somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাক্সবন্দী পান্ডুলিপি

০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার মৃত্যু হয়েছে পাঁচ বছর হলো।
অবশ্য যদি সবকিছু ঠিকমত হয়ে থাকে তো। মজা না? ক’বছর আগে আমার মৃত্যু হয়েছে তা আমি বলে দিতে পারছি! আসলে মজা না কচু। জলজ্যান্ত মানুষ এখন বসে বসে লিখছি। কিন্তু লেখাটা রেখে যাবো বাক্সবন্দী। আমি ভক্তপরিবেষ্ঠিত মানুষ। আছে প্রেমময়ী স্ত্রী বেনু। বয়সের বিচারে মৃত্যুর হিসাব করলে সে আমার মৃত্যুর পর অন্তত কুড়ি বছরের বেশী বেঁচে থাকা উচিৎ। অবশ্য তেল ফুড়াইয়া গেলেই যে বাত্তি নিভিয়া যায় তা না। ফু দিলেও নিভে, ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়েও নিভে। বেনু বুদ্ধিমতী মেয়ে, ফু এ বা ধাক্কায় নিভে যাওয়ার মেয়ে না। তাই যে লেখাগুলো বাক্সবন্দী থাকলো তা সময় মত একে একে সে প্রকাশ করতে পারবে। জানি আমি।

দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখী করছি। যে বন্ধুরা মনে করতেন, ব্যাটা মরলেই বাঁচি। দুঃখিত বন্ধুবর, মরলাম কিন্তু আপনাদেরকে এখনো বাঁচাতে পারছি না।

আমার প্রকাশকরা আড়ালে আমাকে বকেন। নগদ টাকা ছাড়া নাকি আমি লেখায় হাত দেই না। বক্সবন্দী লেখাগুলোর খবরও তাঁরা জানেন। শুধু যে জানেন তা না। খবর ও রাখেন। কারন চড়া মূল্যে এগুলোর এডভান্স টাকা তারা অলরেডি দিয়ে বসে আছেন। আদৌ জানেন না ভিতরে কয়টা লেখা আছে। মীর প্রকাশনার মীর লুৎফর সাহেব আছেন বড় টেনশানে। কারন আমার মজা করার স্বভাবের সাথে তিনি পরিচিত। তার ধারণা আমার সবচেয়ে নির্মম মজাটা আমি তার সাথে করে যাবো। তার আরো ধারণা আমার মৃত্যুর পর এই বইয়ের মূড়ক এমন হবে যে বই কেনার আগে তার ভিতর কি আছে তা দেখা যাবে না। বই কিনার পর দেখা যাবে বই ছাপা হয়েছে কিন্তু বইয়ের পাতা কাটা হয়নি। পাঠক একে একে পাতা কাটবেন কিন্তু কিছু লেখা থাকবে না। শেষ পৃষ্ঠায় লেখা থাকবে - বিদায়। আর পাঠকরা লুৎফর সাহেবের চির বিদায়ের ব্যাবস্থা করবেন। মাঝখান থেকে চড়া মূল্যের কিছু টাকা গচ্ছা গেলো। সাধারণত প্রকাশকরা আমাকে তাড়া দিতে বলেন - কত দূর? লুৎফর সাহেব ইদানিং জিজ্ঞাসা করছেন - কত শব্দ!
আমি তার ভয় বাড়িয়ে দিয়ে বলি, শ্শ্শ্, সাইল্যান্স হ্যাজ নো ওয়ার্ড।

ভবিষ্যৎ নিয়ে লেখায় ঝামেলা আছে। যেমন, এখন লেখতে যাচ্ছিলাম যে মাথায় লেখার কোন আইডিয়াই পাচ্ছি না। বারান্দায় গিয়ে পরপর দুইটা বেনসন এ্যান্ড হ্যাজেস এর সুইস সিগারেট খেয়ে আসলাম। কিন্তু আমার মৃত্যুর পাঁচ বছর পর দেখা গেলো এই সিগারেট ডিসকন্টিনিউড হয়ে গেছে, তখন? ট্রাজেডি আরো হতে পারে। দেখা গেলো বাক্সবন্দী’র লুৎফর সাহেবের পার্ট লেখা শেষ। লেখা বাক্সবন্দী করা হলো। কিন্তু আমার মৃত্যুর কোন লক্ষণ নাই। সুইস সিগারেট এরই মধ্যে ডিসকন্টিনিউড হয়ে গেলো। যে বাক্স কেউ খুলতে পারবে না সেই বাক্স কি আমি নিজে খুলেই মৃত্যুর পরবর্তী লেখা এডিট করবো? শুরু করেছিলাম বাংলা ফাইভ সিগারেট দিয়ে। গুটা গুটা তিনটা ইংরেজী ফাইফ ডিজিট ছাপা যে সিগারেটে এই সিগারেটের নাম বাংলা ফাইভ। আহারে ইংরেজী সংখ্যা ফাইভ, কি লজ্জা! এরপর ব্যানসন এন্ড হেজেস। এখন খাচ্ছি সুইস। সুইস সিগারেট খেতে তেমন মজা লাগছে না। মজা লাগছে দুই তিনটা টান দেওয়ার পর ভিতরের ম্যন্থল এর বিচি টা টুশ্ করে ফাটাতে। এরপর আহা ম্যন্থল ফ্রেস।

