somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুধু চেহারার নয় বরং মেয়েদের মানসিক ও শারীরিক সৌন্দর্যও একজন ভদ্র পুরুষের কাম্য।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয়ে ছেলে এবং মেয়েদের বিবেচনার যথেষ্ট ফারাক আছে। সুন্দরী মেয়েদের প্রতি ছেলেদের আকর্ষণ তীব্র। কিন্তু মেয়েদের বিবেচনায় বুদ্ধিমান ছেলেদের চাহিদাই এগিয়ে। সুন্দর ও বুদ্ধিমান হলে সবচাইতে ভালো। তবে সুন্দর না হলেও বুদ্ধিমান ছেলেদের বিষয়ে তীব্র আগ্রহ রয়েছে মেয়েদের। ছেলেরা যেমন সুন্দরী মেয়েদের বিষয়ে তীব্র আগ্রহী, মেয়েরা তেমনই বুদ্ধিমান ছেলেদের বিষয়ে আগ্রহী।
ছেলেরা এখনও ফর্সা মেয়ের প্রতিই তীব্র আগ্রহী। অন্যদিকে মেয়েরা ফর্সার চাইতে শ্যামলা রঙের ছেলেদের ব্যাপারে আগ্রহী। উচ্চতার ক্ষেত্রেও ছেলেরা একমুখী। তারা চায় তার স্ত্রী লম্বায় তার চাইতে খাটো হোক। সমবয়সীকে বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের কিছুটা আগ্রহ থাকলেও ছেলেরা মোটেই আগ্রহী নন। তারা বয়সে কম এবং ৩ থেকে ৭ বছর বয়সের ব্যবধান রাখতেই আগ্রহী।
ঔপনিবেশ দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা তাড়িত পুরুষতান্ত্রিক ভাবনা থেকে নতুন প্রজন্মের ছেলেরা খুব একটা বেরিয়ে এসেছে এ কথা বলা যায় না। বরং মেয়েদের ভাবনার ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বাহ্যিক সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে তারা অনেক বেশি বাস্তববাদী, বিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নিতে আগ্রহী।

নিজের পছন্দে বিয়ে করতে অধিকতর আগ্রহী ছেলেমেয়ে উভয়েই। পরিবারের পছন্দকেও গুরুত্ব দিতে চান মেয়েরা। প্রেমিককে বর হিসেবেও পেতে চান তারা। বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে অনাগ্রহী মেয়েরা। যারা এটাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাদের বড় অংশ মনে করেন বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক হলেও সেটা একমাত্র প্রেমিকের সঙ্গেই হতে পারে। এক্ষেত্রে ছেলেদের অবস্থান ভিন্নতর। তারা বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে যথেষ্ট আগ্রহী। সেক্ষেত্রে তারা প্রেমিকার বাইরে একাধিক জনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে যথেষ্ট উৎসাহী।
এই বহুগামিতার আকাক্সক্ষা এবং প্রেম করেও তাকে বিয়ে করতে না চাওয়ার যে প্রবণতা সেটা পুরুষতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী সমাজ দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন। সুতরাং শিক্ষায়, যোগ্যতায় বাড়লেও পুরুষ যে সেই পুরনো কর্তৃত্ববাদী ভূমিকা থেকে সরে এসেছে এই ভাবনা ভাবার সময় এখনও আসেনি। বরং এক্ষেত্রে মেয়েদের ভাবনার অগ্রগামিতা চোখে পড়ার মতো।

পুরুষ ও নারীর শারীরিক গঠনের দিকে তাকালে উপরের পরিচ্ছেদের ধারণার সপক্ষে সূত্র পরিষ্কার হয়ে পড়ে। মেয়েদের শরীরে সন্তান-ধারণ করার উপযোগী যান্ত্রিক কৌশল বিদ্যমান। শুধু তাই নয়, ভূমিষ্ঠ হলে শিশুর মুখে তুলে দেয়ার দুধও তার বুকে। ব্যাপারটা এমনও হতে পারত যে পুরুষের একটা স্তন আর মেয়ের একটা। আবার ছেলেদেরও জরায়ু থাকতে পারত; হয়ত দশ মাস পাঁচ পাঁচ করে ভাগাভাগি হত। কিন্তু, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, ছেলেটার কোন জরায়ু স্তন কিছুই নেই। তার আছে দৃঢ় শরীর; শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে সন্তানের খোরাক জোগান তাকেই মানায় কারণ সূর্যের তাপে গতর খাটানো মেয়েদের জন্য যদি সম্ভবও হয়, তা তাদের জন্য অমানবিকভাবে কঠিন (মেয়েরা তাদের শারীরিক সৌন্দর্যের ব্যাপারে পুরুষদের তুলনায় অনেকগুন বেশি সংবেদনশীল; আর এটি আজ যেমন সত্য, গত আর আগামীকালেও সত্য। এটি বাংলাদেশে যেমন সত্য, ইউরোপে আর আমেরিকাতেও তেমনি সত্য। আর গতর খাটানো কাজ করলে মেয়েদের শারীরিক সৌন্দর্য টেকে না)।

মেয়েদের শারীরিক সৌন্দর্য অবশ্যই সব পুরুষের কাম্য, কেননা যে যত যাই বলুক, ৩০ এর পর মেয়েদের আসলে ন্যাচারাল সৌন্দর্য কমতে থাকে, কমবেই।আমার এক ঘনিষ্ঠ সাহিত্যিক বন্ধুর আবার এ ব্যাপারে সরাসরি কথা-"যে যত বড় পাহাড়ের অধিকারিণীই হউক না কেন,একসময় সেই প্রাকৃতিক পাহাড়ের ধ্বস নামবেই;কোন কসমেটিকই কোনরকম কাজে আসবে না!"

এই তথাকথিত "প্রাকৃতিক পাহাড়"বলতে আসলে আমার তেমন কোন ধারণা ছিল না;এটা বলতেই উক্ত বন্ধু হুট করে কোথা থেকে যেন বের করে একটি ছবি আমার হাতে ধরিয়ে দিলো আর চড়া স্বরে ধমক দিয়ে বলল-"এই নে রামছাগল,ভালো করে দেখে নে প্রাকৃতিক পাহাড় কারে কয়!"

বলাবাহুল্য,বন্ধুর ধমক খেয়ে প্রথম পর্যায়ে একটু ভড়কে গেলেও তার দেওয়া ছবিটা দেখে মনে মনে বলতে বাধ্য হলাম-"খাইছে আমারে!প্রাকৃতিক পাহাড় বুঝি এরেই কয়!!!"
৩৬টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×