somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নীতিহীন রাজনীতি এবং টিআইবির রিপোর্ট

১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

টিআইবি গবেষণা করে বের করেছে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সদস্যদের ৯৭ শতাংশই দুর্নীতির সাথে যুক্ত। সরকারি ও বিরোধী দল সকল ক্ষেত্রেই একই অবস্থা। রিপোর্ট প্রকাশের পর আওয়ামীলীগ বললো অনির্বাচিত ব্যক্তিদের ক্ষমতায় আনার জন্য এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। বিএনপি বললো-- ওটা আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তাদের ক্ষেত্রে নয়। আমার দৃষ্টিভঙ্গী একটু আলাদা।
গবেষণায় বলা হয়েছে এমপি রা দুর্নীতি করেন। কথা শতভাগ সত্য। কিন্তু ওনারা কি জাতীয় সংসদের সদস্য হয়ে দুর্নীতি করেন না কি দুর্নীতিবাজরাই এমপি হন? গবেষণায় যদি বলা হতো -- ওনারা আগে সাধু ছিলেন কিন্তু সংসদ সদস্য হয়ে অসাধু ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন তাহলে এই গবেষণাকে প্রকৃতই গবেষণা বলা যেতো। কিন্তু যদি অসাধু ব্যক্তিরাই যদি নির্বাচিত হন তাহলে তারা দুর্নীতি করবেন এটাই তো স্বাভাবিক? এটা নিয়ে গবেষণার কি হলো সেটাই তো বুঝলাম না। এই গবেষণার জন্য টিআইবি কত টাকা খরচ করলো সেটাও তো জানা দরকার। একটি প্রমাণিত বিষয় নিয়ে এই গবেষণা করে তারা কি সততার পরিচয় দিলেন নাকি গবেষণার নামে টাকা হালাল করলেন সেটাও দেখা দরকার? (সর্ষের মাঝেও ভুত থাকে)।
বাংলাদেশের রাজনীতি অনেক আগেই নীতিহীন হয়ে পড়েছে। নির্বাচিত হওয়ার জন্য মনোনয়ন পত্র বেচাকেনার ইতিহাস নতুন নয়। জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির জন্য নির্বাচন মানে হলো একটি লাভজনক ব্যবসা। রাজনীতি না করেই দলের মনোনয়ন পেয়ে এমপি মন্ত্রী হয়ে যান-- আমলা (সামরিক বা বেসামরিক), ব্যবসায়ী রা। ত্যাগি রাজনীতিকদের কদর অনেক আগে থেকেই উঠে গেছে। দলের কোনো পজিশন পেতে হলেও টাকা দিতে হয়। ছাত্র সংগঠন, যুব সংগঠন, মূল সংগঠনন, শ্রমিক সংগঠন সব খানেই টাকার খেলা। আর তাই তো দেখা যায় কোনো কমিটির সদস্য মনোনীত হওয়ার পর পোস্টার ছাপিয়ে শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন প্রদানের প্রতিযোগিতা। ওয়ার্ড কমিটির সদস্য হতে গেলে যেখানে টাকা খরচ করতে হয় সেখানে তারা এই টাকা তুলবেন কেমন করে? দুর্নীতি তো সেখান থেকেই শুরু।
একসময় যারা রাজনীতি করতো তাদের বলা হতো ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর কাজ করছে। এখন তা বলে না। এখন রাজনীতি করছে শুনলেই মানুষ মনে করে ভালই কামাই হচ্ছে।

টিআইবি মাঝে মাঝে বোমা ফেলার মতো কাজ করে। কিন্তু এই কাজটি বোমা না পটকার মতো হয়ে গেছে।বলা যায় ঠোঙা ফাটানোর মতো। আর রাজনীতিবিদরা যখন পয়সা দিয়ে নেতা বা কর্মী হন তখন তো এই গবেষণাটি অপ্রয়োজনীয় এবং অর্থহীন।

২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোরআন কী পোড়ানো যায়!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেঞ্চুরী’তম

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


লাকী দার ৫০তম জন্মদিনের লাল গোপালের শুভেচ্ছা

দক্ষিণা জানালাটা খুলে গেছে আজ
৫০তম বছর উকি ঝুকি, যাকে বলে
হাফ সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি;
রোজ বট ছায়া তলে বসে থাকতাম
আর ভিন্ন বাতাসের গন্ধ
নাকের এক স্বাদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×