উইলিয়াম অ্যাকিলিস নামে ২ মাস ২ সপ্তাহ বয়সী একজন ব্লগার আছে এই ব্লগে । মায়াজাল, আমার চোখে হিমু এবং হুমায়ূন, আমি ঠোলা হতে চাই, থিওরি অফ সোলম্যাট এসব লেখার মাধ্যমে যে ইতোমধ্যে সামহোয়্যার ইন ব্লগের নতুনের খাতা থেকে নাম কাটিয়ে ফেলেছে এবং এর মধ্যে যে কিনা ওর ‘থিওরি অফ সোলম্যাট’ নামে লেখাটি আবার উৎসর্গ করেছে আমাকে, সে আমার অপু। আমার এই অপু এক সকালে হাজার হাজার মাইল দূরে বসে অদৃশ্য এক সূতো যত্নের সাথে টেনে-ছেড়ে খুব যত্নে আমাকে নিয়ে এসেছে ব্লগিং এর আকাশে। আর আমিও আমার অপুকে কথা দিয়েছি- জীবনের বাঁকে বাঁকে আমি ওর দুর্গা দিদি হয়ে রইবো, কাশবনের ভেতর দিয়ে আমি ওকে ট্রেন দেখাবো। অপুর হাত ধরে দুর্গার ব্লগের আকাশে আসার ঠিক ২ সপ্তাহ পূর্ণ হল আজ। অপুর হল ২ মাস ২ সপ্তাহ আর দুর্গার হল ২ সপ্তাহ । এখানে অপু বড় আর দুর্গা ছোট (নতুন অর্থে)। তো ছোট এই দুর্গা মাত্র ২ সপ্তাহ বয়সে দেখলো- ব্লগে তার ছোট্ট আকাশটিতে নানা অতিথি এসেছেন ৩৯৩ বার, ভালবাসার জলে ধোয়া মন্তব্যও সে পেয়েছে অনেক। Not bad………বলা যায় দুর্গার বাকুম বাকুম অবস্থা। দুর্গা তার এই বাকুম বাকুম অবস্থায় – অতিথিদের/ স্বজনদের ‘বাক-বাকুম বাক-বাকুম’ বলে ঘুরে ঘুরে নেচে নেচে ‘ধন্যবাদ’ বলতে চায় তার মতো করে............স্বজনেরা তা নেবে কি?
আনা আখমাতোভা নামে এক রাশান মহিলা কবি ছিলেন। তিনি দারুন প্রতিভাময়ী ছিলেন, ছিলেন দারুন অভিমানীও । একবার তাঁর মন খারাপ হল, তিনি দীর্ঘ ২০ বছর লেখালেখির ধারে কাছেও যান নি। পাঠক – প্রকাশকের হাজার অনুরোধেও না। কোন এক বিচিত্র কারনে তাঁর চরিত্রের জেদের এই অংশটুকু মানুষ হিসেবে তাঁর দিকে আমাকে ভীষণ টানে আর তাঁর কবিতাতো অসাধারনই। পাঠক হিসেবে যে সুখ আমি পেয়েছি আনা’র কবিতা পড়ে সেই সুখের কিছুটা ছটা আমি আমার স্বজনদের দিতে চাই। একসময় আনা’র কিছু কবিতা ইংরেজী থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছিলাম, আজ এ পাতায় তাঁর কিছু লিরিক দিচ্ছি............।
লিরিক-১
আমার বন্ধুর মত নয়, আমার শত্রুর মতোও নয়-
সে আমার প্রশংসা করেনি কিংবা আমায় গালমন্দও করেনি,
আমাকে শুধু বলেছিল – আমার আত্মাটি নাও,
এবং তা আমারই জন্য কিছুটা সময় সযতনে রেখে দাও।
এখন, একটি ব্যাপার আমাকে সত্যিই ব্যাথিত করে –
যদি একদিন সে মৃত্যুবরন করে !
ঈশ্বরের শ্রেনীশ্রেষ্ঠ দেবদূত হঠাত নেমে এসে
তাঁর আত্মাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় !
আমি কিভাবে লুকোবো, এবং কতটা দৃঢ়তার সাথে
এবং স্বয়ং ঈশ্বরেরই চোখের আড়ালে?
তাঁর আত্মার মতো এমন একটি আত্মা –
যা গান করে আর ভাসিয়ে কাঁদে,
অবশ্য অবশ্যই তা স্বর্গোদ্যানের স্থায়ী বাসিন্দা।
লিরিক-২
তোমার হৃদয় আর কখনো আমার হৃদয়কে স্পর্শ করবে না
আনন্দ কিংবা বেদনায়, বিগত দিনের মতো ।
সব, স-ব শেষ ..........আমার গানের পাখিরা দূরে উড্ডয়নরত
রাতের খুব গভীরে- যেখানে নেই, তুমি নেই.........।
লিরিক-৩
যদি তুমি মৃত্যু হও, আমাকে বলো – কেন ওভাবে কাঁদছ ?
যদি তুমি আনন্দ হও, বলছি শোন – আনন্দ কখনো এরূপ নয় ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৯