somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যদি দেখা হয়ে যায়! (অত্যাধিক ভাবে +১৮)

১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গতকাল রাতটা বেশ উদ্দাম ই ছিলো বলা চলে। ইম্পেরিয়াল হোটেলের বল রুমের ড্যান্স মদ মেয়ে মানুষ কি ছিলো না। তাঁর পরেও আমি যেন কেমন দূরে দুরেই ছিলাম। রাতে যখন ম্যানিলা আমার ঘরে এলো, আমি চেষ্টা করেছিলাম উদ্দাম ভাবে তাঁর থেকে মধু আহরণ করতে। তাঁর স্বন যুগল, নিতম্ব, অন্য যেকোন সাধারণ পতিতার চেয়ে কোমল ই ছিলো। অন্তত যারা আমার রুমে রাতের পর রাত কাটিয়েছিলো তাদের সাথে তুলনা করলে। তাঁর উর্বর্ষী নভী, আর মেদহীন তল পেটের সুক্ষ কেশ রাজি ইঙ্গিত করে পতনের। অন্যান্য রাতের মতোই আমার পতন ঘটেছিলো। ম্যানিলা চেষ্টা করেছিলো তাঁর সর্বস্ব ঢেলে দিয়ে তার মহামান্য অতিথি আর হোটেলের মালিকদের খুশি করতে যারা তাকে পাঠিয়েছিলো আমার কাছে।

ম্যানিলা হিস্পানিক। আর আমি ঢাকার খাশ বাঙ্গাল। ইংরেজী টাই ভরসা। এ ছাড়া কাজের সুবাদে সামান্য জার্মান ও শিখেছিলাম এক সময়। আর ম্যানিলা জানে শুধুই স্প্যানিশ। পেশার খাতিরে সামান্য ইংরেজী শব্দ শিখেছে। কিন্তু ও দিয়ে কমিউনিকেট করা যায় না। মাংসাশী পুরুষের জন্য ম্যানিলা আদর্শ। সুন্দরী ,সুশ্রী, আবেদনময়ী। রুমে এশে যখন আধো আলোয় তাঁর অন্তর্বাস ছুড়ে দিয়ে। আমার উপর ঝাপিয়ে পড়লো অন্য কেউ হলে সেখানেই মরে যেতো, উত্তেজনায়। কিন্তু আমি স্থির ছিলাম। কেন জানি না। সারা রাত তাকে দুমড়ে মুচড়ে গেছি যন্ত্রের মতো। হয়তো বরাবরের মতোই শুধুই নিয়ম রক্ষার খাতিরে। ভোর হয়ে এসেছে। মাঝ রাতে ম্যানিলা কখন চলে গেছে জানি না। জানার প্রয়োজন ও বোধ করি না। এখন আমায় যেতে হবে বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচার দিতে।

আমি সে রাতের পর থেকে আর নারী দেহে শান্তি খুজে পাই নি। সে অনেক দিন আগে। যে রাতে আদ্রিতা আমায় প্রত্যাক্ষান করেছিলো। সে আমায় প্রশ্ন করেছিলো আমার যে কোন একটিকে বেছে নিতে হবে। হয় ওকে নয়তো আমার পি এইচ ডি। আমি সে দিন দোটানায় ভুগি নি। সরাসরি বলেছিলাম পি এইচ ডি করাটাই এখন আমার জীবনের প্রধান লক্ষ্য। সে ঝড় জলের রাতে আদ্রিতা আমায় ছেড়ে চলে যায়। আমি জানতাম যখন আমি বড় হবো তখন মেয়ে মানুষ হবে আমার হাতের ময়লা। হাতে টাকা থাকলে কত মেয়েই তো আমার মোটা কানা খোরা বন্ধুদের সাথে ফ্ল্যাড করে বেড়ায়। একবার কে এফ সি এর চিকেন একটা মেয়ের স্বতীত্ত্বকে এনে দেয় প্রেমিক নামের খদ্দেরের বিছানায়। আমিও তেমন ই হতে চেয়েছিলাম। ১.৫ বছর পর যখন মাস্টার্স করার জন্য ফিনল্যান্ড এলাম। তখন যেন একটু কেমন কেমন লাগতো। পড়াশোনার চাপ আর রক মিউজিকের ভিড়ে আমি আদ্রিতাকে ভুলে যেতে চাইলেও আমি অনেকের মাঝে ওকেই খুজে ফিরতাম। এর পর যখন পি এইচ ডি করতে মার্কিন দেশে এলাম। আদ্রিতা অনেকটা নীরবেই সরে গিয়েছিলো আমার কাছ থেকে। আমার মন থেকে।

