সকাল ১০ টায় বাস। বাস স্ট্যান্ড এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।এমনিতেই দেরী হয়ে গেছে! এর মাঝেই আম্মা বললেন বাঁধানো দাঁত ফেলে এসেছি।আবার বাসায় এসে দাঁত নেয়া হল। বাস মিস করার সমূহ সম্ভাবনা।আম্মার কাছে টাকা রাখা ছিল। রিক্সা ছেড়ে সি,এন,জি নিয়ছি। মাঝ পথে আম্মা জিজ্ঞেস করলেন টাকা নিয়েছি কিনা। আমি অবাক হয়ে বললাম টাকা তো তোমার কাছে ছিল!! সিদ্ধান্ত নিলাম ১৯শ টাকার দুটো টিকিট আল্লার ওয়াস্তে কুরবান করে দিয়ে পরবর্তী বাসের টিকেট কেটে বাসায় ফিরে টাকা নিয়ে আসব। কিছদূর যেতেই ফোন এল “স্যার বাস নষ্ট, আপনারা ১২ টার গাড়ীতে যাবেন।যাক বাঁচা গেল টিকেট রক্ষা পেল এবং বাসা থেকে টাকা আনার সুযোগও পাওয়া গেল। ১২ টার বাস পৌনে একটায় ছাড়ল। অনুমান করলাম সাতটা-সাড়ে সাতটা নাগাদ চিটাগাং পৌঁছাব।কুমিল্লার কাছাকাছি এসেছি এমন সময় বড় আপার ফোন এল, “ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলের বেশ কিছু বাড়িঘর বিদ্ধস্ত, ফেনিতে সড়ক যোগাযোগ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ”! ফেনি এসে গাড়ির বিশাল জ্যাম দেখে ড্রাইভার বাইপাস রোডে নেমে ছাগল নাইয়ায় ঢুকে গেল। কিন্তু হায় ‘অভাগা যেদিকে যায় সাগর শুকাইয়া যায়’ রাস্তার উপর গাছ ভেঙে পড়ে আছে! তিন ঘন্টা চেষ্টার পর লোকজন গাছ কেটে টুকরা করে রাস্তা পরিষ্কার করল। বাই পাসেও এর মধ্যে জ্যাম লেগে গেছে। ধীরগতির কষ্টের কথা আর নাই তুললাম! রাত দুটো নাগাদ চিটাগাং নামলাম। আমাদের কাউন্টারে বসে থেকে সকালে কোথাও ওঠার পরামর্শ দিল বাসের ড্রাইভার। আমি মরিয়া হয়ে বললাম ‘আম্মা হোটেলে ওঠার চেষ্টা করে দেখি, না পারলে কাউন্টারে ফিরে আসব।‘ হোটেলের গেট বন্ধ। কিছুক্ষণ ধাক্কাধাক্কির পর নাইট গার্ড বলল স্যার এখন রুম ভাড়া দূরে থাক, গেট খোলারও পারমিশন নাই। নাইট গার্ডকে বললাম আম্মা অসুস্থ যদি একটা ব্যবস্থা করে দেন আপনাকে চা পানি খাওয়াবো। নাইট গার্ডকে ১৫০/-টাকা বখশিস দিয়ে [অবশ্য তখন ১৫০০/-টাকা চাইলেও রাজি হয়ে যেতাম] রুম পাওয়া গেল। রুমে উঠে আম্মা আবিষ্কার করলেন আমাদের ব্যাগ রেখে আমরা অন্য কারো ব্যাগ নিয়ে চলে এসছি।যাই হোক, পরে কাউন্টারে যোগাযোগ করে সকাল ১০ টার দিকে ব্যাগ উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
কুফা !!!
কুরসি নাশিন
সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে
তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ
১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা
গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন
সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে
সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।
কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।
যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন
বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!
যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।
কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!
ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন