somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটানে কলেজ ছাত্রীর ওড়না খুলল পুলিশ- এক বীভৎস ঘটনা জানতে দয়া করে পড়ুন

১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মালালা নিয়ে মজে আছে বিশ্ব নারীবাদীরা এবং আমাদের দেশের যত সুশীল লেখকসমাজ। কেন? মালালা এখন আলোচিত বস্তু এবং এটা নিয়ে কথা বললে বৈশ্বিক জ্ঞান জাহির করা হবে। বিশ্ব নারীবাদ নিয়ে যে উৎকণ্ঠা কাজ করে তা প্রকাশ করা যাবে। অথচ আমার দেশেই চোখের সামনে কত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, তা নিয়ে কারো মাথাব্যাথা নেই। কেন? কারন এই গরীব দেশের মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলতে গেলে নিজেকে জ্ঞানী হিসেবে জাহির করা যাবেনা। হৃদয়ে যাদের পাকিপ্রেম তারা পাকি এক নারীর ব্যাপারে কেঁদে তাদের কাঁদার জন্য পাওয়া সুযোগটা যতই কাজে লাগান, নিজের দেশের প্রতি না তাকালে আমার মত মানুষদের কাছ থেকে কোন সহানুভূতি নয় বরং একদলা থুথু আশা করতে পারেন।

গত ৯ই সেপ্টেম্বর শরীরে পুলিশের পোশাক চাপানো একদল কাপুরুষ মধ্যরাতে রাজবাড়ীর একটি বাসায় হানা দিয়ে বিধবার কলেজপড়ুয়া মেয়ের দিকে হাত বাড়ায়। একটানে মেয়েটির বোরকা খুলে ফেলে পুলিশের এক সদস্য। খুলে ফেলে ওড়নাও। চরমপন্থি কানেকশনের অভিযোগে মা-মেয়েকে টেনে-হিঁচড়ে থানায় নিয়ে চালায় আরও নির্যাতন। সেখানে পরনের কাপড়ও ছিঁড়ে ফেলা হয় মেয়েটির। ৯ সেপ্টেম্বরের এ ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে হাইকোর্ট ইতিমধ্যে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তলব করেছেন। ঘটনাটি নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি একটি সত্যানুসন্ধানী প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, থানায় নিয়ে মেয়েটির শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে কাঁচামরিচ দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। ৯ দিনের নির্যাতনে মেয়েটি সংজ্ঞা হারায় বারবার। একাধিকবার আত্মহত্যা করতে চায়। নির্যাতনের শিকার অষ্টাদশী মেয়েটি বলেন, গায়ের কাপড় খুলে পুলিশের নির্যাতন দেখানো সম্ভব নয়। মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রতিবেদন বলছে, ৯ সেপ্টেম্বর রাত ৩টার দিকে রাজবাড়ীর বিধবা আলেয়া আক্তারের বাড়িতে খোকসা থানার ১০-১২ জনের একদল পুলিশ যায়। পুলিশের ডাকে ঘরের দরজা খুলে আলেয়া দেখেন, একটি মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে আছে। পুলিশ এ সময় আলেয়ার ১৪ বছরের ছেলে আরিফের অবস্থান জানতে চায়। আরিফের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার আমবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলামকে হত্যার অভিযোগ আছে বলে জানায় পুলিশ। 'আরিফ বাসায় নেই' জানালে পুলিশ আলেয়ার বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। তার কলেজপড়ুয়া মেয়েসহ তাকে টেনে-হিঁচড়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পুলিশের এক সদস্য টান দিয়ে মেয়েটির বোরকা ও ওড়না খুলে ফেলে। খোকসা থানায় নিয়ে আলেয়া ও তার মেয়েকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়। পুলিশ তাদের লাঠি দিয়ে পেটায়। জিজ্ঞাসাবাদের নামে চড়-থাপ্পড় দেয়। থানায় কাপড় পরিবর্তন ও গোসলের ব্যবস্থা ছিল না। খেতে দেওয়া হয় টয়লেটের পানি। সেখানে নারীপুলিশ সদস্য না থাকায় একজন নারী হিসেবে নিজেদের একান্ত প্রয়োজনগুলো মা-মেয়ে কারও কাছে শেয়ার করতে পারেননি। নির্যাতনের সময় চিৎকার করত মেয়েটি। হাতের আঙুলে সুঁচ ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। চার দিন পর ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয় মা-মেয়েকে। সেখানে পুলিশ সদস্যরা ঘর মোছা, ঝাড়ু দেওয়াসহ তাদের পোশাক ধোয়ানোর কাজও করাত। সেখানে কখনো একেকজন পুলিশ সদস্য মেয়েটিকে নিয়ে যেত। কয়েক ঘণ্টা পর নিয়ে ফিরে আসত। তখন মেয়েটির চুল থাকত এলোমেলো। চেহারা থাকত বিধ্বস্ত। ডিবির মাসুদ ছিলেন এদের মধ্যে অন্যতম। পরনের জামা-কাপড় ছেঁড়া। চিৎকার করে মেয়েটি বলত, 'মা, আমাকে উঁচু করে ধরো। ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আমি আত্দহত্যা করি।' ১৪ সেপ্টেম্বর কুমারখালী থানায় নিয়েও চলে নির্যাতন। সেখানে মা-মেয়ের স্পর্শকাতর স্থানে কাঁচামরিচ দেওয়ার চেষ্টা চালায় পুলিশ।

এর পরের ঘটনা বর্ণনা করেন মহিলা আইনজীবী সমিতির কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্য অ্যাডভোকেট সামস্ তানিম মুক্তি। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, 'পর দিন কুমারখালী থানার পুলিশ ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে মা-মেয়েকে আদালতে পাঠায়। জামিনে ছাড়া পেয়ে ২৫ অক্টোবর তারা হাজিরা দিতে যান। তাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাটি ওই দিন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরই পুলিশ আবার তাদের একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে। এখন তারা আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে রয়েছেন।' তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে মহিলা আইনজীবী সমিতি লড়ছে। সমিতি তাদের জামিনের জন্য কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেছে। ওই মেয়ের মা বলেন, 'পুলিশের এই নির্যাতন একাত্তরে এ দেশের নারীদের ওপর পাকিস্তানি সেনাদের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। নির্যাতনের কারণে মেয়ে আমার কয়েকবার আত্দহত্যা করতে চেয়েছে। মেয়ের ওপর ওই নির্যাতন কোনো মা সহ্য করতে পারে না। সব শেষ হয়ে গেছে ওর। সে এখন মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ও হতাশ। পুলিশ আমাদের হুমকি দিয়েছে, ঘটনা কাউকে বললে ক্রসফায়ারে দেবে।' ১ অক্টোবর বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নী। তিনি বলেন, 'সত্যানুসন্ধান টিম ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। মা-মেয়ে কোনো অন্যায় করলে তাদের বিচার হবে। কিন্তু তাদের ওপর অন্যায় নির্যাতন কেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এমন আচরণ করলে মানুষ যাবে কোথায়? আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।'

হাহ! মালালা নিয়ে মেতে থাকুন নারীবাদীরা। সুশীলতার মুখোশে ঢেকে রাখুন নিজের নোংরা মুখ।

(পোষ্টের মাঝখানের অংশটা পুরো কপি করে নেওয়া এই লিঙ্ক থেকে )
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৫৭
২৫টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×