somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসনে দেশী চ্যানেল দায়ী

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভারতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসনের কথা আমরা প্রায়ই বলি। আমাদের চ্যানেলগুলো ভারতে প্রবেশাধিকার পায় নি। কিন্তু আমাদের সরকার তাদের চ্যানেলগুলো এদেশে প্রদর্শনের সুযোগ দিচ্ছে, এটা নির্মম সত্য। বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি মিলে ২৩ টি টিভি চ্যানেল রয়েছে। আমরা যদি প্রথমেই বলি আমাদের দেশের মানুষ কেন ভারতীয় টিভি চ্যানেল দেখে তার কয়েকটি কারণ আমার মনে হয়ঃ
১। তাদের অনুষ্ঠানের সময়ানুবর্তিতা। (নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠান শুরু ও শেষ হওয়া)
২। অনেকের মতে তাদের অনুষ্ঠান অনেক আকর্ষনীয়। (মান নিয়ে মতান্তর আছে)
৩। অনেক অনুষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে চলে এবং স্ক্রীপ্টগুলো সমসাময়িক করে।
৪। এক এক চ্যানেল এক এক ধরণের অনুষ্ঠান করে, যেমন, স্পোর্টস চ্যানেল, সিনেমা, ইত্যাদি।
৫। বেশীরভাগ সময় বোরিং টাইপের টক শো হয় না।
৬। প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় খবর হয় না।

এবার দেখি আমরা আমাদের চ্যানেলগুলো দেখতে চাই না কেন?
১। খুব জনপ্রিয় ও আকর্ষনীয় অনুষ্ঠান সাধারণত হয় না। (যেমন হুমায়ন আহমেদের নাটক ‘ কোথাও কেউ নেই’, সালাউদ্দিন লাভলুর, ‘রঙের মানুষ’ এমন দর্শক প্রিয় অনষ্ঠান দেখা যায় না)
২। চ্যানেলগুলো খিঁচুড়ি টাইপের মানহীন অনুষ্ঠান প্রচার করে।
৩। অনুষ্ঠানের সময়ানুবর্তিতা বলে কিছু নেই। নয়টার অনুষ্ঠান ১০ টার পরে হয়।
৪। বিরক্তিকর টক শো।
৫। অনুষ্ঠান দর্শকপ্রিয় হওয়ার মত নয়।
৬। সারাদিন খবর হতেই থাকে।
একথা অনস্বীকার্য যে আমাদের সংস্কৃতি অনেক আকর্ষনীয়, আমাদের নাটকগুলো একসময় অনেক মানসম্মত ছিল, আমাদের চলচ্চিত্রের একসময় সোনালী দিন ছিল, আমাদের দেশেও অনেক মানসম্মত নির্মাতা, অভিনেতা আছে। কন্তু যার যা করার কথা সেটা করা হয় না। আমরা প্রচণ্ড লোভী হয়ে উঠেছি। সংস্কৃতি চলে গেছে মানহীন ব্যবসায়ীদের হাতে। আমরা আমাদের চ্যানেলগুলোতে মানসম্মত , জনপ্রিয় হবার মত অনুষ্ঠান চাই যাতে ডিশ সংযোগ থাকলেও আমাদের দর্শকেরা দেশী চ্যানেল দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×