somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনন্তকাল পরে * (১৮ ++)

২৬ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কাজ করছি রান্নাঘরে । সন্ধ্যা সাতটা বাজে আর একটু পরেই তুমি চলে আসবে। গরুর মাংসের কিমা করেছি, কাবাব করেছি আর লাল শাক রেধেছি। ডাল ভাত রেধেছি।

তুমি কলিংবেল টিপছ , আমি দরোজার লুকিং গ্লাস দিয়ে দেখলাম তুমি দাঁড়িয়ে আছ। মনটা খুব খুশি হল। দরোজা খুললাম। তোমার চোখে চোখ রাখতেই তুমিও খুব খুশি হলে। শুধালে কি করছিলে। আমি আহ্লাদিত হয়ে উত্তর দিলাম,”কিছু না এই একটু রান্না করছিলাম। " তুমি হেসে আমাকে বুকে জরিয়ে নিলে। তোমার ক্লান্ত শরীরে হালকা মাথা রেখে টি-শার্টের উপরই বুকে চুমু একে দিলাম বললাম”আমার সোনা পাখিটা।” আস্তে করে তোমার কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলাম। উদ্দেশ্য তোমার হাত মুখ ধোয়ানো ফ্রেস করা। “যাও একটু ফ্রেস হয়ে আস লক্ষীটি।” চা দিব নাকি কফি দিব হমম। তুমি শোবার ঘরে যেতে যেতে বললে “কফি দিও।”


আমি কফি চড়ালাম। চুলায় পানি আর কফির টগবগে যুদ্ধ দেখছিলাম। তুমি একটু পরে শোবার ঘর থেকে ডাকছ “জানু জানু ”
হ্যা বল আমি রান্না ঘর থেকেই চেচাচ্ছি।
এদিকে একটু আস না। আমি চুলায় বসানো কফির মধ্যে দুধ দিয়ে জ্বালটা হালকা আচে রেখে আসলাম। ঢুকে দেখি তুমি টিশার্ট খুলে খালি গায়ে দাঁড়িয়ে আছ। আমি আড়চোখে তাকালাম। কেমন সেক্সি লাগছিল। গতরাতের তোমার আর আমার ঝড়ের কথা মনে পড়ছিল।

তুমি আমার চোখ মুখ দেখে কিছুটা আচ করলে। বললে “ আমার কোমরটা এত ব্যাথা করছে একটু মুভ লাগিয়ে দাও না।“ ব্যথা করছে আমি শুধালাম। তুমি বললে “খুব ব্যথা করছে। এই সারাদিন ল্যাবে কম্পিউটারে বসে কাজ করি। কোমরটা ধরে গিয়েছে।”
আমি চিন্তায় পড়ে যাই। ব্যথাটা এবার আমার বুকেই টনটন করে বাজে। মুভ তো রোজ দাও । আমার আম্মাকে দেখতাম রসুনের তৈল গরম করে লাগাতো । দুতিনদিন রোজ মালিশ করলে আরাম পাবে। আর ব্যথা লাগবে না। “


রসুনের তৈল তুমি একটু অবাক হয়ে তাকালে। আমি আবার শুধালাম দিয়ে দিব । কি ভেবে তুমি হ্যা বলে দিলে। রসুনের তৈল গরম করে নিয়ে এসে দেখি তুমি বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে আছ। ব্যথায় আর চিন্তায় তোমার মুখ কুকড়ে আছে। আমি রসুনের তৈল দিয়ে আধা ঘন্টা মালিশ করলাম। তোমার ডানা , পিঠ সব ঠিকঠাক করে দিলাম। আগে থেকেই এরকম হাত টেপাটিপি , গা মালিশ বড়দের করে এসেছি। তাঁরা খুব আরাম পায়। তোমার ক্লান্ত মুখটা উজ্জ্বল হয়ে গেল । ব্যথায় কুকড়ানো মুখের বদলে সজীব তুমি।

দাঁড়াও তৈলগুলি মুছে দেই। তোয়ালে এনে তোমার সারা পিঠ , কোমর মুছে দিলাম।মুছে তোয়ালে নিয়ে যেই না নামতে যাচ্ছি পিছন থেকে আমাকে তুমি টেনে নিলে । চুমু একে বললে “tnx” আমিও তোমার চুমুর উত্তরে চুমু দিয়ে বললাম “welcome, দাঁড়াও কফি নিয়ে আসি।” কফি দুজনে মিলে খেলাম। শুধুই দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে। তুমি গান গাইতে বললে আমরা এই গানটি ধরলাম, ”তুমি যে আমার শুধু তুমি যে আমার।”
আমরা দুজনে হারালাম আটলান্টিক মহাসাগরে । রাত পেরিয়ে সকাল হল, সকাল গড়িয়ে দুপুর হল। তুমি তো আর আমাকে ছাড় না , দুষ্টু।
অনন্তকাল পরে আমরা আবিস্কার করলাম, কেয়ামত পার হয়ে তুমি আর আমি স্বর্গে(ইনশাল্লাহ) আছি । আমরা একে অপরের দিকে তাকিয়েই আছি।
“আচ্ছা ”আমি শুধালাম দুষ্টুমি করে“তুমি হুর পরীদের কাছে যাও না কেন ? ওরা তো আমার থেকে দেখতে অনেক সুন্দরী।”
“কি হবে গিয়ে “ মুখ বেকে উত্তর দিলে তুমি ।
আমি মুখ টিপে হেসে বললাম ,”বারে ওরা তোমাকে কত্ত খাতির যত্ন করবে”

“আমার খাতির যত্নের দরকার নাই “ এবার তুমি রেগে গেলে।“ তুমি হুর ব্যাটাদের কাছে যেতে পার না যাদের সব কিছু আমার থেকে অনেক ভাল , চেহারাও সুন্দর।“
কেন যাব ? আমি রেগে গেলাম।
যাবানা ওই ব্যাটারা কত মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে তোমাকে কত উৎফুল্ল রাখবে।
আমি বললাম “হ্যা আমি তো সবার সাথেই কথা বলি। হুরদের সাথে বাকি সবার সাথেই কিন্তু সবাইকেই যে আমার ভাই ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারি না।কেন জানি পারি না।“
তুমি হো হো করে হেসে উঠলে , “কি পার না ।”
“জানি না “ আমি চোখ নামিয়ে উত্তর দিলাম।
“তুমি কি আমাকে ছাড়া আর কাউকে নিয়ে ভাবতেই পারলে না ইহজনমেও পার নাই এই পরজনমেও পারলে না ?? “
হো হো করে হাসতে লাগলে তুমি
“পারলাম নাতো কি করবে তুমি “
তুমি মুচকি হেসে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললে “সেইজন্যই তো আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি। এমন পাগলী কি আর কোথাও পাব। যে শুধু আমাকেই ভালবাসে আর কাউকে বাসে না । বল।”

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:০৪
২২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠিক কোন বিষয়টা মৌলবাদী পুরুষরা শান্তি মত মানতে পারে???"

লিখেছেন লেখার খাতা, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৭


ছবি - গুগল।


ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম এখন আর শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নয়, রোজগার এর একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্মও। একটু স্মার্ট এবং ব্রেন থাকলে ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম থেকে রোজগার করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধখানা ভ্রমন গল্প!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯


২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×