বাংলা বাগধারা আছে, ঘুঘু দেখেছো ফাঁদ দেখোনি। আমি চোখের সামনে ফাঁদ দেখছি। আর ঘুঘুটা মাথার ভিতর তৈরী হচ্ছে। ফাঁদ হলো একটা ট্রাংক। হোষ্টেলে ছাত্ররা যেই ট্রাংক নিয়ে ওঠে এই ট্রাংক। এই ট্রাংক সাধারন ট্রাংক না। মানিকগঞ্জ ষ্টিল রিসার্স দোকান থেকে স্পেশাল অর্ডার দিয়ে বানানো স্টেইনল্যাসষ্টিলের ট্রাংক। হোমিওপ্যাথির ডাক্তাররা তাদের চেম্বারের নামের শেসে রিসার্চ লিখেন। যেমন কলকাতা হোমিও রিসার্স সেন্টার। যে ভদ্রলোক এই দোকানের মধ্যে ডাক্তারী এপ্রন পড়ে বসে থাকেন তিনি ভারতপ্রেমী বলে মনে হবার কোন কারন থাকে না। অথচ দোকানের নাম কলকাতা হোমিও রিসার্স সেন্টার। আর এই মানিকগঞ্জ ষ্টিল রিসার্স দোকানের ভদ্রলোক কী নিয়ে রিসার্চের করেন তা বোধগম্য হলো না। নাকের ময়লা বিষয়ে অবশ্য ভদ্রলোককে রিসার্সার বলা যায় নিঃসন্দেহে। ভ্র“, চোখ, মুখ বাঁকা করে করে নাকের ভিতর থেকে চুল ছিড়ে আনেন এবং ময়লা বের করে এনে আবার তা খুটিয়ে খুটিয়ে দেখেন। ময়লাকে বলের মত বানিয়ে এক হাত থেকে আর এক হাতে ট্রান্সফার করেন। ডিসকভারী চ্যানেলের লোকজন এই ক্যারেক্টার নিয়ে নিশ্চই কিছু একটা বানিয়ে ফেলতে পারতো। পনেরা হাজার ছয় শত টাকা খরচ করে ট্রাংক বানানো হলো। পূর্ব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলো। এবার পশ্চিমের পালা। পশ্চিম বলতে গল্পের ঘুঘু।

“মৃত্যুতে পারে সব দেনা শোধ করে দিতে”। হঠাৎ করেই কবিগুরুর এই বাণী খুরের আঁচরের মত হৃদয়টাকে চিড় করে গেলো। ভাবলাম, আমার তো মৃত্যুতে সব দেনা শোধ হবে না! আমার জীবনটা আমারই ছিলো। আমার মত করেই কাটিয়েছি। কিছুটা বাহবা পাওয়ার নেশায় একদিন টুকটাক করে লেখালেখি শুরু করেছিলাম। হাটি হাটি পা পা করে লেখক হয়ে গেলাম। নিতান্তই যা সখ ছিলো তা জীবিকা হয়ে গেলো। একে একে অনেক লেখা হলো। যা ই লিখলাম পাঠকের নিজের জীবনের সাথে মিলে গেল। গল্প লেখা আসলে ক্যামেরায় ছবি তোলার মত। সাধারণ চোখে যা খেয়াল করেও দেখা হয় না তা ক্যামেরায় ছবি তোলার পর অন্যরকম হয়ে ধরা দেয় ছবিতে। আমিও যা দেখলাম, যা ভাবলাম তাই লেখলাম। পাঠকের চোখে অন্যরকম হয়ে ধরা দিলো। আমার চোখে দেখা দৃশ্য হয়ে গেলো কোটি হৃদয়ের চোখে দেখা। আমি এক ব্যাক্তি হয়ে গেলাম কোটি মানুষের। তাই ব্যাক্তিগত সুখ, দুঃখ তা সে পাবলিকই হোক আর প্রাইভেট সবই হয়ে গেলো কোটি মানুষের। ব্যাক্তিগত ভুল কেন কোটি মানুষের হবে? তাই ব্যাক্তিগত ভুল হয়ে গেলো আমার। কোটি মানুষ এতে কষ্ট পেলেন। কেউ কেউ কষ্ট পেলেন না, কড়া সমালোচক হয়ে গেলেন। আবার কেউ কেউ আমার ব্যাক্তিগত ভুলটাকে স্বাভাবিক মেনে নিলেন। নিজে যে এমন ভুল করতে পারেন যে কোন সময় সেই ভয়ও মনে পুষলেন। কিন্তু সমালোচনায় নিশ্চুপ রইলেন না। অবশ্য একটা শ্রেনী রইলো যারা আগের আমাকে পরের আমি থেকে আলাদা করেননি। তাদের কাছে যাহাই করি, তাহারই রাইট আমার আছে। অতি অবশ্যই আছে। আমার মনে হলো আমার মৃত্যু অন্তত সেইসব হৃদয়ের ভালবাসার শোধ দিতে পারবে না, যারা ভালবাসতেন। আমি অভাজন, আমাকে নিয়ে কবিগুরুও কিছু লিখে যাননি। কবিগুরুর লেখা ছিলো সেইসব ভাগ্যবানদের জন্য যারা জীবনে ভালবাসা কম পেলেও মরনে তাদের সব দেনা শোধ হয়ে যায়। আর আমি এই এক জীবনে ভালবাসা কত পেয়েছি তার কথা আমার বহু বই এ আমি নানান ভাবে লিখেছি। কবিগুরু আমার মৃত্যুতে দেনা কি দিয়ে শোধ হবে?

