চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা যদি ধরা না পরে। ধরা না পড়লেই চুরি “মহাবিদ্যা”? দুনিয়ার যত ফাও উক্তি আছে তার মধ্যে একটা। চুরি-দারিতে মহাবিদ্যার কিছু নাই।
অনেক জ্ঞানী গুনী মানুষ একটা কথাই বার বার বলে বেড়াচ্ছেন , আশরাফুল নিজের ইচ্ছায় ফিক্সিং করেনি। সহজ সরল মানুষটি ষরযন্ত্রের শিকার। আর কইলাম নাহ..।
কোন ..র ষরযন্ত্র?
কোন কিছু না, সে তার নিজের সার্থেই যা করার করেছে। সত্যি কথা শুনতে খারাপ লাগবে হয়তো। দেশপ্রেম তো দুরের কথা,এমনকি তার মধ্যে সাধারণ মুল্যবোধটুকুও অনুপুস্থিত।
ষরযন্ত্র কতটুকু হতে পারে? ফিক্সিং না করলে হয়তো খেলতে পারবে না, তাইতো?
একটাই উত্তর, দরকার হলে ক্রিকেট ছেড়ে দিত। কিন্তু অ্যাশ তা করেনি, তাঁর স্বার্থের কাছে দেশের, দেশের মানুষের বিশাল স্বার্থ ছোট হয়ে গেছে।সে যদি দেশের সম্মানের কথা ভাবতো, তাহলে সে নিজের কথা ভাবতো না, খেলার কথাও ভাবতো না..।
চোর তো চোরই।
ছোট চোর আর বড় চোরের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? কুকুর আর কুকুরছানার মধ্যে যা পার্থক্য তাই।
আশ্রাফুলের ক্ষেত্রেও তাই, শুধু “মহাবিদ্বান” হওয়াটা বাকি ছিল। আহা! দুঃখের বিষয়! ধরা না পরলে বিদ্বান হতেই থাকতো..।
যেহেতু ক্ষমা চেয়েছে, সেক্ষেত্রে শাস্তি কমানো যেতেই পারে। তবে তাকে আর খেলায় ফেরানোটা ভুল সিদ্ধান্ত হবে। চুরির কায়দা যেহেতু জানে, আবার করতেও পারে। আপ্লুত হইয়া খালি লাফাইলেই চলবে না।
অ্যাশের চেয়ে অনেক ভালো ক্রিকেটার দেশের আনাচে কানাচে পরে আছে, শুধু চান্স পায় না। তাদের চান্স দিন। দেখনবেন কত ভালো ভালো সিক্সার পাবেন!
বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে আমরা সবসময়ই ভালবাসবো। যে রকমই খেলুক।
লাগবেনা আমার বিশ্বকাপ ট্রফি, লাগবেনা এক নাম্বার পজিশন। শুধু সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৫