আমাদের সাধারন মানুষের জীবন যে মূল্যহীন হয়ে যাচ্ছে, তা আবার প্রমান হয়ে গেল. গতকালের নামহীন ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া হাতিয়া ও ভোলা অঞ্চল । আমাদের আবহাওয়াবিদদের নাকে তেল দিয়ে নিদ্রাযাপনের জন্যে নিমেষে হারিয়ে গেল ২৩টা মানুষের জীবন। আরো হাজার খানেক মানুষ নিখোঁজ। যারা নিহত, আহত, হারিয়ে যাওয়া মানুষ এরা তেমন কোটিপটি নন, তারা সবাই নিরীহ কর্মঠ জেলে তাই তাদের কোন খবর কোন কাগজের শিরোনাম হয় নি। চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে এই প্রবাদ বাক্যকে মাথায় রেখে অপেক্ষা করছেন, প্রধান মন্ত্রী, ত্রাণ মন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী আরো অনেকেই। তারা এখন ত্রাণ দশ টাকার মুড়ি বিলানোর হিসাব কষছেন। অথচ ক্ষয়ক্ষতির পরিমান যে কত ভয়াবহ ! তা ইচ্ছা করেই সরকারের কথা মতন চলা শাক দিয়ে মাছ ঢেকে রাখার মতন করে মিডিয়া সুন্দর মতন নাটক রচনায় ব্যস্ত। তারা আছে সাগর রুনির বিচার নিয়ে সোরগোলে ব্যস্ত। আরো কত এরকম নাম না জানা সাগর-রুনি আছে সে খবর কি তাদের কান অব্দি পৌঁছায় ? এখনও পর্যন্ত নামহীন ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা নিরূপন করা যায় নি সরকারের নিরবুদ্ধিতার সরকারের ভাবখানা গা ছাড়া জন্যে অথচ চারদিক থেকে মানুষ মরে যাওয়া খবর পাওয়া যাচ্ছে, ভেসে আসছে মানুষের লাশ, অনেকে চরে বসে আছে হারিয়ে যাওয়া মানুষটা যদি জীবিত কিংবা লাশ হয়ে ফিরে আসে। এমন ভয়াবহ ঘূণিঝড়েরর বিপরীতে তিন নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছিল অথচ ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা ছিল আট মহাবিপদ সংকেতের কাছাকাছি। যা সত্যি দুঃখজনক। এত কম বিপদ সংকেতের কারনে অনেক জেলে উপকূল কাছাকাছি থাকে নি। যার জন্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আর ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে গেছে কে যে কোথায় কেউ জানে না। এরজন্যে দায় স্বীকার সরকার কোনদিন করবে না। কেননা আমাদের মত ছাপোষা মানুষগুলোর জীবনের মূল্য আজ অতি তুচ্ছ।
Click This Link
১২ ই অক্টোবর,২০১২
------------------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ১২১/৩৬৫
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:১১