ময়ের তুমুল জনপ্রিয় কবি ঔপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আর নেই। সোমবার রাত ২টা ৫মিনিটে কলকাতার নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তার মারা যাওয়ার খবরে কলকাতায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা যায়, রাত ১টা পর্যন্ত তিনি স্ত্রীসহ পাশের এক প্রকতবেশীকে নিয়ে গল্প করেন। এরপর তিনি বাথরুমে যান। বাথরুমেই তিনি হ্রদরোগে আক্রান্ত হন। কিছু সময় পরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন পশ্চিম বাংলার খ্যাতিমান এ সাহিত্যিক। তার মৃতদেহ হিমঘরে রাখা হয়েছে। বুধবার ছেলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসার পরই তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে আনন্দবাজার, দেশ পত্রিকা কার্যালয়ে তার মরদেহ নেওয়া হবে।
১৯৩৪ সালে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুরে। মাত্র চার বছর বয়সে তিনি কলকাতায় চলে যান। ১৯৫৩ সাল থেকে তিনি কৃত্তিবাস নামে একটি কবিতা পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন। ১৯৫৮ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ একা এবং কয়েকজন এবং ১৯৬৬ সালে প্রথম উপন্যাস আত্মপ্রকাশ প্রকাশিত হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বই হল আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি, যুগলবন্দী (শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে), হঠাৎ নীরার জন্য, রাত্রির রঁদেভূ, শ্যামবাজারের মোড়ের আড্ডা, অর্ধেক জীবন, অরণ্যের দিনরাত্রি, অর্জুন, প্রথম আলো, সেই সময়, পূর্ব পশ্চিম, ভানু ও রাণু, মনের মানুষ ইত্যাদি।
শিশুসাহিত্যে তিনি "কাকাবাবু-সন্তু" নামে এক জনপ্রিয় গোয়েন্দা সিরিজের রচয়িতা। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় "নীললোহিত", "সনাতন পাঠক" ও "নীল উপাধ্যায়" ছদ্মনামেও লেখেন।
এদিকে তার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন আরেক জনপ্রিয় লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সুনীল এতো তাড়াতাড়ি চলে যাবে বুঝতে পারিনি। তিনি একজন আপাদমস্তক জেন্টলম্যান।ধনী-গরীবের মধ্যে কোনো ব্যবধান করতেন না। ছিলেন অনেক সহানুভূতিশীল। হুমায়ূন ও সুনীলের মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস অনেকটা শূন্য হয়ে গেলো।