কিংবা কোন প্রাচীন উক্তি বা সংস্কৃতির কোন এক রূপের মাঝে । তিনি কয়েকটি বইও লিখেছেন যেগুলোর সাথে আপনারা অনেকেই ইতোমধ্যে পরিচিত হয়ে থাকবেন । যেমন ঃ দি গড কোড , দি ডিভাইন ম্যাট্রিক্স , দি সায়েন্স অব কম্প্যাসন ইত্যাদি ।
এই ব্লগটিতে ডিভাইন ম্যাট্রিক্স নিয়ে দুটি কথা বলব । ব্রাডেন এটিকে একটি শক্তির ক্ষেত্র ( ফিল্ড অব এনার্জি ) হিসেবে বর্ণনা করেছেন যা এই পৃথিবীর ভিতরে এবং বাইরে যা কিছু ঘটে তাদের মধ্যে সংযোগকারী সেতু হিসেবে কাজ করে । এটাকে একটা ধারকপাত্র হিসেবে কল্পনা করা যায় যা এই মহাবিশ্বকে ধারণ করে আছে । আবার এটি একটি দর্পণের ন্যায় যা আমাদের দেখায় সেটিই যা আমরা সৃষ্টি করেছি ।
আমাদের প্রাচীন জ্ঞান এবং কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার সমন্বয়ে গ্রেগ ব্রাডেন ডিভাইন ম্যাট্রিক্সের কিছু মূলনীতি প্রদান করেছেন । সেগুলো হল ঃ
১, মহাবিশ্বের সবকিছুই একে অপরের সাথে সংযুক্ত এবং ডিভাইন ম্যাট্রিক্সে বিদ্যমান থাকে ।
২, ডিভাইন ম্যাট্রিক্স হলগ্রাফিক । এর মানে হলো ক্ষেত্রটির যেকোন একটি অংশে সমগ্র ক্ষেত্রের সবকিছুই বিদ্যমান থাকে ।
৩, অতীত , বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত । সময়ের ধারক হিসেবে ম্যাট্রিক্স আমাদের বর্তমানের পছন্দ এবং ভবিষ্যতের অভিজ্ঞতার মধ্যে অবিচ্ছিন্নতা প্রদান করে ।
আমরা চিন্তা ভাবনা নয় বরং আবেগ অনুভূতির ভাষা দ্বারা ম্যাট্রিক্সের সাথে সংযোগ স্থাপন করি । আমাদের ভালবাসা , ভয় , ঘৃণা ইত্যাদি অনুভূতিগুলো প্রকৃতপক্ষে একে নির্দেশনা প্রদান করে । ব্রাডেনের মতে , ম্যাট্রিক্সকে একটি বিশাল কম্পিউটার হিসেবে চিন্তা করা যায়, যার মধ্যে আমরা বিশ্বাস, আবেগ অনুভূতি ও প্রার্থনার মাধ্যমে তথ্য প্রদান করি এবং বাস্তব জীবনে এর ফলাফল দেখতে পাই ।
কিছু আবেগ অনুভূতি আমাদের ডিএনএর ডাবল হেলিক্সকে প্রসারিত করে যার ফলে আমরা সুখানুভূতি লাভ করি । আবার কিছু আবেগ ডিএনএ কে সঙ্কুচিত করে যার ফলে আমাদের দুঃখ হয় । তাই বলা যায় আবেগ অনুভূতি ডিএনএর পরিবর্তন ঘটায় । আবার ডিএনএ ফোটন কণাকে প্রভাবিত করতে পারে । একটি পরীক্ষায় দেখা যায় যে , কতগুলো ফোটন কণাকে একটি পাত্রে রাখলে তা বিশৃঙ্খল অবস্থায় থাকে । পড়ে ঐ পাত্রে ডিএনএ দেয়া হলে ফোটন কণাগুলো একটি নির্দিষ্ট সজ্জায় বিন্যস্ত হয় । ডিএনএ অণুগুলো সরিয়ে নেয়া হলেও ফোটন কণাগুলো পুনরায় বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে না । অর্থাৎ ডিএনএ ফোটনকে প্রভাবিত করতে পারে । আবার আবেগ ডিএনএর পরিবর্তন ঘটায় । তাই একথা বলা যায় যে , আবেগ অনুভূতি পদার্থের পরিবর্তন ঘটাতে পারে ।
এরকম অনেক পরীক্ষা রয়েছে যার দ্বারা মহাবিশ্বের উপর আমাদের মনের প্রভাব প্রমাণ করা যায় । অর্থাৎ আপনিও পারেন আপনার মন ও হৃদপিণ্ডের শক্তি দ্বারা আপনার চারপাশের পৃথিবীকে পরিবর্তন করতে ।
গ্রেগ ব্রাডেন একটি কনফারেন্সে এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন । এটি তার ইউটিউব ভিডিও লিঙ্ক
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:১৫
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×