সে দিন রাতে যখন আমার থিসিস মেট ক্রিস্টিনা আমার ঘরে এলো। আমি ওকে চটকে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বার বার ওর দেহে আমি আদ্রিতার গন্ধ খুজে ফিরেছি। আমি কখনো আদ্রিতার সাথে শুই নি। তাই জানিনা কেমন কোমল ওর স্তন অথবা সে। বুকের মাঝখানের উষ্ণ উপত্যকায় কোন তিল আছে কি না। তার ভগ্নাঙ্কুরের উষ্ণতায় আমি কখনো সাঁতার কাটি নি। সে দিন রাত শেষ আমার বার বার মনে হচ্ছিল আমি কি সত্যিই আদ্রিতাকে ভালবাসতাম না তার শরীরটুকুই সব ছিলো। ওর গায়ের গন্ধ, ওর স্তন, ওর চুম্বন, ওর নগ্ন নিতম্ব, দীর্ঘাকার গীব্রা আর মেদহীন কটিদেশের কথা আমি বার বার ই ভেবে গিয়েছি। যার দেখা আমি কোনদিনও পাই নি। আমি ছবি আঁকতে পারি না। তাই মকবুলের ছবিতে অথবা নেরুদার কবিতায় বার বার খুজে ফিরেছি আদ্রিতাকে অথবা তার নগ্ন শরীর কে হিংস্র শৃগালের মতো করে খুবলে খাবার তাড়নায়।

আমি কোনদিন কনডম ব্যবহার করি নি। কেন যেন একটা বাজে অনুভুতি হবার ভয় থাকে।আমার এইডস নেই। যারা আসে তারাও এইডস মুক্ত। আমি অসংখ্য নারীর সাথে রাত কাটিয়েছি। পতিত হয়েছি তাদের মাঝে। তাদের কেউ পেশাদার কেউ অপেশাদার। কিন্তু আমার তৃষ্ণা মেটে নি।

মাঝে একবার দেশে ফিরে এসেছিলাম আদ্রিতার খোজে ১২ বছরের পুরোনো সম্পর্ক আবার জোড়া লাগাতে নয়। হয়তো শরীরের লোভে। একবার ওর কোমলতা পরখ করে দেখবো বলে। ওদের ফ্যামিলি আগের বাসায় থাকে না। কোথায় আছে তা ও কেউ জানাতে পারে নি। শুনেছিলাম কোন এক এলাকার ওয়ার্ড কমিশনারের সাথে ওর বিয়ে হয়েছিলো। ৪ স্বন্তানের মা এখন ও। ওদের এক ফ্যামেলি ফ্রেন্ডের বিয়ের ভিডিওতে দেখেছিলাম আদ্রিতাকে। মোটা ড্রাম হয়ে গেছে। কিন্তু মুখের হাসি বলে দেয় ও সুখে আছে। এ আদ্রিতা সে আদ্রিতা নয় যাকে পাবার লোভে অথবা খাবার লোভে যাই বলুন না কেন। হাজার মাইল পারি দিয়েছিলাম। এই জান্নাতুল মাওয়া আদ্রিতার বেগমের সাথে আমার কখনো দেখা হয়ে উঠে নি। কথাও না। আ আদ্রিতা আমার আদ্রিতা নয়। আমার আদ্রিতা আমার সুখ আমার আনন্দ নিয়ে হারিয়ে গেছে মহাকালের মাঝে, আমার ই ভুলে।

আজও আমি অকৃতদার। নামের আগে একটা ‘ডক্টর’ লেজ লেগেছে এর বাইরে কিছুই আমার বাড়ে নি। হয়তো আরো অনেক নারী আমার বুকে তার নিশ্বাস ফেলবে। কিন্তু আদ্রিতা হারিয়ে গেছে আমায় এক অতৃপ্ত আত্মা করে দিয়ে। তাই আজ ও আমি ঘুরে বেড়াই পৃথিবীর পথে পথে আদ্রিতার খোজে। যদি একদিন দেখা হয়ে যায় এই পথে...।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৬
২৮টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×