somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কে এই মাওলানা !!! কি তার পরিচয় ! -৪

২৯ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯২৮ সাল। দারুল উলুম দেওবন্দ।
পাক ভারত উপমহাদেশের সর্বোচ্চ ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে যারা পড়াশোনা শেষ করেন, যে কোন জায়গায় তাদের অতি উচ্চ সমাদর। দেওবন্দ থেকে পাশ করা মাওলানা বলে কথা।

এ বছর দেওবন্দ থেকে অনেক ছাত্র পাশ করেছেন। পাক ভারত ও বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তারা এসেছিলেন। শিক্ষাবর্ষ সমাপ্তির এ সময়ে কেউ কেউ উদ্বিগ্ন তাদের ভবিষ্যত কর্মস্থল ও কর্মপন্থা নিয়ে। তারা পরস্পরে সেসব নিয়ে এখানে ওখানে আলোচনা করেছেন।

প্রতি বছরের এ সময়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে দেওবন্দ মাদরাসার ঠিকানায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ চিঠি এসে থাকে।

পত্রপ্রেরকরা তাদের চিঠিতে বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী ও সুযোগ্য আলেম চেয়ে পাঠান। পাক ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিচারপতি, খতীব, ধর্মীয় উপদেষ্টা, রাষ্ট্রীয় মুফতী ইত্যাদী পদের জন্য দেওবন্দের সদ্যসমাপনকারী তরুণ আলেমদের মধ্য থেকে উপযুক্তদেরকে নির্বাচন করা হয়ে থাকে।

উপমহাদেশের অন্যতম মুসলিম ঘনবসতি রাজ্য হায়দারাবাদ থেকে চিঠি এসেছে মাদরাসার প্রধান পরিচালক বরাবর। চিঠিতে হায়দারাবাদের প্রশাসক একজন প্রধান বিচারপতি চেয়েছেন।

অন্যান্য সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি বেতন হিসেবে প্রধান বিচারপতির জন্য বেতন হিসেবে বরাদ্দ বৃটিশ আমলের ৬০০ (ছয়শ) টাকা। ইসলামী আইন ও মামলা মোকাদ্দামার বিষয়াবলী সম্পর্কে অভিজ্ঞ একজন মাওলানাকে হায়দারাবাদে পাঠানোর এ আবেদন এবং এ পদের জন্য যোগ্য লোক নির্বাচন নিয়ে একটু পর জরুরী সভা ডাকা হয়েছে প্রধান কার্যালয়ে।

দারুল উলুম দেওবন্দের প্রখ্যাত পরিচালক এবং প্রবীন রাজনীতিবিদ মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী এ পরামর্শ সভার পরিচালক।

.....................

অন্যদিকে দেওবন্দ মাদরাসার সাহিত্য ও ভাষা বিভাগের ডীন মাওলানা ইজাজ আলীর কাছেও একটি পত্র এসেছে আফগানিস্তানের বাদশাহর দফতর থেকে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান রাষ্ট্রের অতীব গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারী পদে একজন যোগ্য লোক প্রয়োজন। ব্যক্তিকে অবশ্যই আরবী, ফার্সী, উর্দু এবং ইংরেজীতে পারদর্শী হতে হবে।’
..................................

থানাভবনের প্রধান এবং সারা ভারত অঞ্চলের আধ্যাত্মিক মুর্শিদ মাওলানা আশরাফ আলী থানভীর কাছে চিঠি গিয়েছে বাংলা অঞ্চলের বিবাড়ীয়া জামেয়া ইউনুসিয়া থেকে।

পত্রপ্রেরক মাওলানা থানভীর কাছে একজন গভীর জ্ঞানের অধিকারী ও আল্লাহওয়ালা শিক্ষক চেয়ে আবেদন করেছেন। বেতন হিসেবে তার বরাদ্দ তৎকালের ৬০ টাকা।
...........

দেওবন্দ মাদরাসার প্রধান কার্যালয়ের পরামর্শ সভা শেষ হয়েছে। হায়দারাবাদের প্রধান বিচারপতি পদের জন্য সব শিক্ষকদের রায় ও মতামতের ভিত্তিতে এ বছরের শিক্ষাসমাপনকারী ছাত্রদের মধ্য থেকে নির্বাচন করা হয়েছে বাংলাভাষী এক মাওলানার নাম।

বিনম্র ব্যবহার, মেধাশক্তির প্রখরতা এবং বর্তমান বিশ্বের হালচাল সম্পর্কে সজাগ অভিজ্ঞতার মাপকাঠিতে এ মাওলানার সমকক্ষ আর কাউকে সে বছর খুঁজে পাওয়া গেল না।


কারণ বাংলাদেশের এ তরুন কলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজের স্কলারশীপ পেয়ে ইংরেজী পড়েছেন। সেখান থেকে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হয়ে ইসলামী ধারার শিক্ষা অর্জনের জন্য এ দেওবন্দে এসেছিলেন এবং অবাক করা ফলাফল নিয়ে তিনি এ মাদরাসার সবগুলো ধর্মীয় শিক্ষাস্তর পাশ করেছেন।

মাওলানা মাদানী ঐ বাংলাভাষী ছাত্রকে ডেকে আনার জন্য অফিস সহকারীকে নির্দেশ দিলেন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

ওদিকে, আফগানিস্তান থেকে প্রেরিত চিঠি পড়ার পর মাওলানা ইজায আলী বাংলাভাষী এ মাওলানাকেই এ পদের সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মনে মনে নির্বাচন করলেন। তিনি অপেক্ষা করছেন, দুপুরের পর তাকে ডেকে নিয়ে এ সুসংবাদ জানানো হবে।

থানাভবনে প্রেরিত চিঠির বিষয়ে মাওলানা থানভী তার পাশে সমবেত বেশ কয়েকজনকে অবহিত করলেন। তাদের মধ্যে বাংলাভাষী এক মাওলানাও সেখানে উপস্থিত।

ঐ সুদূর পল্লী বাংলার গ্রামে ইসলাম এবং ইসলামী জ্ঞানের মশাল জ্বালাতে কে যাবে, তিনি সবাইকে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত জানাতে বললেন।
................

দুপুরের পর থানাভবন থেকে দেওবন্দ মাদরাসায় ফিরে এলেন বাংলাভাষী এ তরুণ মাওলানা। তখনই অফিস সহকারী তাকে দ্রুত অফিসকক্ষে আসার জন্য বার্তা পাঠালেন।

দেওবন্দ মাদরাসার সুবিশাল অফিস কক্ষে বসে আছেন তিনি। মাদরাসার প্রধান পরিচালক তাকে হাসিমুখে এ পদের দায়িত্ব গ্রহণের সংবাদ জানিয়ে বলতে লাগলেন..

-মাওলানা, আমরা তোমাকে হায়দারাবাদে পাঠাতে একমত হয়েছি। দেওবন্দের বিশিষ্ট শিক্ষকবৃন্দ আজকের এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। এটা আমার একার নয়, সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচন। তুমি সেই নির্বাচিত ছাত্র। আলহামদুলিল্লাহ।

-কিন্ত হযরত! আপনি আমার মাথার মুকুট। আপনার হুকুম শিরোধার্য অবশ্যই। তবুও..

-মাওলানা! তুমি কি বলতে চাও, নির্ভয়ে বলে ফেলো। তোমার উপর আমাদের আস্থা ও ভালোবাসা রয়েছে।

-হযরত! যদি বেয়াদবী মনে না করেন, আমি বিনয়ের সাথে আরয করতে চাই, আমার বাংলা অঞ্চল আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ওখানে কাজ করার মত লোকের বড্ড অভাব। আমি বাংলায় যেতে চাই, ওখানকার পরিবেশে ইসলামের পয়গাম ছড়াতে চাই। দয়া করে হায়দারাবাদের প্রধান বিচারপতির জন্য অন্য কাউকে কি বেছে নেয়া যায় না?


-হুমমম, মাওলানা মাদানী দীর্ঘ শ্বাস ফেললেন। তার প্রশস্ত ললাটজুড়ে প্রশান্তির আভাস। এ তরুণ মাওলানার মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি মনের ভাষায় ভাবছেন..

কি বিস্ময়কর এ তরুণ! ৬০০ টাকার বেতন আর প্রধান বিচারপতির এমন সুর্বণ সুযোগ ছেড়ে এ মাওলানা চলে যেতে চাইছে বাংলার বিরান অঞ্চলে। যেথানে দুঃখ দুর্দশা আর দারিদ্র হয়তো তাকে ঘিরে রাখবে সবসময়। কি দারুণ নির্মোহ ও আত্মবিশ্বাসী এ তরুণ!!

-মাওলানা! আমি খুবই খুশী হলাম। তুমি তোমার নিজের অঞ্চলে আল্লাহর দ্বীন ছড়ানোর মহান দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছ। শাবাস মাওলানা! তোমার এ নির্লোভ হিম্মত আর স্বজাতির প্রতি এ অসাধারণ ভালোবাসা আমাকে অবাক করেছে। আমি তোমার জন্য অন্তর থেকে দুআ করছি।

তরুণ মাওলানা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। তার ঠোঁটে মুচকী হাসির অপূর্ব ঝিলিক ছড়িয়ে পড়েছে। পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষাগুরুর এ দুআ তাকে অনেকখানি নিশ্চিন্ত ও সাহসী করেছে।
........................

