somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিদ্যুতে চুরি কেন নিয়ন্ত্রন করা যায়না!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিদ্যুতে চুরি কেন নিয়ন্ত্রন করা যায়না!
হাসান কামরুল
প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে বিইআরসি ( বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলটরি কমিশন) সদ্য সাবেক হওয়া চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন প্রসঙ্গে কিছু কথা বলার দরকার। এই ভদ্রলোকের সময়েই বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ছয়বার। এর আগের চেয়ারম্যান বর্তমান দুর্ণীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান সাহেবও বিইআরসি‘র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময়েও সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর টালবাহানা করলেও খুব একটা সফল হয়নি। কিন্তু সৈয়দ ইউসুফ হোসেনকে এনে সরকার ষোলকলা পুর্ণ করেছে। এ ভদ্রলোক গেল ১০ই অক্টোবর বিইআরসির চেয়ারম্যানশীপ থেকে অবসর নিয়েছেন। উনার বিদায়ের দিনও যথারীতি সংবাদ সম্মেলন করেছেন কিন্তু শুনেছি সাংবাদিকরা উনার গুড বাই পার্টিতে যাননি। এমনকি বিটিভি থেকেও নাকি কেউ যায়নি। যাইহোক এক সাংবাদিক নাকি তাকে জিঙ্ঘাসা করেছিলেন নিজাম ডাকাততো দুর্ণীতিওয়ালাদের কাছ থেকে টাকা ডাকাতি করে গরিবদের মাঝে বন্টন করেছেন। এবং এক সময় নিজামউদ্দিন আউলিয়া হিসেবে স্বিকৃতি পান । কিন্তু আপনার বেলায় সেটি উল্টো ঘটেছে কারণ আপনি গরিবের টাকায় বিদ্যুতের মুল্যবৃদ্ধি করে দুর্ণীতিগ্রস্তদের দিয়েছেন। তাই জাতি আপনাকে ডাকাত হিসেবে জানবে। এমন প্রশ্ন শুনে বিদায়ী চেয়ারম্যান হতভম্ব হয়ে পড়েন এবং বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করে প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বিইআরসি ত্যাগ করেন।

বিদ্যুতে সিস্টেমলসের নামে চুরি বেড়ে গেছে বলে দৈনিক সংবাদে খবর বেরিয়েছে। সংবাদের রিপোর্টে যথার্থভাবেই বিদ্যুতে সিস্টেমলসের কিচ্ছাকাহিনী পরিস্ফুটিত হয়েছে। জ্বালানী তেলের মুল্যবৃদ্ধির অযুহাতে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু সিস্টেমলসের নামে বিদ্যুতে চুরির যে মহোচ্ছব চলছে তা নিয়ন্ত্রনে প্রশাসন নির্বিকার। পাওয়ার সেলের দেয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী পাচটি বিতরণকারী সং¯হায় সিস্টেমলসের পরিমাণ শতকরা ১৫ শতাংশ। যার মুল্য টাকার অংকে প্রায় ১৮শত কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরে সিস্টেমলসের কারণে রাষ্ট্রের ক্ষতি হচ্ছে ১৮ শত কোটি টাকা। যার গড়পড়তা মাসিক হিসেব দাড়ায় ১৫০কোটি টাকা। সরকারি নিয়ন্ত্রন সংস্হা পাওয়ার সেলের তথ্যানুযায়ী বিতরণ সঞ্চালন কারিগরি ও রক্ষাণাবেক্ষণে সিস্টেমলস হচ্ছে শতকরা ১০ ভাগ। আর বাকি পাচ শতাংশ সিস্টেমলসের নামে চুরি হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে সিস্টেমলসের কারণে বছরে লোকসান হচ্ছে ১২শত কোটি টাকা। আর সিস্টেমলসের নামে চুরি হচ্ছে ৬শত কোটি টাকা। সম্প্রতি পাওয়ারসেল কর্তৃক প্রকাশিত বাৎসরিক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সিস্টেমলসের পরিমাণ কোথাও কোথাও ২০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ। বিদ্যুতের দফায় দফায় মুল্যবৃদ্ধির এটাও একটা কারণ। আর এই চুরি করা বিদ্যুতের দামও শেষাবধি গ্রাহককেই পরিশোধ করতে হচ্ছে।
