মেঘবালিকা
মৌটুশি বাশার
কবি,আমায় তুমি বলেছিলে, মেঘ বালিকা
বিশ্বাস কর ঠিক তখনই ,আমি নীলগিরি তে মেঘ ছুঁয়েছি
রোঁয়া রোঁয়া,ধোঁয়া ওঠা, নরম নরম ঠিক তোমার মতো ।
বলেছিলে, মেঘ বালিকা তোমায় আমি স্বপ্ন দেবো,
লম্বা-খাটো, দীর্ঘ-ছোট হরেক রকম রঙিন রঙিন
বিশ্বাস করো , তখন থেকেই শূন্য আমার
গানের খাতা ,শাড়ীর আঁচল,মনের গহীন
স্বপ্নে তোমার বিভোর আমি পাগলপারা ।
বলেছিলে,তুমি না কি জাদু জানো? ফিরিয়ে দেবে হারানো সব
তখন থেকেই আমি শুধু আমায় দেখি পলাশপুরের শুন্য মাঠে,
বসে আছি পা ডুবিয়ে, ঠাকুর বাড়ির পুকুর ঘাঁটে ।
বিষণ্ণ এক বিকেল বেলায় কবি তুমি বলেছিলে, মেঘবালিকা
হাজার রকম নকশা হয় শরীর দিয়ে, দেখাই এস
কি যে হল, হাত ছাড়িয়ে চলে গেলাম অনেক দূরে।
তখন থেকেই কেমন যেন ঝুম ধরা সব
মেঘ দেখিনা ,পা ভেজে না, স্বপ্নে আমার ঘুম ভরে না
তাই আজ এসেছি সমর্পণে,
দেখব এবার কেমন হয়, নকশা আঁকা?
কিন্তু কবি কোথায় তুমি? ডাকছি এত আসো না ক্যান?
কবি তুমি কি তবে, অন্য কোথাও ?
গড়ছ বসে অন্যকোনও মেঘবালিকা ?