somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধ্যানে দেহ জগৎ দর্শন

০১ লা নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সৃষ্টিকর্তা গুপ্ত ও অব্যক্ত ছিলেন । তখন উনার কোন প্রশংসা ছিল না, তার প্রশংসার প্রকাশ তখনও আরম্ভ হয়নাই। তিনি “নূর” অর্থাৎ “জ্যোতির্ময়”।
“নূরে মোহাম্মাদী” রূপে যখন আত্মপ্রকাশ করলেন, তখন উহাই হইল তাহার সকল প্রশংসার আধার, সমগ্র সৃষ্টি “নূরে মোহাম্মাদী” হতে আগত হয়েছে এবং হইতেছে। সুতরাং, সমস্ত প্রশংসার মুলাধার হইলেন “নূরে মোহাম্মাদী”। “নূরে মোহাম্মাদী” কোন একটি ব্যক্তি নয়, উহা অসংখ্য জ্যোতির্ময় ব্যক্তিত্বের মূলাধার, সে ব্যক্তিত্বের মৌলিক অর্থাৎ সাধারন নাম হইল “মোহাম্মাদ” অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রশংসিত।
এই সৃষ্টি জগতে এমন একজন মুলাধারের আগমন যিনি প্রদীপ্ত প্রদীপ, যিনি সর্ব সাধকদের শিরোমণি, যিনি আল্লাহ্‌র জাহিরী রূপ “হযরত মোহাম্মাদ মোস্তফা (সাঃ)”, এই ধরণীর বুকে খুদায়ী ফরমান নিয়ে আগমন করেছেন। আমরা মানুষ উনারি অনুসরণ করবো সত্য দ্রষ্টা হয়ে, এটা কি সারা জাহানের কর্তব্য নয়??? উনি যে হেরা গুহার সন্ধান দিয়ে গেছেন, তাহা প্রতিটি মানুষের মধ্যেই বিরাজমান, আমরা সকলেই তাহা ভুলে গিয়াছি। হেরা গুহা কোন পর্বত গুহা নয়, এ গুহা প্রতিটি মানব দেহের মধ্যেই বিদ্যমান। হেরা গুহাকে আর এক নামে জ্ঞান কেন্দ্র বলা হয়। যিনি এ গুহায় ধ্যানস্থ অবস্থায় প্রবেশ করিবেন বা নিমজ্জিত হইতে পারিবেন তিনিই আল্লাহ্‌র সৃষ্টির রহস্য, আল্লাহ্‌র পরিচয় এবং নিজেকে চেনা, নিজেকে জানা, নিজেকে বুঝতে পারিবেন। এই ধ্যান “হুযুর’পাক (সাঃ)” সহ প্রতিটি নবী পয়গম্বর, অলী-আউলিয়া, মুনিঋষি, সাধকজন প্রেরত তথ্য প্রকাশের পূর্বে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় যে মহা জ্যোতির সন্ধান লাভ করিয়া ছিলেন সেই মহা জ্যোতির প্রাপ্তি ব্যতীত মানব জীবন পরিপূর্ণ ভাবে সার্থকতা লাভ করিতে পারে না। এই হেরা গুহার প্রাপ্তব্য বিষয় হইল জ্যোতির্ময় কোরআন, পূরান, বেদ-গীতা, বাইবেল ইত্যাদি।আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন মানুষকে সৃষ্টি করে বলেন “মানুষ আমার রহস্য” , এই মানুষকে নিয়ে যত আমার লিলা, এই লিলাতেই আমি বাস করি। আমি সৃষ্টি করি মানুষকে বারাম খানায় বসে (Uterus অথবা মাতৃ গর্ভকে বারাম খানা বলা হয়)। এই মাতৃগর্ভ অথবা বারামখানা পবিত্র স্থান।
আমাদের পিতা-মাতার আনন্দময়ী প্রেম-ভালবাসার যত্নের ফসল আমরা মানব, সুক্রাকিট ও ডিম্বাণুর প্রক্রিয়ায় আমরা সৃষ্টি। যখন আমরা মাতৃগর্ভে রক্ত পিণ্ড হয়ে আছি তখন আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে একটা নূরের ফুঁৎকার দেন এবং আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন জ্যোতির্ময় ফুঁৎকার দিয়ে বারাম খানায় বসে আমাদের লালন পালন করতে শুরু করেন,তখন আমরা মাংস পিণ্ডতে ধারন করি এবং পরিপূর্ণ একটা মানুষ অবয়বে সৃষ্টিতে আসি, অনেক আদর করে উনি আমাদের অবয়বকে উনার শিল্পমনা দিয়ে যত্ন করে আমদের অবয়বের হাতের যায়গা হাত, চোখের যায়গায় চোখ, সমস্ত ইন্দ্রিয় গুলিকে উনি সুন্দর অব
স্তায় অবস্তান করে দেন, আর দেহের ভিতর যকৃত, পীলহা, হৃদপিণ্ড এইভাবে সমস্ত দেহ যন্ত্র সাজিয়ে দেন। তখন আমি পরিপূর্ণভাবে একটি মানব আকৃতিতে গঠন হই। যখন উনি উনার নূরের ফুঁৎকারটা দেন তখন থেকে শুরুহয় আমাদের দেহের গঠনপ্রণালী। এই ফুঁৎকার মাথার তালুর থেকে এসে ঘাড়ের পিছন থেকে একটি রগ নালীর ভিতর দিয়ে মলদ্বার এবং পিসব্দার এর মাঝখানে একটা গর্ত আছে সেই গর্তে এসে জ্যোতির্ময় নূরটি অবস্থান নেয়। আর এই গর্তের নামই “কুণ্ডলিনী”।
উনি আমাদের দেহের জীবাত্মা হয়ে আছেন।
(ফ্যানের সুইচ যেমন অন করলে পাখা ঘোরা শুরু করে তেমন আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন যখন ঐ নূরের ফুঁৎকারটা মানব দেহে প্রবেশ করান তখন থেকেই আমাদের দেহের রক্ত-সঞ্চলন,কোষ সঞ্চলন,হৃদস্পন্দন শুরু হয়,এইভাবে পালনকর্তা হয়ে লালন পালন শুরু করেন)। সৃষ্টিতে এসে মানুষের বয়স যত বাড়তে থাকে ততই কুণ্ডলিনীর গর্তের ঐ নূরের ফুঁৎকারটা পাথর আকার ধারন করতে থাকে। এই ফুঁৎকারটি পাথর আকার থেকে কোমল আকারে ধারন করাইতে আমাদের কি করতে হবে???? ধ্যান ধ্যান ধ্যান............
চলবে.........
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৩:০৬

অবশেষে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এবং প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবি জানিয়েছে সে ছোটবেলা থেকেই বদমাইশ ছিল। নিজের বাপকে পিটিয়েছে, এবং যে ওষুধের দোকানে কাজ করতো, সেখানেই ওষুধ চুরি করে ধরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×