জ্বালানী এক্্রপার্টদের ভাষ্যমতে টেকনিক্যাল কারণে বিদ্যুতে সিস্টেমলসের পরিমাণ শতকরা সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। এর বেশি যা হচ্ছে তা পুরোটাই চুরি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সংগঠন কনজুমার এ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব)‘এর ভাষ্যমতে বিদ্যুতে চুরি রোধ করা গেলে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মুল্যবৃদ্ধির প্রয়োজন হতোনা। কারণ সিস্টেমলসের নামে বিদ্যুৎ সেক্টরে চুরির পরিমাণ এতোটাই বেড়ে গেছে যে তা কোথাও কোথাও ৪০শতাংশ পর্যন্ত ঠেকেছে। বিদ্যুতের চুরির জায়গাগুলো অতিসহজে সনাক্ত করা যায়। যার একটা সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো:
১. সারাদেশে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ বেড়ে গেছে। শিল্পকারখানায় বিশেষকরে ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যাক্তাদের মধ্যে অবৈধ সংযোগ নেয়া ও দেয়ার জন্য বিদ্যুৎ অফিসে রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। আর এ সিন্ডিকেটের বলয় থেকে বিদ্যুৎ অফিস বের হতে না পারলে বিদ্যুতের উন্নতি হবেনা এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। ডিপিডিসি (ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী) সূত্রমতে শুধু ঢাকা শহরেই তাদের সাপ্লাই দেয়া বিদ্যুতে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অবৈধভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর এই অবৈধ বিদ্যুতের ব্যবহার চলছে রাতের বেলায় ঢাকার ফুটপাতে । হকাররা ফুটপাতে ব্যবসা করার জন্য যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে তার পুরোটাই অবৈধ সংযোগ বলে বিবেচিত। বাল্ব প্রতি এখানে বিদ্যুৎ বিল কালেকশন করা হয়। বাল্ব এর সংখ্যা গণনা করা হয়। কখনোই কতোটুকু বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হচ্ছে তার হিসেব করা হয়না। আর যেহেতু ফুটপাত ঘিরে বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিটার সিস্টেম নেই তাই কতোটুকু বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হচ্ছে তার কোন হিসেব নেই। ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় লোক ফুটপাতে বিদ্যুৎ ব্যবহার নিয়ন্ত্রন করে বিধায় ফুটপাত ঘিরে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। সংবাদের খবরে জানা গেছে, ঢাকা শহরের ফুটপাতগুলোর বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহের জন্য সরকারী দলের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাকর্মীদের কাছে লীজ দেয়া হয়েছে। আর এসব নেতাকর্মীরা দোকান প্রতি বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহ করে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কিন্তু বিদ্যুৎ অফিসে জমা দিচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। এভাবে ফুটপাতে এদের রয়েছে সার্বক্ষনিক উপস্হিতি। আর এ ব্যবসা দৃশ্যমান শহরের সমস্ত ফুটপাতে মতিঝিল থেকে শুরু করে গুলশান বনানি পর্যন্ত বিভিন্ন জোনে বিভিন্ন গ্রুপ ফুটপাতে বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহে নিয়োজিত।
