somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাবাস নিঝুম মজুমদার ,

১০ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ একটি পত্রিকায় দেখলাম লন্ডন প্রবাসী, ইন্টারন্যশনাল স্ট্রাটেজি ফোরামের কর্মী, অনলাইন এক্টিভিস্ট নিঝুম মজুমদারের একটি লেখা । শিরোনাম “আমরা ৩২ জন আর ৩০ লক্ষ শহীদ” কলামটি প্রকাশ করেছেন – বিডি নিউজ-২৪ ।
শরীরের প্রতিটি লোমকুপে শিহরন জাগলো, র্গবে ।
হাত-পা কাঁপতে থাকলো ক্রোধে ।
দেশ স্বাধীন করার পেছনে যে প্রবল আকাঙ্খা আর মুক্তযুদ্ধের প্রতি যে ভালোবাসা নিয়ে সেদিন কোটি কোটি খালি হাত যেভাবে বন্দুকের বিরূদ্ধে র্গজে উঠেছিলো তাকে যদি কেউ সামান্যতমও অনুভব করে থাকেন তবে তার হাত-পা কাঁপতেই থাকবে আমার মতো ক্রোধে । কাঁপা উচিৎ । আর যারা লোক দেখানো “ক্রন্দন” করে থাকেন তাদের অবশ্য এতে কিছুই যাবে আসবেনা । সেকথাও লিখেছেন নিঝুম ।
রাজাকার সাঈদীর মুক্তির দাবীতে লন্ডনে স্বাধীনতা বিরোধীদের যে সমাবেশ হয়েছিলো তারই প্রতিবাদে হাতে গোনা কয়েকজনকে নিয়ে“স্যান্ডি”র মতো তোলপাড় করে ঝাঁপিয়ে পড়া নিঝুম মজুমদার লিখেছেন – “.....আর আমরা ছিলাম শুধু ৩২ জন। আমাদের ছিলো না অর্থের ক্ষমতা, ছিলো না রাজনৈতিক তকমা, ছিলো না বলবার মত কোনো পরিচয়। এরি মধ্যে নানান দেশের লোক জড়ো হয়ে গিয়েছিলো সেখানে। সবাই জানতে চাচ্ছিলেন কী হয়েছে। আস্তে আস্তে সবাই জানলেন কী হয়েছে এবং আজ আমরা কেন এইখানে...”
উনি আরো লিখেছেন -
“ ....সে কথা মোতাবেক আমরা সেই অনুষ্ঠান স্থলে একে একে দাঁড়িয়ে গেলাম। ফয়সাল ভাই বাংলাদেশের একটা বিশাল পতাকা এনেছিলেন, আরিফ ভাই এনেছিলেন পোস্টার, আমি এনেছিলাম প্ল্যাকার্ড। ব্যাস শুরু হয়ে গেলো আমাদের স্লোগান। আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে স্লোগান দিচ্ছিলাম, মনে হচ্ছিলো যেন যুদ্ধের ময়দানে আছি। মনে হচ্ছিলো যেন ৩০ লক্ষ স্বজন আমাদের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছেন। আর তাদের সেই হাসির সাথে গড়িয়ে পড়ছে তাদের চোখের অশ্র..”

এটুকু পড়তে পড়তে আমার নিজেরই চোখের কোন ভিজে উঠছিলো ।
আর পাশাপাশি কাঁপছিলো হাত-পা । কারন নিঝুম লিখেছেন –
“......আমরা কয়েকজন মিলে ক্রমাগতভাবে লন্ডনের স্থানীয় নেতাদের ফোন দিচ্ছিলাম। প্রথম দফায় তাঁরা ফোন করবার কারন জানতেন না বলে স্বাভাবিকভাবেই ফোন ধরেছিলেন, কিন্তু পরে যখন সাহায্য চাইলাম এই অনুষ্ঠানের কথা বলে তখন তাঁরা এক কথাতেই বলে দিলেন “অবশ্যই আমরা কর্মীদের নিয়ে আসব, কতজন লাগবে বলো?” খুব স্বাভাবিকভাবেই আমরা আন্দোলিত হয়ে উঠি এই কথায়। এরপর আমরা অন্যান্য সংগঠনের নেতাদের ফোন দেই। কেউ কেউ মুখের উপরেই নানান ধরনের থিওরী আওড়াতে থাকেন। বলেন, সেখানে জামাতের, বি এন পি’র হাজার হাজার সমর্থক যাবে আর আমরা এত শর্ট নোটিশে ওদের মত মানুষ যোগার না করতে পারলে তো বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যাব, কেউ বা আবার বললেন যে, “ধুর, জামাত অনুষ্ঠান করুক। এরা এমন প্রায়ই করে। যাবার দরকার কি ? এভাবে নানা মুনির নানা মতে আমরা শংকিত হতে লাগলাম। একটা পর্যায়ে বুঝলাম যে এই নেতারা মূলত আমাদের কোনো সাহায্যই করবেন না বরং আমাদের এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে তারা ডিমোরালাইজড করবার পাঁয়তারাই করছেন আদতে। আর যেই নেতা তার দলবল নিয়ে আসবেন বলে কথা দিয়েছিলেন তিনি অনুষ্ঠানের আগে আমার ফোনটি পর্যন্ত আর ধরেন নি। পাছে না জানি আবার ঝামেলায় পড়তে হয়, এই ভেবে......
যা বুঝবার বুঝে নিয়ে আমরা ক’জন ফেসবুকেই প্রচারণা চালাতে থাকি। উপরের ওই বড় বড় তথাকথিত নেতাদের যে আচরণ পেয়েছিলাম ঠিক তার একই রকম কিছু আচরণ পাই পরিচিত অনেকের কাছ থেকেই। সবারই কাজ, সবারই পরিবার, সবারই পার্টি, সবারই নানান ব্যাস্ততার অজুহাত। নিজেকে মনে হচ্ছিলো চূড়ান্ত রকমের অসহায়....”।

এটুকু পড়েই আমি একাত্ম হয়ে গেছি সেই অসহায় (?) ৩২ জনের সাথে । সেই মুর্হূতে ঐ ৩২ জন হয়ে উঠেছিলেন জগতে আমার পরমাত্মীয় ।
সাবাস নিঝুম , এগিয়ে যান । এগিয়ে যাক আপনার সর্তীথরা । দেশকে ভালোবাসতে পেরেছেন , একথা জেনে আপনাদের অভিনন্দন ।
র্দীঘজীবি হোন .....

[ প্রিয় পাঠক, যদি সামান্যতম্ ভালোবাসা্ও থাকে দেশের প্রতি তবে এবিষয়ে প্রতিবাদী হোন যার যার অবস্থান থেকে ..
নীতিগত ভাবে আমি খবরের কপিপেষ্ট করিনা বা খবরের কথা বলিনি কখোন্ও । দেশ বলে কথা, তাই বিষয়টি সকল নীতি এমোনকি আমার নিজস্ব নীতির ও উর্দ্ধে স্থান পেয়েছে বলে খবরটির উল্লেখ করেছি ।]


পাঠকের অনুরোধে লিংক - Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১২
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×