শত ব্যস্ততার মাঝেও একটু ছুটি বা কিছুটা সময় নিজের জন্য বের করে নেয়া খুব প্রয়োজন।
নিজের মতো করে নিজে উপভোগ করা চাই এই অমূল্য সময়টুকু। ঘরে বসে টেলিভিশনের আর সিনেমা হলে বসে বড় পর্দায় মুভি দেখার মধ্যে আনন্দ আলাদা।
বাসায় থাকে ফোনের ক্রিং ক্রিং শব্দ আর এ কাজ সে কাজের চিন্তা।
সিনেমা হলে পপকর্ন হাতে সাইলেন্ট মোডে না আছে ফোনের যন্ত্রণা না আছে কাজের ভাবনা।
মাঝে মাঝে ভিন্ন স্বাদের জন্য সিনেমা হলে গিয়ে বড় পর্দায় ছবি দেখতে ভালো লাগে।
এখানের হলগুলোতে সাধারণত বাংলা ছবি আসে না তাই সিনেমা হলে বসে ইংরেজি অথবা হিন্দি ছবি দেখতে হয়।
ভালো হিন্দি মুভি রিলিজের পরে অডিওন সহ অন্যান্য সিনেমা হলে আগে আসে।
ফিল্ম রিভিউ আর কাস্টিং দেখে কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যায় ছবিটি কেমন হতে পারে।
কেন জানি না বোম্বেকে মুম্বাই বলতে আমার ভালো লাগে না। ভারতের কিছু কিছু হিন্দি ছবিতে দেশ, সমাজ আর পরিবারসহ বিভিন্ন বিষয়ে নানা ধরণের শিক্ষণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় এমনকি নিখুঁত ভাবে মারামারির পদ্ধতিও।
কয়েকদিন আগে হিন্দি বরফি (Barfi) ছবিটি দেখে খুব ভালো লেগেছিলো।
মনকে নাড়া দিয়েছিলো চঞ্চল যুবক বরফির চরিত্র।
অভিনয় করেছেন রাজ কাপুরের নাতী রণবীর কাপুর (Ranbir Kapoor)।
প্রতিবন্ধীদের অনুভব আর জীবনবোধের আলোকপাত করা হয়েছে কাহিনীতে। ভালো লেগেছে।
জোকার ছবিতে রাজ কাপুরের অভিনয়ের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিলো।
গতকাল বোম্বের এক সময়ের প্রিয় মুখ শ্রীদেবী অভিনীত ইংরেজিতে সাব টাইটেল দেয়া হিন্দি ছবি ‘English Vinglish’ দেখতে গিয়েছিলাম।
কাহিনী আর অভিনয়ের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে নিজের গবেষণার সময় পাওয়া কিছু সত্য প্রেক্ষাপট দেখতে পেলাম।
তখন থেকেই কিছু লেখার গরজ অনুভব করছি।
প্রতিদিনের ছোট ছোট ঘটনা অথবা সাধারণ কথার প্রকাশ আমাদের মনে কতোটুকু প্রভাব ফেলতে পারে সেটাই ছবিতে সূক্ষ্ম ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
ছবিটির সম্পূর্ণ কাহিনী বর্ণনা করলে দেখার আনন্দ কমে যাবে।
মনে হচ্ছে সুযোগ থাকলে ছবিটা সবার দেখা প্রয়োজন।
সারাজীবনের আত্মত্যাগের পরেও হয়তো নিজেকে ভালোবাসতে শেখার অনুপ্রেরণা মেলে না
আবার চলার পথের অনাকাঙ্ক্ষিত একটা হোঁচট খাওয়া দিতে পারে ক্লান্তিহীন চলার শক্তি।
স্বার্থের টানে ভারী হতে পারে জীবনের ঘানি আর নিঃস্বার্থে হালকা হতে পারে জীবনের বোঝা। ...French actor Mehdi Nebbou: fabulously acted with Sridevi...
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৪:০৯