নুহাশপল্লীতে ভূতের গল্প শুনি আমার প্রথম রাতেই, ২০০৮ সালের ১৩ মার্চ। অন্ধকার রাতে টর্চ হাতে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে বাগান পরিদর্শন করে এসে আমরা ফিরে গিয়ে যে যাঁর ঘরে শুয়ে থাকি। হুমায়ূন আহমেদের মাস্টার বেডরুমের পাশের ঘরটিতে দুটি বিছানা। তার একটিতে আমি আর অন্যপ্রকাশ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম। আমি ঘুমানোর চেষ্টা করব, এমন সময়ই মাজহার ভূতের গল্প শুরু করে।
ভূতে আমার বিশ্বাস নেই। প্রচুর মানুষকে ভূতের গল্প বলতে শুনেছি। আমার নিজের কপাল পোড়া, কখনো ভূত দেখতে পাইনি। যাঁরা দেখেছেন বলে বলেছেন, সবার কথায় আমি সন্দেহ পোষণ করেছি। কিন্তু গভীর রাতে একা একা জঙ্গলে গিয়ে ভূত দেখে আসব, সে সাহসও কখনো হয়নি।
আমার বারণ সত্ত্বেও মাজহার আমাকে গল্পটা বলতে শুরু করে, আর গল্পটা এই ঘরেরই।
নয় নম্বর বিপদ সংকেত ছবির শুটিংয়ের সময় এই ঘর থেকেই নাকি ভূতরা অভিনেতা রহমত আলীকে টেনে বের করে ফেলেছিল। অল্পের জন্য নিয়ে যেতে পারেনি। এর প্রতিক্রিয়ায় এর পরদিনই রহমত আলী শুটিং বাদ দিয়ে ঢাকা ফেরত যেতে চান।
মাজহার সেই ঘটনার বিশদ বর্ণনা দিতে চায়, আমি শুনি না।
সে নাছোড়বান্দা। জয়ন্তদার উদাহরণ দেয়। জয়ন্তদা হলেন অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। তিনি নাকি প্রায়ই বলেন, তিনি ভগবানে বিশ্বাস করেন না, কিন্তু নুহাশপল্লীতে যে ভূত আছে এটা তিনি বিশ্বাস করেন।
মাজহারকে বলি, তুমি দয়া করে বিছানা বদল করো আমার সঙ্গে। জানালার পাশের এ বিছানায় আমি শোব না। থাই অ্যালুমিনিয়ামের গ্রিল ছাড়া এই কাচের জানালার ওপর আমার ভরসা নেই। ভূত না আসুক অন্য কিছু তো আসতে পারে।
মাজহার রাজি হয়ে যায়। জানালার পাশের বিছানা ছেড়ে আমি দরজার পাশের বিছানায় এসে শুই। ঘরে এয়ারকুলার আছে। আমি কাঁথা মুড়ি দিয়ে দেয়ালের দিকে মুখ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।
নুহাশপল্লীর ভূত নিয়ে বাজারে নানা রকমের কথা আছে। এসব কথা সবচেয়ে বেশি বলতেন হুমায়ূন আহমেদ নিজেই। হুমায়ূন আহমেদের এক দিনের বর্ণনায়: নুহাশপল্লীতে প্রথম ভূতের আবির্ভাব হয় এখানে বসবাস শুরুর এক বছর পরই। পিরুজালী গ্রামের এক হুজুর তাঁকে প্রথম জানান, তাঁর কাঠের বাড়ির দরজার সামনে রাতের বেলা যে চারটি কুকুর শুয়ে থাকে তারা প্রকৃত পক্ষে জিন, কুকুরের বেশ ধরে থাকে। কথাটি হুমায়ূন আহমেদ বিশ্বাস করেননি। কারণ এই হুজুরই আগেও তাঁকে বলেছিলেন, জিনরা কুকুর বা সাপের বেশে নুহাশপল্লীতে বসবাস করছে। একবার তাঁর কাঠের ঘর ভাঙার সময় ফলস সিলিংয়ের ভেতর থেকে দুটি সাপ বেরিয়ে এল। তাঁর লোকজন সাপগুলোকে সঙ্গে সঙ্গে পিটিয়ে মেরে ফেলল। হুমায়ূন আহমেদের প্রশ্ন ছিল এরা যদি সত্যিই জিন হতো তা হলে স্বমূর্তি ধারণ করে চলে গেল না কেন?
২০০০ সালে, নুহাশপল্লীর বয়স যখন আড়াই কি তিন বছর, সে সময় জিনের মহোপদ্রব ঘটতে শুরু করল। জিনের ভয়ে নাকি হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্র শ্রাবণ মেঘের দিন-এর ইউনিটের সব লোক স্পট ছেড়ে ঢাকায় চলে গেল। কোনো ক্রুকেই রাখা গেল না। নিরুপায় হুমায়ূন আহমেদ তখন একমাত্র নুরুল হককে নিয়ে থেকে গেলেন। সে সময়ের এক দিনের ঘটনা—রাত নয়টা। নুরুল হক রান্না চড়িয়েছে। তিনি লিচুবাগানের বেদিতে বসে আছেন। হঠাৎ জোরে বাতাস ছাড়ল। লিচুগাছের পাতায় ঝড়ের মতো শব্দ হতে লাগল। লিচুবাগানে লিচুগাছ মোট চারটা। হুমায়ূন আহমেদ যে গাছের নিচে বসেছিলেন তার পাতা ও ডাল কাঁপছে, কিন্তু অন্যদিকের গাছগুলোর পাতায় বাতাসের কোনো কাঁপন নেই। অদ্ভুত ঘটনা। এসব স্মৃতি হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেনও।
তার পরও নুহাশপল্লীর জিন নিয়ে ঘটনার শেষ নেই। একবার নুহাশপল্লীতে কী একটা অনুষ্ঠান হচ্ছে। সন্ধ্যা পার হয়ে গেছে। অনুষ্ঠানের আলোকসজ্জা হয়েছে। হাজার খানেক মোমবাতি জ্বালানো চারদিকে। এক পাশে বারবিকিউয়ের প্রস্তুতি চলছে। অন্যদিকে সুইমিংপুলের চারপাশে জটলা করছে সবাই। অর্থাৎ পার্টি জমে উঠেছে। হঠাৎ মেয়েদের মধ্য থেকে কেউ একজন বিস্মিত গলায় আঙুল উঁচিয়ে বলল, এটা কী?
আমরা সবাই তাকালাম। সুইমিংপুলের পেছনে জবাগাছের ঝাড়। ঘন জঙ্গলের মতো হয়ে আছে। সেই ঘন জংলায় একটি মেয়ে মানুষের মূর্তি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। মূর্তিটি মনে হচ্ছে আলোর তৈরি। সে দাঁড়ানো থেকে বসছে, আবার উঠে দাঁড়াচ্ছে।
সবাই হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছি। নুহাশপল্লীর একজন কর্মচারী ‘কে? কে?’ বলে জংলার দিকে ছুটে যেতেই ছায়ামূর্তি সবার চোখের সামনেই মিলিয়ে গেল।
পার্টি ভেঙে গেল। সবাই ঘরে চলে এলাম। যে মেয়েটি প্রথম ছায়ামূর্তি দেখেছে সে অসুস্থ হয়ে পড়ল। তার মাথায় পানি ঢালা হতে লাগল।
প্রায় ৪০ জন অতিথির সবাই স্বীকার করলেন, তাঁরা ব্যাখ্যাতীত একটি ঘটনা দেখলেন। এঁদের মধ্যে ঔপন্যাসিক মঈনুল আহসান সাবেরও ছিলেন। যদিও তিনি ঢাকায় এসে এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন। তাঁর ধারণা, নুহাশপল্লীর লোকজন ছাদ থেকে নানা ধরনের আলো ফেলে এই ছায়ামূর্তি তৈরি করেছে। তাঁর ধারণা সত্যি নয়, কারণ নুহাশপল্লীর বাংলোতে ছাদে ওঠার কোনো ব্যবস্থা নেই। (বলপয়েন্ট/হুমায়ূন আহমেদ)
২০০৮ সালের শেষ দিকে এক রাতে আমরা প্রায় ১২টা পর্যন্ত নুহাশপল্লীতে থেকে ঢাকায় রওনা হই। রওনা হতে একটু দেরিই হয়ে যায় আমাদের। এর কারণ সে রাতে ‘এনায়েত আলীর ছাগল’ নামের একটা নাটকের শুটিং ছিল। বেশ কিছুক্ষণ শুটিং দেখে আমরা ঢাকায় রওনা দিতে হবে বলে চলে আসি। হুমায়ূন আহমেদের আরও দু-তিন দিনই থাকার কথা। কিন্তু ঢাকায় ফেরার পরদিনই মাজহারের ফোন, স্যার শুটিং প্যাকআপ করে ঢাকায় চলে এসেছেন, মজার ঘটনা আছে, চলে আসেন।
যথারীতি ‘দখিন হাওয়া’র বাসায় গিয়ে হাজির হলাম। স্যারের তিন নম্বর বেডরুমের ফ্লোরের ওপর বসে আছেন সবাই। কথা বলছে শুধু হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী শাওন।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে দখিন হাওয়ার প্রতিবেশী বাসিন্দাদের বাইরে শুধু জুয়েল আইচ ছিলেন, সব শেষে এসে যোগ দিলাম আমি।
শাওন তার গল্পের মাঝামাঝিতে, আমাকে দেখে স্যার তাকে আবার প্রথম থেকে শুরু করতে বললেন। শাওনের ঘটনা বর্ণনা করার কায়দাটা বেশ আকর্ষণীয়। খুব গুছিয়ে, সাজিয়ে কথা বলে, কোনো ফাম্বলিং নেই। শাওন নুহাশপল্লীর সদ্য ঘটা ভূতের গল্প বলছে, একেবারে তাজা গল্প। গতকাল রাতে, আমরা চলে আসার পর, রাত প্রায় দুইটার সময় শাওন চিৎকার করে ওঠে, কারণ সে টের পায়—তার বেডরুমের ভেতর কেউ একজন ঢুকেছে, তার বিছানার এক পাশে বসে তার পিঠের ওপর হাত রেখেছে সে।
শাওনের চিৎকার শুনে হুমায়ূন আহমেদের ঘুম ভাঙে। তিনি নিজেও দেখেন ছায়ামূর্তির মতো এক মূর্তি অতি শান্ত ভঙিতে ধীরে ধীরে রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। বেডরুমের বাতি নেভানো, বাইরে বাতি জ্বালানো এবং দরজা আধখানা খোলা। এরপর হুমায়ূন আহমেদ নিজে যোগ করলেন বাকি অংশ, বললেন, ‘শাওন যেদিকে আঙুল দেখাচ্ছে আমি সেদিকে তাকালাম। আমার চোখে চশমা নেই, আমি স্পষ্ট কিছু দেখছি না। তার পরও মূর্তিকে দেখলাম। সে খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে করিডরের শেষ প্রান্তের দরজা বন্ধ করল। আমার কাছে মনে হলো নারীমূর্তি। এর মধ্যে ঘরের বাতি জ্বালানো হয়েছে। আমি দৌড়ে গিয়ে করিডরের দরজা খুলেছি। কোথাও কেউই নেই।’
ঘটনা এখানেই শেষ।
কিন্তু পরের সপ্তাহে আবার তাদের নুহাশপল্লীতে যেতে হলো ওই নাটকটি শেষ করার জন্য।
নুহাশপল্লীতে স্যার খুব বেশি দিন তাঁর নিজের মতো একা একা থাকতে পারেন না। এক-দুই দিন পরই হাঁপিয়ে উঠতেন। মাজহারকে তলব করা হতো। অমুক অমুককে নিয়ে চলে আসো। যথারীতি এক বিকেলে গিয়ে হাজিরও হলাম। শর্ত সাপেক্ষে যাওয়া—রাতে খেয়ে চলে আসব, সে যত রাতই হোক।
