তোমার হাতের স্পর্শ
এখন মলিন হয়ে যায় নি
শতাব্দীর পর শতাব্দী কেটে গেলেও
পাজরের হারে হারে ঠোকাঠোকি হয়ে বেজে যাবে তোমার কথামালা --
সেই স্মৃতিমূলক কথা-গুলো এখনো লাগে মনঃমন্তরে !!
শীতের শুরুতে জাপটে ধরে উলের চাদর- তোমার উষ্ণ ছোয়াঁর স্পর্শ ভুলায় কিভাবে ? শীত তো বারবার ঘুড়েফিরে আসে আমার করিডোরে !!
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে
ক্লান্ত বিকেল তপ্ত চায়ের কাপে -
গোধুলী-লগ্নে
জোছসনা রাতে
সকালের রোদ্রৌরে
অভিমান মন শুধু তো্মায় খুজে ফিরে -- অন্ধকারে হারানো আলপিন এর মতো খুজতে থাকি !! খুজতে খুজতে ক্লান্ত হোয়ে আসি আভিমান নামক ডাইরির পাতায় - !!
সেদিন পাটরে রশি বুনতে বুনতে মনে হচ্ছিল -কি উজ্জ্বল -কি সচ্ছ্বতা - কি মুদ্ধ হয়ে ভাবনার জগৎ এ প্রবেশ- আর তক্ষনি প্রশ্ন তুললো মনে অন্তরালে
এভাবে যদি শক্ত-পাকাপক্ত ভাবে বেধেঁ রাখা যেত ভোরের আলো !! তাহলে রঙ্গিন নাইলন কিনতে হাটে যেতুম না ক্ষনে -- পাটের রশির ক্ষন হয় কিন্তু শৈল্পিক সৌন্দর্যের বয়ে চলা গ্রামের ছোট নদী তো সমুদ্র হতে ব্যাকুল হয় না ?
সদ্য ভোর অন্ধকার-কে তুরি মেরে নেমে আসে রৌদ্র তোমার চোখের কোনায় -
শালিকের জোড়ায় জোড়ায় ঘড় থেকে বের হয়ে বসেছে আঙ্গিনায় !!!
ভাঙ্গা রেলিং বেয়ে বেয়ে খুনসুটির গল্প-সল্প - কেমন মায়া মায়া করে হাঁটছে - বাতাসের উপর ভড় করে নৃত্ত্য- এমন প্রেমে যেন জানালায় আকটে থাকে আজীবন !!
মনে পড়ে যায় সেই দিনের বৃষ্টি ভেজা জোছনায় জাগে থাকা রাতের আকাশে অভিমানে থাকা একা চাঁদ -
চন্দ্র দিনের কথা - তোমারও কি ভিজায় - বালিশ কাঁথা !!
----------------------------------------------------------------
হুর খারাপ হইলে খারাপ হইছে -- শহিদুল ভাই-এর অনুপ্রেরনা কইরা লিখি -- আমি লিখতে পারি না ভাই কে উৎসর্গ করার দৃষ্টতা দেখাতেও পারি না কারন কবিতা লিখার নিয়ম কানুন জানি না -- মনে যা আহে তাই লিখি !!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৬