মৃত্যুকে আমি তিনটা ইংরেজী অক্ষর দিয়ে সব সময় ডিফাইন করি। পি এন আর - পয়েন্ট অব নো রিটার্ণ। হুম, সিম্পল। পয়েন্ট অব নো রিটার্ণ। জয় গোস্বামীর একটা কবিতায় তিনি লিখেছিলেন হঠাৎ করে মরে গেলে কিছু কিছু জিনিসের কি হবে? ড্রয়েরে কিছু গোপন প্রেমের চিঠি আছে। এগুলোর কি হবে? আমার এক ছোট ভাই টাইপ বন্ধু আছে ফরহাদ নাম। সে মাঝে মাঝে আমাকে খুব টেনশান নিয়ে একটা প্রশ্ন করে। প্রশ্নটা হলো, যদি সে মরে যায় তাহলে ল্যাপটপটার কি হবে? এর ভিতরে তো অর্ধেকের বেশী বড়দের ভিডিও। এমনকি লাইফে যত মেয়ের সাথে ফোনে ফোনে বড়দের কথাবার্তা বলেছে সব রেকর্ড আছে এতে। ফরহাদের কাছে বউ হলো গরম পেপসি আর ল্যাপটপের ওইগুলো হলো কোল্ড পেপসি, আহা । খুব চিন্তিত স্বরে বলে, বুঝলেন বড় ভাই, পয়েন্ট অব নো রিটার্ণ। মাঝে মাঝে সে সব মুছে ফেলে। আবার দেখা যায় সব ফেরত চলে আসে। ঘটনা হলো এই সবের ব্যাকআপ সে অন্তত পচিশটা জায়গার রেখে দিয়েছে। কারন তার মুছে ফেলার স্বভাবের সাথে সে পরিচিত। আমি তো আমার জীবনের কিছু বাঁকের কোন ব্যাকআপ রাখিনি। আমি তো পারছিনা কিছু কিছু জিনিস মুছতে! আর মুছবই বা কেন? যারা আমাকে ভালোবাসেন তারা কি আমার সব কিছু নিয়ে ভালো বাসেন না? আর সবকিছু নিয়ে যদি ভাল নাই বাসেন তবে তা কেমন ভালবাসা? এমনও কি ভালবাসা হয়? নিশ্চই হয়।

এই বাক্সবন্দী পান্ডুলিপির উদ্দেশ্য হলো পি এন আর কে কিছুটা ঠেকানোর চেষ্টা। আয়নায় টর্চ লাইট মারলে যেমন একটা প্রতিবিম্ব গিয়ে আবার আর একটা ফেরত আসে এই কারবার করছি, আর কিছু না। বেঁচে থেকেই পি এন আর ছুঁয়ে আবার রিটার্ণ করলাম। দেহ মিশবে ধরাধামে / তবু বই বেরুবে আমার নামে।

ব্যাক্তিগত জীবন সম্বর্কে আসলে কিন্তু একটা লেখকের বেশী কিছু বলার থাকে না। কারন যা লেখা হয় তাতে নিজের অভিজ্ঞতাগুলোই কিছুটা কল্পনা মিশিয়ে লেখা হয়। অনেক সময় যা হয় তা হলো, অন্যের কাছে শুনা গল্প হুবহু তুলে ধরা হয়। লেখক ঐ ব্যাক্তির কাছে গল্পের জন্য কৃতজ্ঞ থাকেন। আর ঐ ব্যাক্তি কৃতজ্ঞ থাকে লেখকের কাছে। কারন তার জীবন ওঠে আসে লেখকের কলমে। লেখকের কৃতিত্ব এখানে শুধু বর্ননাটুকু, ব্যাস।

লেখক মানেই প্রায় সময় বন্ধুজন ও পরিবারের কাছে কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় পরেন। কারন এমন একটা ঘটনা হয়ত ঘটলো যা আশেপাশের মানুষজন জানে। লেখক এই ঘটনাটা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে কোন একটা চরিত্রে ঢুকিয়ে দিলেন। লেখক কিন্তু জানেন তার আশেপাশের মানুষজনরা ঠিকই ধরতে পেরেছে। এই বিষয়টা বিড়ম্বনা হয়ে দাড়ায় সহধর্মীনীর ক্ষেত্রে। কারন তিনি যদি গল্পের ছলেও তিল ধরতে পারেন বাস্তবের সাথে মিল রেখে তাহলে আর যায় কোথায়। তালের চাপ কাহাকে বলে তাহা লেখক বেচারার পারিবারিক জীবনের উপর দিয়ে তার সংঙা সহ উদাহরণ যায়। একটা গোপন কথা বলে রাখি, বিবাহিত লেখকরা তবু অবিবাহিতদের তুলনায় ভালো লেখেন। হয়ত সম্ভাব্য বিপদ কাটানোর আপ্রান প্রয়াসটুকুই লেখার মান ভাল করে দেয়। বাস্তবের ঘটনা সরাসরি বলা যাবে না তই নানান উপমার আশ্রয় নেওয়া লাগে। এতেই হয়ত পাঠক ভিন্ন এক মাত্রা পান।

মূল প্রসঙ্গ থেকে দূরে সরে এসেছি। আমার জীবদ্দশায় আমি এক শ্রেনীর পাঠক তৈরী করতে পেরেছি যারা আমার অভ। অ এ অন্ধ ভ এ ভক্ত। এই অভরা যেন মিসগাইডেড না হয় তারও একটা চেষ্টা কিন্তু আমি করে যাচ্ছি এই লেখায়। একটা লেখায় জোছনা দেখা কমিটি’র কথা বলেছিলাম। সত্যি সত্যি এমন কমিটি তৈরী হয়ে গেল। অভদের কাজ। অভরা বেশ আয়োজন করেই জোছনা দেখতে নেমে গেল রাস্তায়। একে একে দুই, দুই এ এক এ তিন করে করে মানুষ বাড়তে থাকল। আর মানুষের জামায়েত মানেই মিছিল। মিছিল শুরু হল, জোছনায় থাকবে না কোন আলো। দুই একটা ষ্ট্রিট লাইটও ভাঙ্গা হলো। পুলিশি প্রহার শুরু হল। উত্তরা থানার ওসি আমাকে ফোন দিয়ে বল্লেন লোকজনদেরকে যেন আমি বাসায় ফিরে যেতে বলি। আমি লেখক মানুষ, আমিতো বক্তা না! আমি কি বলব? তবু জ্বর নিয়ে এই বয়সে আমাকে রাস্তায় নামতে হল।

বাক্সবন্দী পান্ডুলিপি লেখা শুরু হল। ব্যাক্তি আমি কোনভাবেই গুরুত্বপূর্ণ কেউ না। লেখা যারা ভালবাসেন বা বাসেন না তাদের কেউ কেউ ব্যাক্তি আমাকে নিয়ে, আমার সাংসারিক সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক বেশী আলোচনা সমালোচনা করেন। কাজী নজরুল ইসলামরেম মত মহান মানুষ লিখে গেছেন - আমায় নহে গো / ভালবাসো শুধু / ভালবাসো মোর গান। আমি অভাজন, আমি নজরুলের মত কেবল ভালবাসাই পাইনি, ঘৃণাও পেয়েছি। আমি বলতে পারছি না - আমায় নহে গো ভালবাসো বা ঘৃণা কর আমার লেখা। মৃত্যুর আগে নিজেকে সঠিক প্রমান করতে কাউকে দোষী করিনি, মরার পর কেন করবো? যখন পাঠক এই লেখা পড়ছেন তখন আমি আর বেঁচে নেই। আমার লেখাগুলো কিন্তু আছে। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন - আমার এই সৃষ্টিরে আমি করিনা বিশ্বাস / জানি কাল সিন্ধু তারে নিয়ত তরঙ্গাঘাতে / দিনে দিনে দিবে ল্প্তু করি। কবিগুরু আকাশ হলে আমি তার মাঝে এক চিলতে ভেসে থাকা মেঘের চেয়ে বড় কিছু না। আমার লেখাও একদিন লুপ্ত হবে। তবে এরও আগে লুপ্ত হবে আমাকে নিয়ে সবার সব ঘৃণা। জানি আমি।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×