somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

২০০৫ সালে রাষ্ট্রপতিকে ঘুমে বিক্রি করে, ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি মাত্র ১৮ কোটি টাকায় বিক্রি।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাষ্ট্রপতির অনুমোদন রয়েছে এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে খোদ রাজধানীতে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রায় ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি মাত্র ১৮ কোটি টাকায় শেরেবাংলা মার্কেট দোকানদার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। ২০০৫ সালে শেরেবাংলা বহুমুখী সমবায় সমিতির কাছে ওই জমি এমন পানির দামে বিক্রি করা হয়। ওই সময় রেলের কতিপয় কর্মকর্তা তথ্য গোপন করে এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের কথা বলে এ অপকর্ম ঘটান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে বহুমুখী সমিতির অভিযোগ, টাকা পরিশোধের পরও তারা বুঝে পাননি জমিটি। অবশ্য ২০০৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশীদ হাওলাদার প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক হলফনামায় এই মর্মে অঙ্গীকার করেছিলেন যে, বিক্রয় কবলা সম্পাদন ও রেজিস্ট্রেশনের আগে সরকার-নির্ধারিত জমির মূল্য রেলওয়ের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে যদি বেশি হয়, তাহলে তারা ওই অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবেন। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে বহুমুখী সমিতি ওই পথে হাঁটেনি। ফলে বিপুল অঙ্ক থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার।

এর আগে রেলের প্রধান ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ঢাকা মহানগরীর জমির নতুন মূল্য তালিকা অনুযায়ী আগের বিক্রয় মূল্যের চেয়ে চার গুণ বেশি হিসাবে আদায় করার জন্য মহাপরিচালকের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন।

রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর ব্রাহ্মণচরণ মৌজায় বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রায় আড়াই একর জমি বিনা দরপত্রে শেরেবাংলা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের অনুকূলে বিক্রির জন্য ২০০৫ সালের ২৪ মার্চ রেলওয়ের ভূ-বরাদ্দ কমিটির এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্তের আলোকে একই বছরের ৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত ভূ-বরাদ্দ কমিটির আরেক সভায় জমির সালামি নিলামের মাধ্যমে বন্দোবস্তের জন্য সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৮ কোটি ২৪ লাখ ২৪১ টাকা ৫৬ পয়সা। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেরেবাংলা বহুমুখী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশীদ হাওলাদার দুই কিস্তিতে ওই টাকা রেলওয়েকে দেন যথাক্রমে ২০০৮ সালের ১১ এবং ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট। প্রথম কিস্তিতে এক কোটি টাকা ও দ্বিতীয় কিস্তিতে বাকি টাকা জমা দেন তিনি। সূত্র জানায়, এ জমি বিনা দরপত্রে বরাদ্দের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু কাগজগত্র পর্যালোচনা করে খোদ রেলওয়ের কর্মকর্তারা দেখতে পান, জমিটি বিক্রয়যোগ্য রেলভূমির তালিকাভুক্ত নয়। ব্রাহ্মণচরণ মৌজার অন্য দাগের জমি বিক্রয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলেও সিএস ১৩০ ও ১৩১ দাগের বহুমুখী সমিতির কাছে বিক্রীত জমিটি বিক্রয় তালিকায় নেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেল মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, তৎকালীন রেলওয়ের কতিপয় কর্মকর্তা নিয়মকানুন ভেঙে আর আইন অমান্য করে জমিটি পানির দরে বিক্রি করে দেন। ক্রেতাপক্ষ শেরেবাংলা বহুমুখী সমিতিও দ্রুততার সঙ্গে জমির মূল্য পরিশোধ করে। ওই কর্মকর্তা জানান, মূল্যবান জমিটি পানির দরে চলে যাচ্ছে জানতে পেরে পরবর্তী সময়ে রেল মন্ত্রণালয় এটি রক্ষার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। গুরুত্ব্বপূর্ণ তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে ওই অসাধু কর্মকর্তারা নিজেদের আখের গোছানোর অংশ হিসেবে বিনা দরপত্রে জমিটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। অর্থাৎ জমিটি বিক্রির যাবতীয় কার্যক্রম ছিল যুগপৎভাবে বেআইনি ও প্রকৃত তথ্য গোপন করে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে। ৪০০ কোটি টাকার জমি মাত্র ১৮ কোটি টাকায় বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ের মহাপরিচালক প্রকৌশলী আবু তাহের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'এটা কীভাবে হয়েছে বলতে পারব না। তবে এখন পর্যন্ত জমিটি হস্তান্তর করা হয়নি।' এই জমি বহুমুখী সমিতিকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়। তাদের সিদ্ধান্তের আলোকেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সুত্র
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:০৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×