এবার গিয়ে দেখি, বেশ গম্ভীর গম্ভীর একটা পরিবেশ বিরাজ করছে নুহাশপল্লীজুড়ে। যে হলরুমে বসে আমরা আড্ডা দিতাম, সে ঘরটাকে বানানো হয়েছে বেডরুম। কাঁথা-বালিশ ছড়ানো-ছিটানো। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ শুধু একা নন, তাঁর কলেজজীবনের বন্ধু সেহেরী সাহেবও সস্ত্রীক আছেন এবং তাঁরাও ওই রুমে ঘুমাবেন। কারণ? আর কিছু না এর আগে রাতে ভূত দর্শনের পর ওই বেডরুমটিতে ঘুমাতে আর সাহস পাচ্ছে না শাওন। সে কারণেই সঙ্গ দেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে সেহেরী দম্পতিকে দাওয়াত করে আনা হয়েছে। এই বিশাল হলরুমটিতে সবাই মিলে একসঙ্গে ঘুমালে ভয় খানিকটা হলেও কমবে।
নুহাশপল্লী একটি ভৌতিক জায়গা হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পর হুমায়ূন আহমেদ এরপর বিকল্প ব্যবস্থা ধরলেন। এ ঘটনা আমার নিজের দেখা। ২০১১ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস। ঘেটুপুত্র কমলা-এর ইনডোর কাজের জন্য সেট বানানো হয়েছে নুহাশপল্লীতে। দিন-রাত শুটিং চলছে।
এক রাতে, রাত ১২টার দিকে শুটিং শেষ। এবার ভূত প্রদর্শনের ব্যবস্থা। হঠাৎ দেখি, কালো ও সাদা দুই রঙের দুটি ছায়ামূর্তি হাঁটাহাঁটি করছে।
কারও নজর পড়ল ওদিকে। ছোট দুটি বাচ্চা অভিনয় করছিল, তাদের দুই মা প্রায় চিৎকার করে ওঠেন। একসময় মূর্তি যুগল ধীরে ধীরে সামনে এসে হাজির হয়। কালো ও সাদা বোরকার মতো কাপড়ের ভেতর থেকে বেরিয়ে এল নুহাশপল্লীর দুই স্টাফ।
স্যারের চোখে মুগ্ধতার হাসি।
এক মহিলার দিকে তাকিয়ে বললেন—এখনো কি ভূতের ভয় পাবেন?
নুহাশপল্লীর নানা রকমের ভৌতিক কাহিনিকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার বহু চেষ্টা করেছেন হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর আত্মজৈবনিক লেখাগুলোয় উত্তমপুরুষের এমন ভৌতিক বর্ণনা বিনা কারণে বিশ্বাস না করার উপায় নেই। সেসব পড়ে আমি বিপদে পড়ে গেলাম। অবিশ্বাসই করি কীভাবে! এটা তো হুমায়ূন আহমেদ নিজে লিখেছেন। তিনি কি এসব বানিয়ে লিখেছেন? নুহাশপল্লীর নানা রকমের ভৌতিক ঘটনার সাক্ষী অনেকজনকে ব্যক্তিগতভাবে আমি জিজ্ঞাসাও করেছি। যেমন—১. কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা আগুন। একবার নুহাশপল্লীর বাঁশঝাড়ের ভেতর আলো-ছায়ার মধ্যে সাদা কাপড়ের ভূত দেখে তিনি গুলি করতে চেয়েছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, ওরা যদি ভূতই হয়ে থাকে, গুলি তাদের স্পর্শ করবে না। (তাঁকে অবশ্য গুলি করা থেকে থামানো হয়)।
২. মাজহার বলেছে, ফোনে ১ মিস কল, ২ মিস কল ও ৩ মিস কলের সংকেত দিয়ে বাঁশঝাড়ের মধ্যে থাকা ওপর পাশের ‘ভূত’কে সে বহুবার নিয়ন্ত্রণ করত। সে নিজেও একবার সাদা কাপড় পরে বাঁশঝাড়ের তলা দিয়ে হেঁটেছে। অভিনয়টা এতই নিখুঁত ছিল যে তার স্ত্রীও তাতে ভয় পেয়েছিল। কারণ অন্ধকারের ভেতর সাদা কাপড় ফেলে রেখে ভ্যানিশ হয়ে যাওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সে ভূতগ্রস্তদের দলে ভিড়ে যায়।
৩. রহমত ভাই (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ও অভিনেতা) বললেন, আমি আসলে ভয় পাওয়ার অভিনয় করেছি, যাতে হুমায়ূন আহমেদ আমাকে ভয় দেখাতে পেরেছেন ভেবে আনন্দ পান। কথাটি আমি তাঁকে কখনোই জানতে দিইনি যে তাঁর ছেলেরা যখন আমার বুড়ো আঙুল ধরে টানাটানি করে, তখনই আমি বুঝে গেছি। তার পরও স্যারকে আমি বলেছি: আমি ভূত দেখে ভয় পেয়েছি, তিনি সারা জীবন তা-ই জেনে গেছেন। আর কাপড়চোপড় নষ্ট করার ঘটনাটা একেবারেই বানানো।
৪. বেডরুমে শাওনের ভূত দেখার বিষয়টি হুমায়ূন আহমেদের সাজানো নাটক—এ কথা খুব জোর দিয়ে বলেছেন জুয়েল আইচ। তিনি নিশ্চিত, শাওনকে ভূত দেখার আনন্দ দেওয়ার জন্য হুমায়ূন আহমেদ এটা করেছিলেন। আর পরে বেডরুম বাদ দিয়ে অন্য জায়গায় লোকজন নিয়ে শুয়ে থাকার কারণ হচ্ছে, আগের রাতে দেখা ভূতের বিষয়টাকে সমর্থন দিয়ে তাকে পাকাপোক্ত করা। ভেতরে ভেতরে হুমায়ূন আহমেদ সারাক্ষণ মুচকি হাসি হেসেছেন, আমি নিশ্চিত।
৫. আর ঠিক এ কারণেই ভগবানে বিশ্বাস না করেও নুহাশপল্লীর এই ‘ভূত’কে স্বীকার করে নিয়েছিলেন অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কেবল হুমায়ূন আহমেদের মুগ্ধতাকে সম্মান দেখাতে। সেটা কি হুমায়ূন আহমেদ জানতেন!
কত বিচিত্রভাবে মানুষকে আনন্দ দেওয়া যায়, মানুষকে মুগ্ধ করা যায়, এটা হুমায়ূন আহমেদের একটা সাধনা ছিল। সে কারণে নিখুঁতভাবে বিশ্বাসযোগ্য করে সব বানানো গল্পে, মানুষের মুখে মুগ্ধতা দেখাই ছিল তাঁর মূল উদ্দেশ্য। ওটাই ছিল হুমায়ূন আহমেদ নামের ‘মুগ্ধকরে’র কাজ।
তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো
আলোচিত ব্লগ
কোরআন কী পোড়ানো যায়!
আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন
সেঞ্চুরী’তম
লাকী দার ৫০তম জন্মদিনের লাল গোপালের শুভেচ্ছা
দক্ষিণা জানালাটা খুলে গেছে আজ
৫০তম বছর উকি ঝুকি, যাকে বলে
হাফ সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি;
রোজ বট ছায়া তলে বসে থাকতাম
আর ভিন্ন বাতাসের গন্ধ
নাকের এক স্বাদে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?
ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?
বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভণ্ড মুসলমান
ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?
মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আসবে তুমি কবে ?
আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন