somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনে আধুনিকতা যেন এক জটিলতায় ভরা যুদ্ধ : যে যুদ্ধ আপনার আমার জন্য অভিশাপ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ কত দিন হল সমুসা খাই না , না না টাকার অভাবে নয় বরং ইচ্ছার অভাবে । অথচ একটা সময় ছিল অনেক ছোট বেলায় তখন শপিং মলে গেলেই খেতাম, না শপিং মলতো নয় বরং মার্কেট বলা উচিৎ কেননা ওই সময়টা তে বর্তমানের নিউ মার্কেট আর উচ্চবিত্তের ইস্টার্ন প্লাজা, এলিফেনট রোড ও বেইলি রোড ছাড়া আসলে কোন বড় কোনও জায়গাও ছিল না শপিং এর । কথাগুলি ভাবছিলাম একটি মাল্টিন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট এ বসে ।

তো বলছিলাম জীবনের আয়তনের কথা , আয়তনের বিস্তৃতি ঘটেছে তাতে আসলে কোন সন্দেহ নেই এবং যদি মৃত্যু না হয়,এটা ঘটেই চলবে । প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন জিনিসের আগমনে পুরনো জিনিসগুলী একসময় হারিয়ে যায় ।

আজ আমরা অনেক কিছুই করি যা আসলে প্রয়োজন নেই হয়ত না করলেও হয় । তাও করি হয়ত ইচ্ছে করে নয় বরং কিছুটা চাপে পড়ে অন্যের জন্য। দেখুননা একটা সময় ছিল যখন গোছল করার জন্য মার খেতাম প্রতি দিনই বলা চলে রুটিন ছিল তবে আরও মজাদার গল্প ছিল জামা নিয়ে । সহজে এক জামা খুলে আরেক জামা পড়তে চাইতাম না । আসলে রাস্তা আর মাঠ এ দুইয়ের মিলনে গড়া আমাকে নিয়ে বেশ লজ্জায় থাকতো আমার মা ।

যাই হোক যা বলছিলাম সময়ের পরিবর্তনে এখন আর সেই আমি আর এখনের আমি এক নেই । শুকনার ধুলা আর বর্ষার কাদা মিশানো আমার এখন দারুন সমস্যায় পড়তে হয় ধুলা বালিতে । আর গোছল কিন্তু এখন দারুন পরিমানে বেশী করা হয় এক দিনেই । জামাকাপড়ের বিষয়ে কিন্তু মারাত্মক সচেতনতা লক্ষ্য করা যায় বলা চলে এই বিষয়ে এক প্রকার দারুন সৌখিন আমি।

আসলে বুঝাতে চাচ্ছিলাম যে অনেক পরিবর্তন , বিবর্তন এবং পরিবর্ধনের মাঝে এই আমি কিন্তু আনন্দে নেই বরং বলা চলে খুজে ফিরি সেই আমাকে,অনেক আনন্দে থাকা আমাকে । আসলে এটি শুধু যে আমার কাহিনী সেটা না, এরুপ অভিজ্ঞতা সবার মাঝেই বিদ্যমান ।

ছোট্ট এই জীবনের যেই বিশাল অভিজ্ঞতা অরজিত হয়েছে সেটা হল নিজের জন্য আমরা আসলে কিছুই করি না কোথাও না কোথাও “আমিহীন” একটা কারন আছে ।

আমাদের চারিপাশের যেই দারুন পরিবর্তন বিজ্ঞানের ফলে সেটা অবশ্যই আমাদের জীবন পালটে দিয়েছে । আমরা আজ অনেক বেশী নির্ভর এগুলির উপরে । তবে কথা হল জীবনের সহজ সরল দিকগুলি কিন্তু আজ হারিয়ে যেতে বসেছে এই জন্য । আজ চারিদিকের এত সমস্যা এত কষ্ট এত কান্না এর পিছনে কিন্তু তাকালে ওই প্রজুক্তির দানবও দায়ী ।

