এক টাকার ভবিষ্যত
আসলে এক টাকার কি কোনো দাম আছে? চকোলেট আর সানসিল্ক শ্যাম্পু ছাড়া দোকানে এক টাকার কোনো পণ্য নেই। লোকাল বাসে এক টাকার ভাড়া নেই। এক খিলি পানও এখন এক টাকায় পাওয়া যায় না। ঢাকা শহরের অনেক ভিক্ষুকও হয়তো এক টাকা নিতে ইতস্তত করবেন। তবে আগে যে পানি মানুষ সেবা হিসেবে পেত এখন সেটা কোথাও কোথাও ফিল্টারের মোড়কে এক গ্গ্নাস এক টাকা করে পান করেন। সেখানেও অনেক সময় এক টাকার দুষ্প্রাপ্যতার জন্য দুই গ্গ্নাস পানি পান করতে বাধ্য হন।
এ রকম যে মুদ্রা সবার কাছে নেই, যার কোনো প্রত্যক্ষ বিনিময় নেই সেটি হারিয়ে যেতে বাধ্য। ছোটবেলায় আমরা এক পয়সা ও পাঁচ পয়সার কয়েন দেখেছি, সেটি এখন নেই। দশ পয়সার কয়েন ছিল সেটিও নেই। পঁচিশ পয়সার কয়েন তো অহরহই দেখা যেত; পঁচিশ পয়সা দিয়ে চকোলেট, বিস্কুট পাওয়া যেত। আর পঞ্চাশ পয়সা কিছুদিন আগেও পাওয়া যেত; এখন সেটা দুর্লভ বস্তু। এক টাকাও এদের কাতারে। এক টাকার কাগুজে নোটের মুদ্রণ আট বছর ধরে বন্ধ আছে, আর মার্চ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এটি বাজারে না ছাড়ায় সেটাও হারিয়ে যাচ্ছে। এক টাকার কয়েনও পাওয়া যাচ্ছে না। ক'দিন পর হয়তো জাদুঘরে হবে এদের স্থান, দেখা যাবে পুরনো মুদ্রা প্রদর্শনীতে। এখন তো মুদ্রা প্রদর্শনী হয়। যেমন, এ বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এইচএসবিসি যৌথভাবে 'আবহমান বাংলার মুদ্রা ও কাগজি নোট' শিরোনামে পক্ষকালব্যাপী এক প্রদর্শনীর আয়োজন করতে আমরা দেখেছি।
তবে ইতিমধ্যে এক টাকার লাল-হলদে কয়েন নিয়ে দেশব্যাপী এক হুলস্থূল কাণ্ড ঘটে গেছে। সেটা ২০১০-এর শেষ দিকে। এক টাকার ওই কয়েন কোথাও একশ'-দুইশ' এমনকি পাঁচশ' টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। অনেকেই তখন বড়লোক হওয়ার আশায় পয়সার ব্যবসায় নেমে পড়েন। ওই কয়েনে নাকি মূল্যবান ধাতু রয়েছে এ রকম গুজব শোনা গিয়েছিল। পরে আসলে কী হয়েছিল তা জানা নেই। সে সময় হয়তো অনেকে মাটির ব্যাংক ভেঙে কিংবা সব খুঁজে এক টাকার কয়েন বের করেছিলেন। এখনও যদি এ রকম কোনো গুজব রটে সে পয়সা হয়তো বের হবে।
মজার বিষয় হলো, এক টাকার নোট আর মুদ্রার বাইরেও আরেকটা জিনিস এক টাকার মুদ্রা হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। চকোলেট। অনেক দোকানি এখন এক টাকার বদলে চকোলেট ধরিয়ে দেন। দোকানির কাছে নোট কিংবা কয়েন নেই, চকোলেট আছে। অনেকে বাধ্য হয়ে নেন, অনেকে আবার ঝগড়া বাধিয়ে দেন। আসলে দোকানির কাছে যে এক টাকার কোনো মুদ্রা নেই। ফলে এখন চকোলেটই ভরসা।
এক টাকার নোট যেমন আর পাওয়া যাবে না, তেমনি কয়েনও হয়তো হারিয়ে যাবে। এরপরও অনেকের কাছে থাকবে। অনেকের বিচিত্র শখের মধ্যে পুরনো মুদ্রা সংগ্রহ করাও একটা শখ। তারা নিশ্চয়ই সংগ্রহ করে রাখবেন। আর এক টাকা দিয়ে যে একসময় অনেক কিছু পাওয়া যেত, অন্যরা হয়তো ভবিষ্যতে সে স্মৃতিচারণ করবেন।
এখানেও আছে
কুরসি নাশিন
সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে
তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ
১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা
গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন
সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে
সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।
কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।
যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন
বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!
যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।
কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!
ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন