somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ল্যাপটপে লুটপাট

১২ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সরকারি কোম্পানির 'দোয়েল' ল্যাপটপ উৎপাদনের যন্ত্রপাতি আমদানিতে কল্পকাহিনীকে হার মানানো লুটপাট হয়েছে। হাজার ডলারের যন্ত্রপাতির মূল্য লাখ ডলার দেখিয়ে আমদানি করা হয়েছে। সে কারণে দেড় লাখ ডলারের পণ্যের মূল্য দেখানো হয় ১০ লাখ ৬ হাজার ৫৪০ ডলার। ৩০০ শতাংশ বেশি মূল্য দেখিয়ে আমদানি করা অর্থের ভাগবাটোয়ারা হয়েছে মালয়েশিয়ার পেনাং এবং নিউইয়র্কে। পেনাংয়ে এইচএসবিসি ব্যাংক এবং নিউইয়র্কের টিডি ব্যাংকের দুটি অ্যাকাউন্টে পৌনে চার লাখ ডলার লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে, যার পুরোটাই ঘুষ হিসেবে দিয়েছে দোয়েল ল্যাপটপের তখনকার মালয়েশিয়ান অংশীদার টিএফটি টেকনোলজি গ্রুপ। উপরি আয়ের একটি বড় অংশ তখনকার টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুও পেয়েছেন বলে সমকালকে নিশ্চিত করেছেন টিএফটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ওয়াং।
তবে রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু অস্বীকার করেছেন এমন অভিযোগ; বরং টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে উল্টো অভিযোগ করেন তিনি। বর্তমান টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার কথা বললেও পরে আবার অনুরোধ করেছেন এ বিষয়ে কিছু না লেখার জন্য। তবে টেশিসের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, ল্যাপটপ উৎপাদনে লুটপাট হয়েছে। বিষয়টি অনেক পরে ধরতে পেরেছেন তারা। সমকাল নিশ্চিত হয়েছে, মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে এইচএসবিসি ব্যাংকে (হিসাব নম্বর ৩৭১২৭১৭৪৩৭১০) মোহাম্মদ ইকবালের নামে দুই লাখ ৯৯ হাজার ডলার জমা করে টিএফটি। গত বছরের ১১ জুলাই এই ডলার জমা করা হয়। এ-সংক্রান্ত টিটির (টেলিফোন ট্রানজেকশন) একটি কপি সমকালের হাতে রয়েছে। একইভাবে নিউইয়র্কের টিডি ব্যাংকে সুইফট কোড পদ্ধতিতে (হিসাব নম্বর ০৩১১০১২৬৬) জমা করা হয় আরও ৭৫ হাজার ডলার। এই টাকা জমা হয় চৌধুরী অ্যাসোসিয়েটসের নামে। পৌনে চার লাখ ডলার দেওয়ার পর সেটি অবহিত করে একটি চিঠিও মোহাম্মদ ইকবালের ঢাকার অফিসে পাঠান মাইকেল ওয়াং। চিঠিতে মোহাম্মদ ইকবালকে ঢাকার মিলেনিয়াম হোল্ডিং লিমিটেডের এমডি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
তবে গত এক সপ্তাহে কয়েকবার রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেল (শেরাটন) কমপ্লেক্সে মিলেনিয়াম হোল্ডিং লিমিটেডের অফিসে গিয়েও মোহাম্মদ
ইকবালের
সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। তার অফিস থেকে প্রতিবেদকের মোবাইল নম্বর রেখে দিয়ে 'যোগাযোগ করা হবে' বললেও কোনো সাড়া মেলেনি। ফলে অভিযোগের বিষয়ে মোহাম্মদ ইকবালের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মাইকেল ওয়াং পরিষ্কার করে বলেছেন, টাকার ভাগ মন্ত্রী (রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু), অতিরিক্ত সচিব মো. রফিকুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন পেয়েছেন। তার কয়েকটি ই-মেইলে তিনি বলেন, ল্যাপটপ উৎপাদনের জন্য নতুন করে গঠিত হওয়া কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) নাজিব হাসানকে পদ্ধতি বাতলে দিয়েছিলেন কীভাবে আমদানি করা যন্ত্রাংশের দাম বাড়াতে হবে। রফিকুল ইসলামের চাচাতো ভাই হিসেবে ওই কোম্পানির দায়িত্ব পান নাজিব। বেশ কিছুদিন আগে এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা হলেও বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন।
বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে মাইকেল ওয়াং এসব তথ্য সরকারকে অবহিত করেন। পরে একপর্যায়ে লুটপাটের বিষয় তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) ফাইল পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টেশিস কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর টেশিসের বোর্ড মিটিংয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয় এমডি মোহাম্মদ ইসমাইলকে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বোর্ডে এমন সিদ্ধান্তের কারণেই মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তদবির করে ল্যাপটপ প্রকল্প থেকে সরিয়ে দেন ইসমাইলকে। আবার পরের বৈঠকেই সিদ্ধান্ত বদলের সঙ্গে সঙ্গে কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হয় দুদকবিষয়ক অংশ।
এর আগে গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বর থেকে দুর্নীতির খবর যখন বেরোতে থাকে, তখন থেকেই মোহাম্মদ ইসমাইলকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন মন্ত্রী। একই সময়ে ল্যাপটপ প্রকল্পের এসব দুর্নীতির অবৈধ অর্থ লেনদেনের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সমকাল। এর মধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের বক্তব্যের অডিও রেকর্ডও সমকালে রয়েছে। তা ছাড়া মাইকেল ওয়াংয়ের সঙ্গে এক বছর ধরে ই-মেইল লেনদেনের মাধ্যমে পাওয়া গেছে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এসব ই-মেইলে ওয়াং জানান, তিনি নিজে একাধিক বাংলাদেশির অ্যাকাউন্টে মন্ত্রীর জন্য ডলার জমা করেছেন। তা ছাড়া সারওয়ান্ত সিং (ভারতীয় নাগরিক) নামে অন্য এক ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও তাকে ডলার দিতে হয়েছে। তার বক্তব্যে তিনি আজিজ রহমান নামেও এক ব্যক্তির কথা বলেন। অনুসন্ধানে আরও অনেকেই লেনদেনের সঙ্গে আজিজ রহমানের নাম বলেন; কিন্তু তার পরিচয় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
সম্প্রতি এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ল্যাপটপে দুর্নীতির কথা স্বীকার করেন রফিকুল ইসলাম। একই সঙ্গে তিনি টেশিস বোর্ডের সদস্য। তিনি বলেন, ওয়াংয়ের অভিযোগ সত্য হতেও পারে। তবে এর সঙ্গে নিজের ও মন্ত্রীর সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, প্রকল্প পরিকল্পনার সময়ই সমস্যা ছিল। ১০ লাখ ডলারের প্রকল্প ব্যয় ১৮ লাখ ডলার ধরা হয়। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ওয়াং নিজে দুর্নীতিবাজ। তাকেই তো আগে ধরা উচিত। লেনদেন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইকবালকে যে টাকা দেওয়া হয়েছে বলে বলা হচ্ছে, সে তো তাদেরই লোক।