২. বিদ্যুতিক চুল্লি বা হিটারের ব্যবহার শুধু ঢাকা শহরেই নয় ইদানিং গ্রাম গঞ্জে অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। এক ঢাকা শহরেই মোট ব্যবহৃত বিদ্যুতের বিপরীতে চাহিদার হার বেড়েছে শতকরা ৩০ ভাগ। আর এ চাহিদার বৃদ্ধির পিছনের মুল কারণটা হচ্ছে হিটারের ব্যবহার। সম্প্রতি বিদ্যুতের কনজুমার লেভেলে ব্যবহার ও অপব্যবহারের পরিসংখ্যানে দেখা যায় ঢাকা শহরে শতকার ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয় বৈদ্যুতিক চুল্লিতে। অর্থাৎ ঢাকায় যেহেতু সাপ্লাই গ্যাসের সংকট দৃশ্যমান তাই গ্যাস ক্রাইসিস জোনগুলোতে বৈদ্যুতিক হিটারের ব্যবহার বেড়েছে শতভাগ। আর বৈদ্যুতিক চুল্লির ব্যবহারটা সম্পুর্ণই অবৈধ। মিটার রিডারদের সহিত কারসাজি করে বৈদ্যুতিক চুল্লির মাসিক একটা বিল দেয়া হয়। যার পুরোটাই মিটাররিডারদের পকেটে¯হ হচ্ছে । শুধু রান্নাবান্নার কাজেই বৈদ্যুতিক চুল্লি ব্যবহৃত হচ্ছেনা, কাপড়-চাপড় শুকানোর কাজেও ঘন্টার পর ঘন্টা বৈদ্যুতিক হিটার জ্বালিয়ে রাখা হয়।
৩. বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে কনজুমার লেভেলে বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। অপেক্ষাকৃত সস্তায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে না গিয়ে কম সময়ে বিদ্যুতের প্রডাকশন বৃদ্ধি করতে গিয়ে বিদ্যুৎ সেক্টরে অ¯িহরতা সৃষ্টি হয়েছে। যার মাশুল গুনতে হচ্ছে জনসাধারনকে। অতচ রাজনৈতিক সরকারের অন্যতম লক্ষ্য থাকে ইউটিলিটির বোঝা কিভাবে জনগণের মাথা থেকে কমিয়ে আনা যায়। কিন্তু আমাদের সরকার জনগণকে ইউটিলিটির মুল্য পরিশোধে ভোগান্তিতে ফেলে। এখন আবার বিদ্যুতের স্ল্যাব সিস্টেম চালু করেছে। যা জনকল্যাণমুখি না হওয়ার সম্ভাবনাই একশো একশো। এর আগেও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের নামে নতুন স্কিম চালু করেছে । আর এর লক্ষ্য ছিল ইন্ড্রাট্রিলিয়াস্টদের এ স্কিমে আগ্রহী করে তোলা। কিন্তু ছয় সাত মাস পর দেখা গেল নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে শিল্পোউদ্যোক্তরা এগিয়ে আসেনি। ফলে সরকার বিদ্যুতের লসটা উঠিয়ে নিতে পারলোনা বা সক্ষম হয়নি। এখন স্ল্যাব সিস্টেমকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের লেটেস্ট ভারসান বলে অভিহিত করছেন বিদ্যুৎ বিশেষঙ্ঞরা। যেহেতু সরকার নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রজেক্টে মার খেয়ে গেছে তাই অন্য যেকোন উপায়েই হোক জনগণের পকেট কাটতে হবে। আর সেটা স্ল্যাব সিস্টেমে সরকার অনেকটা সফল হবে এমন আশা প্রকাশ করলেও শেষাবধি গুড়ের লাভ মাছি খেয়ে ফেলে কিনা তা দেখার বিষয়। কারণ এ ধরনের ব্যব¯হায় মাঠ লেভেলে বিদ্যুতের যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী কাজ করবে তারা অধিক লাভবান হবে। অর্থাৎ বিদুতে এখন ফিল্ড লেভেলে পোস্টিং নেয়ার হিড়িক পড়বে। আর এ ব্যব¯হা দীর্ঘদিন চললে বিদ্যুতে অফিসার খুজে পাওয়া যাবেনা সবায় মাঠে কাজ করার আগ্রহী হয়ে উঠবে। কারণ মাঠে গেলেই মাস শেষে পকেট ভর্তি টাকা যা পুরোটাই আসবে মিটার ব্যবহারকারীর কাছ থেকে।
