উম্মে সালামাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী দেওয়ার এরাদা রাখে, তারা যেন যিলহাজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর হ’তে কুরবানী সম্পন্ন করা পর্যন্ত স্ব স্ব চুল ও নখ কর্তন করা হ’তে বিরত থাকে’। [ মুসলিম, মিশকাত হা/১৪৫৯; নাসাঈ, মির‘আত হা/১৪৭৪-এর ব্যাখ্যা, ৫/৮৬
]
কুরবানী দিতে অক্ষম ব্যক্তিগণ কুরবানীর নিয়তে উহা করলে উহাই আল্লাহর নিকটে পূর্ণাঙ্গ কুরবানী হিসাবে গৃহীত হবে। [ আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/১৪৭৯ ‘আতীরাহ’ অনুচ্ছেদ; হাকেম (বৈরুতঃ তাবি), ৪/২২৩]
*. -এ বিধান যে ব্যক্তি কুরবানী করবে শুধু তার জন্য প্রযোজ্য । যারা কুরবানী করবে না তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। অর্থাৎ তারা নখ-চুল কাটাতে পারে। এতে কোন অসুবিধা নাই।
*. -জিল হজ্জ মাসের চাঁদ দেখা (অর্থাত্ আজ) থেকে শুরু করে কুরবানী পর্যন্ত চুল-নখ ইত্যাদি কাটা যাবে না। কুরবানী করার পর তা কাটা যাবে।
*. -কোন ব্যক্তি যদি ভুল বশত: এগুলো কেটে ফেলে তবে তার জন্য আল্লাহর নিকট তওবা করতে হবে। এর জন্য আলাদা কোন কাফফারা নাই।
বর্তমানে এ গুরুত্বপূর্ণ সুন্নতটি আমাদের মাঝে থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই আসুন, আমরা এই সুন্নতকে পুণ:জীবিত করি। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আমীন।