এর আগে দেশে প্রথমবারের মতো ল্যাপটপ সংযোজনের জন্য মালয়েশিয়ার টিএফটি ও বাংলাদেশের ২এম করপোরেশন রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টিএসএস) সঙ্গে ২০১০ সালের মে মাসে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে এ বিষয়ে চুক্তি করে তিন পক্ষ। চুক্তিতে অবকাঠামোর জন্য টেশিস পায় ৩০ শতাংশের মালিকানা। বাকি বিনিয়োগের জন্য ৭০ শতাংশ পায় অপর দুই কোম্পানি। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরোলেও কোনো বিনিয়োগ করছিল না টিএফটি ও ২এম করপোরেশন। ওয়াং জানান, এটিই ছিল তাদের কৌশল। একপর্যায়ে অগ্রাধিকার প্রকল্প হওয়ায় সরকারের অপর কোম্পানি বিটিসিএল থেকে ২৫ কোটি টাকা ধার নেয়। এই টাকা নিয়েই ভাগবাটোয়ারা শুরু হয়ে যায় ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে।
এর আগে স্বল্প মূল্যের যন্ত্রপাতি বেশি দামে এবং সংশ্লিষ্ট নয়, এমন যন্ত্রপাতি গছানো হচ্ছে ধরতে পেরে টিএফটির দাবি করা বেশ কিছু টাকা আটকে দেয় টেশিস। তাদের ১০ লাখ ছয় হাজার ডলারের বিপরীতে ততক্ষণে দেওয়া হয়েছে ছয় লাখ ২০ হাজার ডলার। টিএফটির তখন আরও তিন লাখ ৮৫ হাজার ডলার পাওনা। টিএফটি জানায়, তারা যে ছয় লাখ ২০ হাজার ডলার পেয়েছে, তার মধ্যে পৌনে চার লাখ ডলার ঘুষ দিতে গিয়ে তাদের লোকসানে পড়তে হয়েছে। বাকি টাকা পেতে তারা দফায় দফায় টেশিসে ধরনা দেয়। একপর্যায়ে বাকি থাকা তিন লাখ ৮৫ হাজার ডলার থেকে মাত্র ৪০ হাজার ডলার পেলেই দাবি ছেড়ে দেওয়া এবং পরে এই টাকা পেতেই মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। বিষয়টির রফা করতে ঢাকা থেকে কয়েক দফা মালয়েশিয়ায় টেশিসের কর্মকর্তারাও যাতায়াত করেন।
গত জুলাই মাসে এই প্রতিবেদক মালয়েশিয়ায় গেলে মাইকেল ওয়াংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখানেও কয়েক দফা তার সঙ্গে আলাপ হয়। এ সময় তিনি বলেন, যে পৌনে চার লাখ ডলার তিনি দিয়েছেন, তার বড় অংশ মন্ত্রীর (রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু) পকেটেই গেছে। এ সময় তিনি অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলামের সঙ্গে মন্ত্রীর সখ্যের বিষয়টি তুলে ধরেন। লোপাটের পুরো আয়োজন তিনিই সম্পন্ন করেছেন বলে জানান ওয়াং। একই কারণে টেশিস এবং টিএফটি মিলে আলাদা যে কোম্পানি গঠিত হয়, সেখানে মন্ত্রীর কোনো অবস্থান না থাকলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণের বৈঠকে মন্ত্রীর থাকার বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন রফিকুল ইসলাম।
এ প্রসঙ্গে রফিকুল ইসলাম বলেন, বললেই তো হবে না যে মন্ত্রী ভাগ পেয়েছেন। মন্ত্রীর সঙ্গে তো ওয়াংয়ের কখনও দেখাও হয়নি; বরং তখনকার এমডি (মোহাম্মদ ইসমাইল) ভাগ পেতে পারেন। তাদের মধ্যে লেনদেন নিয়ে ঝগড়া শুরু হলেই বিষয়টি অন্যদের নজরে আসে।
