বহু রজনীর বকেয়া ঘুম নিয়ে,
ফেরারী আসামীর মত দুচোখ আমার,
গোপন তালাশে ফেরে এদ্বার থেকে সে দ্বারে।
অবিরাম সপ্ত বর্ষ ব্যাপি খরায়
আমার জগত বহুদিন ধরে বৃষ্টি শুন্য,
বুকের ঘাসগুলো শুকিয়ে হলুদ হয়ে আছে।
সাঁঝের কুয়াশার সাথে তো আমার কোন শত্রুতা ছিলনা,
তবুও সকালের শিশির আমার ঘাসগুলোর কথা ভুলেই গেছে।
বুকের জমিনটা লবনে লবনে বন্ধ্যা কবি,
সে জমিনে কলম ঘষে আর সোনা ফলে না।
শেষ যেবার ওরা ভিজেছিল,
তা ছিলো নিছক ক ফোঁটা অন্তিম লোনা জল।
তারপর কত কাল, বহুকাল পার হয়ে গেল,
আমার চোখের আকাশে রোদ অচেনা থেকে যায় -
সূর্যটা নাকি চুরি হয়ে গেছে!
কতদিন আমার চোখের আকাশে,
এক রত্তি মেঘও ভাসেনি !
নদীগুলো সব কোনো এক অন্ধকূপে বয়ে গেছে,
যার নিশানা কেউ আমাকে বলেনি।
আমারই সামনে সমুদ্রটা দুফোঁটা জল ঝরিয়ে শুকিয়ে গেল,
প্রথম মরুঝড়ে শেষ গাংচিলটাও উড়ে যায়,
এরপর থেকে আমি আর কোন পাখি দেখিনি।
আমার চোখের পাতাও বনের পথে ঝরে থাকা,
চৈত্রের শুকনো পাতার মত আগুনপ্রত্যাশী হয়ে আছে।
তবুও দাবানল উৎসবের আমন্ত্রন ফিরিয়ে দিয়ে,
জলের খোঁজে আমি তোমাদেরই দরজায় ঘুরে মরছি...
আমার কি কেউ থাকবেনা ?
যে আমার জন্য জমিয়ে রেখেছে দু ফোঁটা অশ্রু জল!!!