সেখান থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে ফেরার আগেই একজন দৌড়ে এসে জানাল, আপনাকে মাওলানা ইজায আলী ডাকছেন। এখুনি গেলে তিনি খুশী হবেন।

তিনি তখনই ছুটে গেলেন। সব শিক্ষকদের কাছেই তিনি প্রিয়পাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি সালাম দিয়ে হাঁটু গেড়ে বসলেন মাওলানা ইজায আলী সালাম দিয়ে তার কুশল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন।

-মাওলানা! তোমার তো শিক্ষা সিলেবাস সমাপ্ত হল। ভবিষ্যত নিয়ে তুমি কি ভাবছো তা আমার জানা নেই। তবে তুমি চাইলে আমি তোমার জন্য কিছু করতে পারি।
-উসতাযে মুহতারাম, আপনার হুকুম আমার পাথেয়। আপনি বলুন।
আমি তোমাকে আফগানিস্তানে পাঠাতে চাই। ঐ দেশের পররাষ্ট্র দফতরে তোমার চাকরী। তুমি চাইলে এ মাস থেকেই সেখানে যোগ দিতে পারো। তুমি ভেবে চিন্তে আমাকে জানাও।
-পরম দয়াময়ের প্রশংসা, তিনি আপনার মনে আমার জন্য এমন স্নেহ তৈরী করেছেন। তবে মুহতারাম উসতায, আমি আপাতত আমার বাংলায় ফিরে যেতে চাই...
-বাহ! বাহ!! অতি উত্তম সিদ্ধান্ত তোমার। সেখানে কাজ করা বড়ই প্রয়োজন। তোমার জন্য আমার হৃদয়ের প্রার্থনার দুয়ার খোলা থাকবে। আল্লাহ তোমায় সর্বাঙ্গীন সাফল্যে ভূষিত করুন।

সালাম ও মুসাফাহা শেষে রুম থেকে বেরিয়ে এলেন তরুণ মাওলানা। তার বুকের ভেতর এখন হালকাবোধ হচ্ছে। এত বড় বড় গুরুদায়িত্বের প্রস্তাব এসেছিল তার শিক্ষকদের কাছ থেকে।

ভালোয় ভালোয় তিনি সেসব থেকে মুক্তি পেয়েছেন। প্রিয় বাংলায় তিনি ফিরে যাবেন, এ আনন্দে তিনি বুক ভরে শ্বাস নিতে লাগলেন।

..........................................
থানাভবন দরবার থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে জামিয়া ইউনুসিয়ায়। দিন তারিখ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিবাড়ীয়ার এ মাদরাসায় পাঠানো হচ্ছে দেওবন্দ মাদরাসা থেকে এ বছর পাশ করা ছাত্রদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এক তরুণকে। অসাধারণ যোগ্যতাবলে তিনি ইংরেজী ও আরবীতে সব পাঠ্যবিষয় আয়ত্ব করেছেন। কাজেই তাকে যথাসাধ্য সম্মান ও ভালোবাসায় বরণ করার জন্য চিঠিতে অনুরোধ জানানো হল।

নির্ধারিত তারিখে মাওলানা রওয়ানা হলেন মাতৃভূমির উদ্দেশে। পেছনে পড়ে রইল হায়দারাবাদের প্রধান বিচারপতির লোভনীয় পদ আর আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরে সেক্রেটারী পদের আকর্ষণীয় চাকরীর প্রস্তাব প্রলোভন।
...................

বিবাড়ীয়ার রেলস্টেশন। বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট আলেম ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ রেলস্টেশনে অপেক্ষা করছেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে ভারত থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি এখানে এসে থামবে।

হুইসেলের বিকট শব্দে চারদিক কাঁপিয়ে ট্রেন এসে পৌঁছল। হুড়মুড় করে মানুষ নামছে। অপেক্ষমান ব্যক্তিবর্গ ও আগত আলেমরা হাঁটতে হাঁটতে প্রথম শ্রেণীর বগির দরজার সামনে এসে দাঁড়ালেন। ভদ্রলোকরা নামছেন এ বগি থেকে। কারো হাতে ব্রিফকেস, কারো হাতে পাটের ব্যাগ।

লোকের ভীড়ে তারা মাওলানা বেশভূষার কাউকে খুঁজছেন। কিন্ত তাকে এখনও দেখা যাচ্ছে না। তবে কোথায় তিনি?