টেশিসের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, টিএফটি-২এম মিলে ১০ লাখ ছয় হাজারের কিছু বেশি ডলারের যন্ত্রপাতি মালয়েশিয়া থেকে আনে বলে হিসাবে দেখানো হয়। পরে একপর্যায়ে টিএফটির সিইও ই-মেইলে টেশিসের কয়েকজনকে জানান, কাগজে-কলমে অন্তত ৩০০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি করে যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি করা হয়। টেশিসের এক কর্মকর্তা জানান, কাজ করতে গিয়ে তারা দেখেন, যেসব যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়েছে, ল্যাপটপ উৎপাদনে তা কোনো কাজেই লাগছে না। তখন এসব যন্ত্রপাতির ওপর গুণগত মান যাচাই করার জন্য বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে জরিপ করানো হয়। সেখানে দেখা যায়, ল্যাপটপ প্রকল্পের নামে মূলত এলসিডি টেলিভিশনের যন্ত্রাংশ পাঠানো হয়েছে। তা ছাড়া যন্ত্রপাতির মধ্যে টেবিল-চেয়ারও ধরা হয়েছে। সেসব যন্ত্রপাতির অধিকাংশই এখন টেশিসে স্ক্রাপ হিসেবে পড়ে আছে।
চতুরতার এই তথ্য বেরিয়ে আসার পরেই বাকি পাওনা আটকে দেয় টেশিসের তখনকার এমডি। সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিষয়গুলো নিয়ে নাড়াচাড়া বাড়তে থাকলে একপর্যায়ে গত বছরের ২৯ আগস্ট মালয়েশিয়ান কোম্পানিকে ল্যাপটপ প্রকল্প থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু কী প্রক্রিয়ায় তাদের বের করা হবে, সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। ১৪ মাসেও কেন সব ঠিক হয়নি_ এ প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।
লেনদেনের অভিযোগের বিষয়ে সাবেক টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন, মোহাম্মদ ইকবালকে তিনি চেনেন না। এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেনও না; বরং তিনি মোহাম্মদ ইসমাইলকে পুরো বিষয়ের জন্য দায়ী করেন। তিনি বলেন, 'ইসমাইল কিছু করে গিয়ে থাকতে পারে। এসব অপপ্রচার সে-ই ছড়াচ্ছে।'
মালয়েশিয়ান কোম্পানিকে ল্যাপটপ উৎপাদনের প্রক্রিয়া থেকে বের করে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২এম এবং টিএফটি টাকা দেয় না। সে কারণে তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে। টাকা দেবে না আর তাদের কেন অহেতুক কোম্পানি বয়ে বেড়াবে?
মন্ত্রীর এ বক্তব্যের উত্তরে ওয়াং বলেন, শুরুতে থাকলেও পরে হিসাব বুঝে নেওয়ার পর ইকবাল মোহাম্মদ ২এম কোম্পানি থেকে সরে পড়েছেন। এখন তার ছেলেমেয়েরা কোম্পানি চালায়।
দুদকে তদন্তের সিদ্ধান্ত বাতিল :পুরো ঘটনা কয়েক দফা ই-মেইলে মাইকেল ওয়াং টেশিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ ডিসেম্বর বৈঠকে বিষয়গুলো তদন্তের জন্য দুদকেও পাঠানোর প্রস্তাব গ্রহণ করে টেশিস বোর্ড। পরের বৈঠকে কার্যবিবরণী অনুমোদন করার সময় দুদকের তদন্তের সিদ্ধান্ত বাতিল হয়; বরং নতুন এমডি সেখানে কয়েকটি লাইন লাল কালি দিয়ে কেটে দিয়ে দুদকে তদন্তের আগে নিজেরা তদন্ত করার কথা লেখেন। অবশ্য সেই তদন্ত কমিটি এখনও গঠিত হয়নি এবং কোনো তদন্তও হয়নি।
টিএফটিকে উকিল নোটিশ :কার্যত বাদ দেওয়া হলেও যেহেতু সরকারের নিবন্ধিত কোম্পানি ছিল টিএসএস-টিএফটি ২এম করপোরেশন, সে কারণেই চাইলেই টিএফটিকে বাদ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সমঝোতাপূর্ণ (অ্যামিক্যাবল) সেটেলমেন্টে যেতে চাইছে টেশিস। রফিকুল ইসলামও বলছেন, এক মাসের মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।

সমকাল সূত্রে
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×