somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টিউশন ফিউশন (রম্য)

২৭ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সম্প্রতি চট্টগ্রামে ঘটে যাওয়া গৃহ শিক্ষক দ্বারা সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের খরবটি পড়ে বেশ আহত হই। এমনিতে আজকাল ক্রমাগত খারাপ সংবাদ পড়তে পড়তে বেশ অবসেশনে ভুগি। তার উপর শুধু মাত্র যন্ত্র প্রেমের কারণে তিন তিনটি নিষ্পাপ প্রানের ঝড়ে পরা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আর অভিযোগটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কিছু প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়। সময় বলে দিবে এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে আসল রহস্য কি?

যাহোক, আজ আপনাদের সাথে আমার টিউশন সম্পর্কিত কিছু অতীত অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
এক
শুরুটা মোবাইল দিয়েই করি। জীবনে প্রথম ব্যাক্তিগত সেলুলার ফোন ব্যাবহার করি সেই ২০০৫ সালে। উল্লেখ্য প্রথমটি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। তবে কপাল দোষে মাত্র সাতাশ দিনের মাথায় সেটি খোয়াতে হয়। টেম্পু থেকে নেমে যখন শার্টের পকেটের দিকে তাকালাম, সাথে সাথে সাহারা মরুভূমির শূন্যতা অনুভূত হতে লাগলো। একরাশ বিষাদ নিয়ে নিজের বোকামিকে দুষলাম এর মনে মনে টেম্পুতে পাশে বসা বোরকা ওয়ালী বেটীকে ভৎসনা করলাম। প্রত্যাশিত ভাবে বাসায় কাঁটা ঘা’এ লবণের ছিটা “এবার সামর্থ্য থাকলে নিজে একটা কামাই করে কিনো তারপর মনের সুখে ব্যাবহার করো।“ কথাগুলো বেশ কিছুদিন কর্ণ কুহরে সংরক্ষিত ছিলো। এখনও আছে তবে অলিন্দে!
অতঃপর, কোচিং ও টিউশনির ফযিলতে মাত্র দুই মাসের মাথায় আমার হাতে আবার মোবাইল ফোন দৃশ্যমান। মনে মনে ভাবলাম আল্লাহ্‌ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। তবে কেন জানি সেই সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করার সময় থেকে আজ অব্দি দামি ডিভাইসের (মোবাইল) প্রতি কোনো মোহই সৃষ্টি হয়নি। হয়তো আয়-ব্যায়ের প্রারম্ভিকা একই সময়ে ও সমান্তরালে হওয়াটাই ছিলও মোহভ্রষ্টের কারণ।

দুই
শুরুটা ছিলো কোচিং দিয়ে। মাস না ঘুরতেই যাবতীয় পারিবারিক উৎকণ্ঠা (!) ছাপিয়ে গৃহশিক্ষক হিসেবে আমার হাতেখড়ি হলো। উল্লেখ্য পারিবারিক উৎকণ্ঠার কারণ “ফাস্ট কেইস” ছাত্রী তাই বাসা থেকে নিষেধাজ্ঞা জারির সম্ভবনা!
অবশেষে, অভিভাবকের হোন্ডার পেছনে বসলাম আর অনাগত চ্যলেঞ্জের কথা কল্পনা করতে লাগলাম। প্রথম দিনে পরিচয় পর্বে যা বুঝলাম “এটি একটি নারী শাসিত পরিবার।“ কারন ভদ্রলোক বেশ নিশ্চুপ ছিলেন আর মহিলা ক্রমাগত বলেই যাচ্ছেন। কথাবার্তার এক পর্যায়ে মহিলা কিছু একটা বলতে চাচ্ছেন কিন্তু কথায় স্থূলতা প্রকাশ পাবে বিধায় হয়তো সংকোচ বোধ করছিলেন! আমিও বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রাথমিক ভাবে কিছুটা বিব্রত বোধ করি। কারণ ছাত্রী মাত্র অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। মোটের উপর তারা বেশ রক্ষণশীল ও ভালো মানুষ।
সাপ্তাহ খানেকের মধ্যে ছাত্রীর সাত বছর বয়সী, ফাস্ট গ্রেডে পড়ুয়া ছোট ভাইয়ের সাথে আমার বেশ সখ্যতা গড়ে উঠলো। যদিও সে আমার ছাত্র ছিলো না। সে বিকালে স্কুলের মিসের কাছে পড়তো। তার কাজ ওর আপু দিনে কতক্ষন হিন্দি সিরিয়াল দেখে সেইটার হিসাব রাখা অতঃপর আমাকে জানানো।
একদিন পিচ্চি হাঁপাতে হাঁপাতে আমার চেয়ারের পেছনে এসে দাঁড়ালো। আমি বললাম
ঃবাবু কোথায় ছিলে?
ঃ কুতাও না স্যার, বাহিরে
ঃ বাহিরে কেনো?
ঃ কিরকেট কেলা কাচ্ছিলাম যে আর কি !!!
ঃ কি কলা খাচ্ছিলা?
ঃ আরে কলা না তো , কেলা কেলা, ওই যে ব্যাট দিয়ে বলকে ডেবালে (দেয়ালে) ফাডাইইয়েনে মারে যে ওই টা ...