ট্রেন আবার চলা শুরু করল। যাত্রীরা স্টেশন গেট দিয়ে বের হতে লাগল। তবুও তারা খুঁজে পাচ্ছেন না তাদের কাঙ্খিত মাওলানাকে। তবে কি তিনি আসেন নি?

প্লাটফর্ম কিছুটা নিরব হয়ে এসেছে। লোকজনের চলাচল এখন কম। দূরে এক কোণায় একজন পাজামা পাঞ্জাবী পরিহিত তরুণকে দেখা যাচ্ছে। তার সাথে অনেকগুলো বইপত্র। তিনি কাউকে খুঁজছেন বলে মনে হচ্ছে।

তারা দৌড়ে গেলেন। গিয়ে দেখেন, এ মাওলানা একজন কুলিকে বিবাড়িয়ার ইউনুসিয়া মাদরাসার কথা জিজ্ঞেস করছেন। তার বইপত্রগুলো সেখানে পৌছে দিতে মজুরী নিয়ে কথা বলছেন।

কি সাধারণ বেশভূষা! সাদামাটা তার চালচলন!! ইনি কি সেই তরুণ! দেওবন্দের সর্বশ্রেষ্ঠ ছাত্রদের অন্যতম একজন এই লোক?

একসাথে সালাম দিয়ে তারা বুকে জড়িয়ে ধরলেন আগন্তুককে। ক্ষমা চেয়ে বললেন, মাওলানা! গোস্তাখী মাফ করবেন। আমরা ভেবেছিলাম আপনি প্রথম শ্রেণীতে আসবেন। কাজেই আমরা সেখানে খুঁজছিলাম। এটুকু বেয়াদবীর জন্য আমরা দুঃখিত। আপনি চলুন আমাদের সাথে। আপনাকে পেয়ে আমরা পরম ভাগ্যবান। আল্লাহ পাকের দয়া বলেই আপনাকে পেয়েছি আমরা।

এভাবেই শুরু হল এ বাংলায় মাওলানার কর্ম সাধনা। এক নতুন উদ্দীপনা ও কর্মচাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল মাদরাসায় এবং আশপাশের এলাকায়।

‘ইলমের জাহাজ’ এখন এ বাংলায়, আমাদের বিবাড়ীয়ায়... মানুষের মুখে মুখে এসব ছড়িয়ে পড়ছে।

মাস শেষে মাওলানার জন্য মাদরাসার পক্ষ থেকে বরাদ্দ করা ৬০ টাকা হাতে পেয়ে তিনি বললেন, এত টাকা দিয়ে আমার কি কাজ? মাত্র ১০ টাকা আমার খরচের জন্য যথেষ্ট। বাকী ৫০ টাকা মাদরাসার ফান্ডে ফেরত নিয়ে নিন।

ইংরেজী এবং আরবী- দু ধারার শিক্ষায় সমান পারদর্শী এ আলেম মাত্র ১০ টাকা নিয়ে সন্তুষ্ট!! অবাক বিস্ময়ে মাদরাসা কমিটি তার সাধনার কাছে হার মানতে বাধ্য হল। .

দুনিয়ার আয়োজন যার কাছে এতই তুচ্ছ! এমন গর্বিত জয়মুকুট তো তারই কাম্য।

তার এ নির্লোভ সাধনা ও সামান্য বেতনে পরম আত্মতৃপ্তির ঘটনা অবাক করে দিল এ অঞ্চলের সবাইকে। সবার মুখে এক জিজ্ঞাসা, কী নাম এই মাওলানার? সবার মনে ছড়িয়ে পড়েছে কৌতুহল। তার নাম ধাম জানার জন্য উদগ্রীব সবাই।

চলবে......................

পর্ব- ৩

পর্ব-২

প্রথম পর্ব
১৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান..... (উৎসর্গঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্লগারদের)

লিখেছেন স্বপ্নবাজ সৌরভ, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৪২



কদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।

একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাপ, ইদুর ও প্রণোদনার গল্প

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪

বৃটিশ আমলের ঘটনা। দিল্লীতে একবার ব্যাপকভাবে গোখরা সাপের উৎপাত বেড়ে যায়। বৃটিশরা বিষধর এই সাপকে খুব ভয় পেতো। তখনকার দিনে চিকিৎসা ছিলনা। কামড়ালেই নির্ঘাৎ মৃত্যূ। বৃটিশ সরকার এই বিষধর সাপ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×