somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ পুলিশ: আমাদের দূত

০১ লা নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশে পুলিশের অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়ে চলছে। সামগ্রিকভাবে দেশেঅপরাধ প্রবণতা বাড়ছে সেটাও ঠিক। তবে পুলিশ যদি অপরাধী হয়ে ওঠে সেটা চক্রবৃদ্ধিকারে অপরাধ বাড়িয়ে তুলবে। কেন এভাবে পুলিশ অপরাধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ছে? আমি জানিনা। তবে অনুমান করতে পারি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েব সাইটে ইংরেজী ভাষায় তাদের মিশন সর্ম্পকে যা লেখা আছে সেটা দেখলেই আপনিও বুঝে যাবেন কেন পুলিশ অপরাধ প্রবণ! চলুন দেখা যাক।

VISION
To provide service to all citizens and make Bangladesh a better and safer place to live and work.


MISSION
2 To uphold the rule of law
2 To ensure safety and security of citizens
2 To prevent and detect crime
2 To bring offenders to justice
2 To maintain peace and public order

মিশন কিন্তু সব দুই নম্বর। বিশ্বাস না হইলে চেক করেন!
আমি পয়েন্টগুলা পড়লাম এইভাবে:

VISION
To provide service to Ruling Party and make Bangladesh a better and safer playground to commit crime and corruption for Political Leaders.

MISSION
1 To downhold the rule of law
2 To ensure safety and security of leaders
3 To detect potential crime and earn money
4 To make offenders pay them
5 To teach public peace and order

সম্প্রতি এক সার্জেন্টের সাথে আলাপ হচ্ছিল এক আড্ডায়। কয়েকজন মিডায়াকর্মী উপস্থিত দেখে বললেন,
ভাই বাঁচান! একটু রিপোর্ট যদি করতেন!
কি ব্যাপারে?
এই যে ভাই রাস্তায় দেখেন আমরা গাড়ী টো করি এই টাকা যায় কোথায়?
তোমাগো পকেটে।
তারপর সার্জেন্ট যা কইলো তা শুনে একটু তাজ্জব হইলাম। এ টাকা নাকি কোথায় যাবে তার সঠিক দিক-নির্দেশনা নাই। এজন্য এটা সরাসরি সার্কলের ডিসির (ঠিক মনে নাই) তহবিলে চলে যায়। তারপর সেটা ভাগ-বাটোয়ারা হয়। একপার্সেন্টও সরকারী তহবিলে জমা হয়না। আর সবচেয়ে খারাপ যেটা তা হলো প্রত্যেক সার্জন্টের কোটা থাকে, যা কয়েক লাখ টাকা, যেটা তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সার্কেলে জমা দিতে হয়। না হলে শোকজ-সাসপেনসন।

"পুলিশের অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা তদন্তে স্পেশাল টিম মাঠে"
"ব্যবসায়ী জিয়া হত্যায় পুলিশও জড়িত!"
"বিচারককে পেটাল পুলিশ"
"এই ছবি! এই পুলিশ!"
"একা একটি তরুণী এবং কয়েকজন পুলিশ"
-এরকম অসংখ্য আছে। পুলিশ আজকাল নিজে খুন করছে, ছিনতাই করছে, অস্ত্র ব্যবসা করছে। কেন পুলিশ এত ডেসপারেট? প্রধান কারণ অতি রাজনৈতিকরণ। পুলিশ ব্যবহার হচ্ছে দলীয় ক্যাডারদের মত। আওয়ামালীগের আমলে পালায়ে থেকে বিএনপি আমলে বাংলা সিনেমার হিরোর মত আবির্ভাব হচ্ছে। আবার বিএনপির আমলে আমেরিকার নিবার্সন ছেড়ে চীফ হুইপকে মেরে হিরো বনছে। সব হচ্ছে।

থামাবে কে? রাজনীতিবিদ? তারা তো সব চোর। তারাই তো অপকর্ম করছে। চুরি করার সময় আওয়ামীলীগ-বিএনপি ভাই ভাই! শুনি নাকি আমাদের পাতি-মন্ত্রী কামরুলের নাকি প্রতিদিন লোয়ার কোর্টে ১০/১২ জামিনের কেস থাকে। প্রতিটির জন্য উনি ২/২.৫ লক্ষ টাকা নেন। কাউরে এ নিয়ে চিল্লা-পাল্লা করতে শুনছেন? তিনি নাকি ডেইলি
৪/৫ কেস এ্যাডভোকেট সানাউল্লাহরে দেন। তো বোঝেন?

একখান গল্প দিয়ে শেষ করবো। কিন্তু বাস্তব।
ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে দাড়ায়ে দাড়ায়ে গল্প করছি। সাথে একজন এনআরবি আর ২/৩ জন লোকাল বন্ধু। হুস্ করে কোথা থেকে পুলিশের গাড়ী। তো আমরা লোকালরা একটু চুপসায়ে গেছি। আবার কি ঝামেলা! যাহোক বেশী ঝামেলা না করেই পুলিশ চলে গেলো। তো আমাদের এনআরবি বন্ধু যে কিনা ইউরোপে থাকে বহুদিন, আমাদের
টিটকারী মারলো।
"মিয়া পুলিশ ভয় পাও! তাইলে শোন। আমি তখন নব্য নব্য নরওয়ে গেছি পড়তে। তখনও মোবাইল মানুষের হাতে হাতে না। ওখানে উঠছি এক বড় ভাইয়ের কাছে। যেখানে থাকি তার থেকে শহর ৪/৫ কি: মি:। বড় ভাই প্রতিদিন শহরে কাঝে যায় নিজের গাড়ী নিয়া। আমার তখনো ক্লাস শুরু হয়নি। কি এক কাজে যেন আমারও শহরে যাওয়া লাগবে। বড় ভাই সাথে নিছে। আমারে নামায়ে দিয়া কয়ছে এইখানে ৭/৮ ঘন্টা পরে এসে দাড়ায়ে থাকবি। আমি তুলে নিব। যাহোক বড় ভাই তো চলে গেল।
এদিকে আধা ঘন্টার মধ্যে আমার কাজ শেষ। কিছুক্ষণের মধ্যে আর ভাল লাগে না। বাড়ী ফেরার রাস্তা মোটামুটি সোজা। বাইরে যদিও তুষার পড়ছে। আমি যেহেতু ঔখানে নব্য আবাল আর মনে করতাছি যথেষ্ট কাপড় পরে আছি- হেটে বাড়ী দিকে রওনা দিলাম। কিছুদূর যাবার পর টের পেলাম ঠান্ডা মানে নরওজিয়ান ঠান্তা কারে বলে ! মোটামুটি
অর্ধেক রাস্তা যাবার পর বুঝলাম জীবনের সবথেকে বড় ভুল করে ফেলছি। হাত-পা অবশ হয়ে আসছে মনে হয় আর এক পাও এগোতে পারবোনা। রাস্তায় কোন মানুষ-জন নেই। অলরেডী রাস্তার পাশে বসে পড়ছি। জানিনা কোথা থেকে এক পুলিশের গাড়ী। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়া কফি খাওয়ায়ে বাড়ীতে পৌছে দিল। তারপর থেকে পুলিশ দেখলে আমার নিশ্চিন্ত বোধ হয়। ওদের আমি দেবদূত মনে করি।"
আমরা লোকালরা একে অপরের মুখের দিকে দেখি। হ্যা, আমরাও বাংলাদেশ পুলিশকে দূতই মনে করি তবে যমদূত।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×