কী হলো! আজি এ প্রকৃতিতে
আকাশ-বাতাস,নদী-নালা,
ঝরণা-বারি আছে যত বৃক্ষরাজি
বিবর্ন, জল শূণ্য, শুষ্ক এ ঋতুতে!
বাকি যত জল অঝরে ঝরে
বারি হয়ে পশুগুলোর অশ্রুতে!
মহান প্রভুর নামে
বিশ্ব ব্যাপী পশুর রক্তে
বিভৎস হোলি খেলার
মনুষ্য পাশবিকতার ভয়ে!
বোবা তাই সিক্ত অশ্রুতে
কেঁদে কেঁদে ডাকে,
হাঁকে মহান প্রভুকে
শক্তি দাও প্রভু
কথা বলিতে-
ত্যাগের মহিমা বুঝাতে
আরবীতে কোরবানী বলে।
কোরবানী হয় না কোন মতে
খোদার নামে অসহায় অবলা
পশু নিধন করাতে।
শপথ সম্মেলনের সফলতার তরে
মাত্র শপথকারীর তথা স্থলে
ধান-চাল, চিড়া-মুড়ি আর
যত আনআম কড়ি,
সহজলভ্য হাদিয়ায় বিশুদ্ধ হয়ে,
রব্বানী হওয়ার নিমিত্তে
মনের পশুত্ব বলি-তে
হতে পারে কোরবানী যথার্থ মতে।
নিজ হাতে পশু সৃজিলেন যিনি
তব রক্ত-মাংস চান কী তিনি
কোন দিনই?
উত্তর কী রয়!
দেখছ না কেন কোরান খুলি?
না, এ হবার নয়।
থাকবে যত ভীতি
শুধুমাত্র খোদার প্রতি
শপথ রক্ষায় থাকবে হাজী
অটুট নির্ভয় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সর্বদা
লক্ষ্যটি হবে মুত্তাকী হওয়া
কর্মটি কেবলই মাত্র তাকওয়া।