কিছু দিন পর আবিস্কার করলাম এই পিচ্চি করাপটেড হয়ে গেছে। মানে সে আর আগের মতো আমাকে তথ্য দেয় না। সে নাকি তার আপুর সাথে কার্টুন দেখার চুক্তিতে তথ্য গোপন করার শপথ করেছে!!!

তিন
এই কেইসটা একটু জটিল। আমি এমনিতে পুলিশকে ভয় পায়। তার উপর তখন দেশে “স্টেইট অফ ইমারজেন্সী” মানে জরুরী অবস্থা। এমতাবস্থায় অভিভাবক হিসেবে পুলিশের কথা শুনে কিছুটা ঘাবড়ে যাই। তবে যখন শুনলাম ছাত্রদ্বয়ের মধ্যে একজন চট্টগ্রামের সনামধন্য সরকারী স্কুলে এবং অন্যজন ইংরেজী মাধ্যমে অধ্যায়নরত, তখন কিছুটা সাহস করে আগালাম। ভাবলাম কষ্ট কিছুটা কম হবে। মাগার প্রথম দিনেই টের পালাম এইটা কোন বোম। বছরের মাঝামাঝিতে শুরু করায় প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় ফলাফল দেখতে চাইলাম। অধিকাংশ বিষয়ে ডাব্বা মেরেছে। তখন বুঝতে পারি ভালো সরকারী স্কুলে তার ভর্তি রহস্য!! আস্তে আস্তে তার পূর্বের গৃহশিক্ষকের প্রস্থানের সঠিক কারনও আবিস্কার করলাম। সঠিক বললাম এই জন্য যে, আমাকে বলা হয়েছিলও তার আগের শিক্ষক অনিয়মিত ছিলও। তাই তাকে প্রস্থানে বাধ্য করা হয়েছে! কিন্তু মাসখানের পড়ানোর পর বুঝলাম যে তিনি আপন প্রান বাঁচাতে, নিজ উদ্যোগে এই কাজ ত্যাগ করেছেন! অবশেষে পরিস্থিতি বুঝে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাধ্য হয়ে কর্পোরাল পানিশমেন্টের ব্যাবস্থা করলাম। এই ক্ষেত্রে আমি আবার পি এইচ ডি করা, সারাজীবনে যেই পরিমাণ উত্তম-মধ্যম খেয়েছি!
যথারীতি একদিন সকালে পড়াতে গিয়ে দেখি, ছাত্র-অভিভাবক বেজায় খুশি। রহস্যটা কি? খানিক বাদে, আমার সামনে কফি এগিয়ে দিতেই বললেন, স্যার আপনার ছাত্রতো ভালো করেছে!! আমার কাছে কথাটি ছিলো তখন পর্যন্ত অষ্টম আশ্চর্য। আমাকে চমকিয়ে দেওয়ার মতো করে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় রেজাল্ট কার্ড আমার সামনে রাখলেন। সেদিন কফিতে ঠিকমতো চিনি দেওয়া হয়েছিলো কিনা নিশ্চিত নই। তবে রেজাল্ট শিটের দিকে চোখ পড়তেই কফির স্বাভাবিক তিক্ততা মাত্রা ছাড়িয়েছিলো সেটা আমি নিশ্চিত। ছাত্র আমার বিষয়, অর্থাৎ ইংরেজীতে টেনেটুনে পাশ করেছে। প্রথম সাময়িকের ১৫ থেকে ২৬ বেড়ে ৪১ হয়েছে!
যাহোক অভিভাবক আমাকে প্রায় উৎসাহিত করতেন। প্রায়ই বলতেন ওনার সমর্থিত রাজনৈতিক দল শুধুমাত্র একবার ক্ষমতায় আসলে, আমাকে তদবিরের মাধ্যমে ভালো সরকারী চাকুরীর ব্যাবস্থা করে দিবেন। ওনার রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছেন বটে, তবে আমি আর বেশি দিন স্থায়ী হলাম না। দেশে থাকলে হয়তো এতদিনে রেলের কালো বিড়াল-টিরাল কিছু একটা হতাম।

একদিন, বিকালে সেই একই অভিভাবকের ফোন। কি ব্যাপার সকালে পড়ালাম, এই অবেলায় আবার কি সমস্যা? কল রিসিভ করার পর তিনি কাল বিলম্ব না করে আমাকে সোজা রিক্সা যোগে বড়পোলের মোড়ে আসতে বললেন। আর্জেন্ট শুনে কিছুটা ঘাবড়ে গেলাম। মনে মনে দোয়া দরুদ পড়তে পড়তে রওনা হলাম। আধা ঘণ্টা পর আমি বড়পোল পোঁছাতেই আবার কল! রিসিভ করার পর, শুধু শুনলাম “রাস্তা পাড় হয়ে এপাশে আসনে।" কি ব্যাপার উনি আমাকে ফলো করছেন! এবার উনি সানগ্লাস পরিহিত অবস্থায় মাইক্রো বাস থেকে বের হয়ে আমার সামনের দাঁড়ালেন । আত্মারাম খাঁচা থেকে বের হবার জোগাড়। আমার কাছে মনে হলো আমি জেমস বন্ড সিরিজের কোনো দৃশ্যের শট দিচ্ছি। আতংকের এখানেই শেষ নয়। তিনি নিকটবর্তী হয়ে আমার ডান হাত খামচি মেরে ধরলেন আর পাশে থাকা দুইজন অধীনস্থ সহকর্মী সহ আমাকে টেনে নিয়ে যেতে লাগলেন। আসে পাশের দোকান থেকে অতি উৎসাহী কয়েকজন আমার দুরাবস্থা উপভোগ করছিলো। কিছুক্ষন হাঁটার পর আমাকে নিয়ে ফুলকলিতে (সুইট’স) প্রবেশ করে জিজ্ঞেসা করলেন “কি খাবেন?” কি খাবো মানে! দোকানের এয়ার কুলার চলা সত্ত্বেও আমি ভয়ে ঘামাচ্ছি। যাহোক তিনি রসমালাই, আইসক্রিম অর্ডার করলেন। তারপর ওনার ব্যাগ থেকে ইয়া বড় এক কাগজ, কলম আর ডায়রী বের করলেন। আমার সামনে এক বাটি রসমালাই এগিয়ে দিয়ে বললেন ওনাকে বড় কাগজে লিখা “ফরেনসিক রিপোর্ট” অনুবাদ করে বুঝিয়ে দিতে হবে আর উনি তা ডায়রীতে ওনার মতো করে লিপিবদ্ধ করবেন। উফ!! এতক্ষণে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। রিপোর্ট দেখে যা বুঝলাম, এক গ্রীক নাবিক, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানে মৃত্যু বরণ করেন এবং তিনি উচ্চরক্ত চাপের রোগী ছিলেন। ওখানে ময়না তদন্তের আরও ভিভিড বিবরণ ছিলও। ঘণ্টাখানের পর উঠলাম। উনি ওনার সন্তানদের পড়াশুনার অগ্রগতির কথা জিজ্ঞাসা করতে করতে পকেট থেকে কচকচে পাঁচশত টাকার নোট বের করে আমার দিকে এগিয়ে দিলেন। আমার ইতস্তভাব থেকে তিনি নিজেও কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়লেন। হয়তো গতানুগতিক অভ্যাসের বশে এটি করে থাকতে পারেন। পরক্ষনে আমি যখন চলে যাওয়ার জন্য দূরবর্তী হলাম, উনি দ্রুত গিয়ে রিক্সাকে ইশারা দিলেন আর চালকের পকেটে কি যেন গুজে দিলেন। আমি মুচকি হেসে রিক্সায় উঠলাম ওমা রিক্সা ওয়ালা ভাই দেখি “ফাস্ট মুডে” প্যাডেল চাপছেন। বুঝলাম প্রত্যাশিত ভাড়ার চাইতে বেশি মাল পকেটে পরেছে।
বাধ্য হয়ে বললাম “ভাই আস্তে চালান” ।

চার
ইতিমধ্যে আমি বেশ দক্ষ শিক্ষক! বন্ধুর অনুরোধে পড়াতে হবে। শুরু করলাম, ছাত্রী পড়াশুনায় খুব একটা খারাপ না তবে আলস্যে আক্রান্ত এক কথায় “স্লো কোচ।" বেশ কিছুদিন পড়িয়েছিলাম আমি প্রবাসে আসার আগ পর্যন্ত। দুর্ভাগ্যক্রমে তার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পূর্বে আমি দেশ ত্যাগ করি। পড়ানোর শেষ পর্যায়ে শুনি তার আমেরিকা প্রবাসী পিতা কাল দেশে আসছেন। পরের দিন যথারীতি পরিচয় পর্বে সালাম দেওয়ার পর উনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন “মাস্টরের বাড়ি কই?” জীবনে এই প্রথম “মাস্টর” কথাটি শুনলাম। ছাত্রী পেছনে হেসে খুন। যাহোক শুনে ভালো লাগলো সে এখন ইংরেজী সাহিত্যে পড়াশুনা করছে। উল্লেখ্য সে এখন আমার ভাবি। অর্থাৎ আমার বন্ধুর স্ত্রী। দোয়া করি তারা যেন সুখী হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:১১
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পুরনো ধর্মের সমালোচনা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেই নতুন ধর্মের জন্ম

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:১৫

ইসলামের নবী মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে প্রবেশনে পাঠানোর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×