আজ মিথ্যা দারুনভাবে ব্যাপ্তি পেয়েছে । না আমি বলছি না যে প্রযুক্তিই দায়ী মিথ্যার জন্য কিংবা এর আগে কেও মিথ্যা বলত না , কিন্তু দিনকে দিন এই মিথ্যা যেই ভাবে বেড়ে চলেছে এর জন্য কি আমরা প্রযুক্তির অবদান অস্বীকার করতে পারি ? আপনি একটু চিন্তা করুন ।

আজ মানুষ তার সৃষ্টিকর্তার বিষয়ে প্রশ্ন তুলছে । না আমার আপত্তি নেই ততোক্ষণ যতক্ষণ এটা হবে কৌতুহল বা জানার জন্য কিন্তু যদি এটা হয় নাস্তিকতার পথের শুরু তাহলে তো প্রযুক্তিকে এই ক্ষেত্রে দূরে রাখাই শ্রেয় । এখন আমাকে গোড়া মুসলমান ভাবাটা ঠিক হবে না কেননা আমি যুক্তি তর্কে বিশ্বাসী আবার আমার এলারজি আছে ধর্মীয় গোঁড়ামিতেও ।

যেটা বলছিলাম নাস্তিকতা আমার লিখার কোন অংশ নয় কিংবা এজন্য আলোচনা করতেও লিখিনি বরং লিখার যেই প্রধান উদ্দেশ্য সেটি হল জীবনটা যেন ক্রমশ সরল থেকে জটিল হচ্ছে । দেখুন কেমন জতিলতায় আছি যে আমরা এখন আর কোন বিষয় বিশ্বাস করতে পারছি না এমন কি আল্লাহ, গড, ভগবান এদের নিয়েও প্রশ্ন করছি। জি বিজ্ঞানের এই অভূতপূর্ব উন্নতির যুগে যেখানে এই লিখা আমি লিখছি আমার মোবাইলে সেখানে এটা ঘটতেই পারে ।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কি লাভ ?

এই যে এত সাজগোজ আজ করছি বয়স বাড়ার সাথে সাথে কেন করছি ? আজ তো সমুসার স্বাদ ভুলেই গেছি , শেষ কোন দিন আম্মুর সাথে বাহিরে গেলাম সেটা তো মনেই নাই , আমার মতন করে আমি থাকব কাউরে গুনার টাইম নাই এমন চিন্তা করার বয়স্তা দারুন মিস করি । এখন কাজ করার আগেই চিন্তা এই যে এইখানে কাশি দিব মানুষ কি ভাববে ?

তো এই যে জীবন হয়ে উঠেছে জটিল এটা তো সুন্দর না, এ তো সুন্দর হতে পারে না । আমরা তো আধুনিক হতে গিয়ে জীবনকে আরও কষ্টে ফেলে দিচ্ছি ।

আজ বোধয় আনেক ভালর ভিতরেও আমরা ভাল নেই , অনেক আশার ভিতরেও আমরা আশাহীন । যদি একবার চিন্তা করে তাকাই ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয় , অর্থনৈতিক , সামাজিক দিক গুলিরদিকে দেখব আমাদের এই ব্যাক্তিগত জটিলতার কারনেই আমরা ভাল নেই । ছোট একটি উদাহরন দিব বাবার ছাত্র জীবন থেকে সেই সময় নাকি বলাকা আর ছয় নম্বর বাস ছিল ঢাকায় তখনও মানুষ কিন্তু চলাচল করত একটু দেরি হত মাঝে মাঝে তবে এখনকার চেয়ে কম সময়ে যেতে পারত গন্তব্বে কারন এত বেশী সংখ্যক ছোট গাড়ি ছিল না তখন, তাহলে দেখুন কেমন জতিলতা সৃষ্টি করেছি আমরা ।

শেষ করতে হবে শুধু এতোটুকুই বলবো যে জীবনের কোন নির্দিষ্ট গন্তব্য নেই , জীবনের নেই কোন শেষ । আমাদের জীবনে আমরা শুধু এগিয়েই চলি কোন উদ্দেশ্য ছাড়া । আসলে যা কিছুই আমরা চাই সেগুলু ক্ষনিক এবং সময়ের সাথে সাথে তার প্রয়োজনও ফুরিয়ে যায় । “সো বি সিম্পল,স্টে হেপি”।







সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:২০
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×