৪. বিদ্যুৎ যেহেতু সঞ্চয় করে রাখা যায়না অর্থাৎ বিদ্যুতের উদ্ধৃতি জমা রাখার ব্যব¯হা নেই। যখন যা উৎপাদন হবে তা সঙ্গে সঙ্গে হয় ন্যাশনাল গ্রীডে বা আঞ্চলিক গ্রিডে দিয়ে দিতে হবে। তাই পাওয়ার হাউজগুলোর সহিত ন্যাশনাল গ্রিডের সংযুক্তি সহজতর না হলে জাতিয় গ্রিড লাভবান হচ্ছেনা। উদাহরণস্বরুপ ভোলার শাহবাজ গ্যাস ফিল্ডে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটি ৫০ মেগাওয়াটের পাওয়ার হাউজ রয়েছে। সেখানে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাচামাল আছে কিন্তু সঞ্চালন লাইনের অভাবে ভোলার বিদ্যুৎ ভোলার মানুষের কাজে আসছেনা। আর যেহেতু সঞ্চালন লাইন তৈরি ও বিতরণ ব্যব¯হা ব্যয় সাপেক্ষ তাই কম টাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেলেও কম টাকায় জনসাধারণের মাঝে সরবরাহ করা সম্ভব হয়না। অনেক সময় বিদ্যুতের পর্যাপ্ততার কারণে লোকাল গ্রিড লাভবান হচ্ছে। কিন্তু ন্যাশনাল গ্রিড তাতে উপকৃত হচ্ছেনা।
৫. ন্যাশনাল গ্রিডে চুরি ঠেকানো যাচ্ছেনা। দীর্ঘ সঞ্চালন লাইনের ভিতর কোথাও কোথাও দিন রাতের সুবিধাসমেত সময়ে বিকল্প কানেকশনের কারণে বিরাট অন্কের বিদ্যুৎ ন্যাশনাল গ্রিড থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে যারা এর সহিত সম্পর্কিত তারা লাভবান হলেও সামগ্রিকভাবে পুরো দেশের ক্ষতি হচ্ছে। অর্থাৎ উৎপাদিত বিদ্যুতের যে পরিমাণ ন্যাশনাল গ্রিডে দেয়া হচ্ছে তারচেয়ে কম পরিমাণে বিদ্যুৎব্যবহারকারী বা ভোক্তা পর্যায়ে পৌছাচ্ছে। যার কারণে অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদিত হওয়ার পরও লোডশ্যাডিংয়ের উন্নতি হচ্ছেনা। আর এ ধরনের কাজে সাধারণত ন্যাশনাল গ্রিডের আশেপাশে বা কাছাকাছি যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে তাদের অনেকেই এমন অনৈতিক কাজে জড়িত।
৬. অতিসম্প্রতি অটোরিক্সার প্রার্দুভাব সারাদেশেই বেড়ে গেছে। এসব অটোরিক্সাগুলোর ব্যাটারি চার্জের জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজন কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তারা অটোরিক্্রার ব্যাটারি চার্জ দেয়ার জন্য ফোর ফোরটি লাইনের ১১ কেভি থেকে সরাসরি বিকল্প লাইনে ব্যাটারি চার্জ দিচ্ছে। ফলে এসব অটোরিক্সাওয়ালাদের বিদ্যুতের বিল দিতে হচ্ছেনা। কিন্তু অটোরিক্্রাওয়ালা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে ঠিকই।
পরিশেষে এইটুকুই বলবো বিদ্যুতের চলমান চুরির শতকরা ৮০ ভাগই রোধ করা সম্ভব যদি বিতরণ কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হয়। আর ২০ ভাগ চুরি এ মহুর্তে রোধ করা সম্ভব নয় বা সরকারের হাতে বর্তমানে সেই প্রযুক্তি নেই। যদি বিদ্যুৎ সেক্টরকে ডিজিটিলাইজড করা যায় তাহলে শতকরা ১০০ ভাগ চুরি রোধ করা যাবে। তবে এ কথা সত্য যে, বিদ্যুৎ চুরির সহিত বড়বড় চোরেরা জড়িত। যাদেরকে সমাজের রাগব বোয়াল বলা হয়। আর বিদ্যুৎ চুরিও হয় নানান উপায়ে নানান প্রক্রিয়ায়। এক্ষেত্রে সরকার অনেকটা অসহায় কারণ সরকার জানতেছে যে বিদ্যুতের লোকেরা চুরি করে কিন্তু সরকার ওদের ধরতে পারছেনা কারণ সরকারের হাতে চোর ধরার ব্যারোমিটার নেই।

হাসান কামরুল: ভূতত্ত্ববিদ ও কলামিস্ট।
যশমবড়ষড়মরংঃ@মসধরষ.পড়স

৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×