somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রোহিঙ্গা সমস্যা এবং রামু সহিংসতা..../কেন ঘটল রামুর ঘটনা...?

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কক্সবাজারের রামু, উখিয়া, টেকনাফ চট্রগ্রামের পটিয়া ও পাশ্ববর্তী অন্যান্য এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর সংঘটিত নাশকতা বিষয়ে কিছু বলবার আগে বার্মা, আরকানের ইতিহাস থেকে সামান্য আলোকপাত করতে চাই।

সভ্যতার শুরু থেকে এ পৃথিবীতে যত যুদ্ধ-বিগ্রহ ঘটেছে, তার অধিকাংশই ছিল ধর্ম যুদ্ধ (অথবা অন্য কোন বিষয় নিয়ে দ্বন্ধ শুরু হলেও, শেষ পর্যন্ত তা ধর্ম যুদ্ধের রূপ নিত)। আদিতে ধর্মীয় যুদ্ধ এমনি নৃসংশ রূপ নিত যা বাঘ-হায়েনা-শকুন এর শিকারকালীন সময়ে কিছুটা বুঝা যায়। সভ্যতার উন্নতির কারণে বর্তমান আগ্রাসনের যুদ্ধ, দেশ দখলের যুদ্ধ ধর্ম যুদ্ধের মত এতটা নৃসংশ হয়তো হয় না, এত মানুষও মারা যায় না, তবে যুদ্ধের উপকরণ (বিশেষ করে গোলাবারুদ) বেড়ে যাওয়ায় সম্পদের ক্ষতি, আহতের সংখ্যা পূর্বতন ধর্মীয় যুদ্ধের চেয়ে বেশী হয়। ধর্ম যুদ্ধ হোক, আগ্রাসনের যুদ্ধ হোক অথবা অন্য কোন যুদ্ধ হোক--কোন যুদ্ধই মানুষ চায় না। তবে হিসাব করে দেখা গেছে, সব ধর্মীয় যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা অন্য সব যুদ্ধে নিহতের সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশী এবং প্রায় সব যুদ্ধের সুত্রপাত তুচ্ছ বিষয় নিয়ে।

বৌদ্ব ধর্মের পৃষ্ঠপোষক, বাংগালী ও বাংলাদেশের গোড়া পত্তনকারী পাল রাজাগণ সুদীর্ঘ ৪০০ বছর বাংলাদেশ শাসন করেন। তারপর হিন্দু ধর্মের পৃষ্ঠপোষক সেন রাজাদের এবং মুসলিম তুর্কী, পাঠান, মোগল রাজা-নবাবদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অত্যাচার বা নিগৃহের কারণে বৌদ্ধরা মাইগ্রেশন করে বা পালাতে থাকে। কিছু নেপালে (সূত্র: চর্যাপদ), কিছু তিব্বতে, অধিকাংশ পূর্বদিকে চলে আসে । মুসলমান আমলেও বহু বছর চট্রগ্রাম, পার্বত্য চট্রগ্রাম আরাকানের অধীনে ছিল।


১৪০৪ সালে নরমিখলা নামে এক যুবরাজ আরাকার শাসন করতেন। তিনি দেশীয় এক সামন্তরাজার বোনকে অপহরণ করে রাজধানী রংগেতে নিয়ে আসেন। ১৪০৬ সালে বার্মার রাজা মেংশো আই আরাকান দখল করলে নরমিখলা তৎকালীন বাংলার রাজধানী গৌড়ে এসে আশ্রয় নেন। তখন ইলিয়াস শাহীর রাজবংশ গৌর থেকে বাংলা শাসন করতেন। গৌরের সুলতান জালালুদ্দীন শাহের সাহায্যে নরমিখলা ১৪৩০ সালে স্বীয় রাজ্য ফিরে পান। নরমিখলা ধর্মান্তরিত হয়ে মুহাম্মদ সোলায়মান শাহ নাম ধারণ করেছিলেন এবং তার রাজ্যে মুসলিম সভাসদ, সৈন্যতে ভরপুর ছিল্। রাজারা বৌদ্ধ নামের সাথে একটি মুসলিম নামও ধারন করতেন। রাজ্য দখলে রাখা এবং গৌরের সুলতানদের অনুগ্রহ পাবার জন্য তারা মুসলিম নাম ধারণ করেছিলেন, মনে প্রাণে তারা মুসলমান ছিলেন না, তার বংশধররা সে ধারা বজায়ও রাখেনি। ধারণা করা হয়, আরাকান (চট্রগ্রাম, পার্বত্য চট্রগ্রাম সহ) তথা বার্মাতে এখান থেকেই মুসলমান জাতির সূত্রপাত।

৭ম-৮ম শতাব্দীতে চন্দ্রবংশের রাজত্বকালে বঙ্গোপসাগরে কয়েকটি আরবীয় জাহাজ সংঘর্ষে ভেঙ্গে পড়লে নাবিকরা তীরে এসে ভীড়লে রাজা তাদের ব্যবহারে সন্তুষ্ট হয়ে এখানে তাদের বসবাসের অনুমতি দেন। তারা স্থানীয় রমনীদের বিয়ে করে সংসার করতে থাকেন। বঙ্গোপসাগরীয় উপকূল থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পর্যন্ত আরো পূর্ব হতেই আরব বণিকদের সাথে বার্মার জনগণের যোগাযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমান ও স্থানীয় আরাকানীদের সংমিশ্রণে রোহিঙ্গা জাতির উদ্ভব। পরবর্তীতে চাঁটগাইয়া, রাখাইন, আরাকানী, বার্মিজ, বাঙালী, ভারতীয়, মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানুষদের মিশ্রণে উদ্ভুত এই সংকর জাতি এয়োদশ-চর্তুদশ শতাব্দীতে পূর্ণাঙ্গ জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। পঞ্চদশ শতাব্দী হতে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত আরাকানে রোহিঙ্গাদের নিজেদের রাজ্য ছিল। মহাকবি আলাওল তার পদ্মাবতী কাব্যে রোসাঙ্গ (রোহিংগা) জাতি সম্পর্কে বলেছেন, ‘নানা দেশী নানা লোক শুনিয়া রোসাঙ্গ ভোগ আইসন্ত নৃপ ছায়াতলে। আরবী, মিশরী, সামী, তুর্কী, হাপসী, রুমী, খোরসানী, উজবেগী সকল। লাহোরী, মুলতানী, সিন্ধি, কাশ্মীরী, দক্ষিণী, হিন্দী, কামরূপী আর বঙ্গদেশী। বহু শেখ, সৈযদজাদা, মোগল, পাঠান যুদ্ধা, রাজপুত হিন্দু নানা জাতি...।’ রোয়াং, রোঁয়াই, রোহিঙ্গা এবং রোসাঙ্গ শব্দগুলো পরিমার্জিত, পরিবর্তিত হয়ে বাঙ্গালী কবিদের কাছে রোসাঙ্গ হিসাবে, স্থানীয় জনগণের কাছে রোয়াং আর আমাদের কাছে চরম অবহেলিত নিন্দিত বস্তীবাসী এক রোহিঙ্গা জাতি হিসাবে পরিচিত। সাঙ্গু নদীর পাড়ে বাঁশখালি থানার পূর্ব দিকের পাহাড়ী এলাকায় রোহিংগারা সংখ্যাগরিষ্ঠ। এখানকার রোহিঙ্গারা প্রায় ৩০০ বছর আগে আরাকানী রিফিউজি হিসাবে বংশ পরষ্পরায় বসবাস করে আসছে।

তাহলে দেখা যাচ্ছে, রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস বেশ প্রাচীন। বহুকাল থেকেই তারা অত্যাচার সহ্য করে আসছে। বার্মা কর্তৃপক্ষের বোধ উদয় হওযা উচিত, তারা যতই অপরাধ করুক, এভাবে, দেশ ছাড়া করা উচিত নয়। মোঘল আমলে, ব্রিটিশ আমলেও যারা ওখানে কর্মসুত্রে চিরস্থায়ী বসতি গড়েছে , এমনকি নিকট অতীতে যারা বসতি গড়েছে, স্থানীয়ভাবে বিবাহ করেছে অথবা ঐ দেশে জন্মেছে--তাদের আপন করে নেওয়া উচিত।

আমরা রোহিঙ্গাদের আমাদের দেশে স্থায়ীভাবে বাস করতে দিয়ে মহৎ হতে পারতাম কিন্ত আমাদের এই ছোট্র দেশ, এমনিতেই আমাদের বিস্ফোরিত জনসংখ্যাকে, আমাদের নিজেদের উদ্বাস্তুদের সামাল দিতে পারছি না, তার উপর আরো জনসংখ্যা--মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে উঠবে। কক্যবাজার, টেকনাফ, বান্দরবানের কেউ হয়তো বলবে, আপনার নিজের জায়গায় রোহিঙ্গাদের থাকতে দিন। আমি বা আমরা হয়তো পারব না, অন্যকে মানবিক হতে উপদেশ দেওয়া সহজ, নিজে মানবিক হওয়া এত সহজ নয়। বাস্তবে, স্বার্থপরতা থেকেই রাষ্টের সৃষ্টি। আরো সহজ করে বলতে গেলে, রাষ্ট্র নিজেই স্বার্থপর, নিজের জনগণের জন্যে রাষ্ট্রকে স্বার্থপর হতেই হবে, রাজনীতি আর কূটনীতিতে মানতবতার স্থান প্রশ্নসাপেক্ষ। বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দিলে রোহিঙ্গা বন্যায় বাংলাদেশের পূর্বাংশ তথা পুরো বাংলাদেশ প্লাবিত হবে। বার্মারা জাতি হিসাবে অসামাজিক। সমুদ্র মামলায় হেরে আমাদের উপর চাপ বাড়াচ্ছে দর কষাকষির স্বার্থে। আর এনজিও, এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, জাতিসংঘের কর্তা-ব্যক্তিরা নিজেদের স্বার্থেই এই সমস্যা যুগের পর যুগ জিইয়ে রাখবে।


নিপীড়িত রোঙ্গিগারা মুসলিম জঙ্গী সংগঠনের পথে পা বাড়াতে পারে। বার্মা কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের অত্যাচার করে জঙ্গী হতে উৎসাহিত করছে। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সবচেয়ে বড় আশ্রয়দাতা। এই দুটো দেশে মুসলিম জঙ্গি কর্মীদের একটি বড় উৎস হল রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের নিপীড়ণ করে জঙ্গিদের অন্ধকার পথে ঠেলে দিয়ে মায়ানমার শুধু নিজের পায়ে কুড়োল মারছে না, বরং বাংলাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই অঞ্চলে স্থায়ী একটি সমস্যা সৃষ্টি করেছে। রোহিঙ্গারা ধনে-মানে, বিদ্যা-বুদ্ধি, চিন্তা-চেতনায় এতটায় দরিদ্র যে, ( এ যেন, বাংলাদেশে বিহারী রিফিউজি?) তারা নিজের ধর্মের মহৎ বাণী অন্য সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়াতে পারছে না। আবার বৌদ্ধরা ধনে-মানে, বিদ্যা-বুদ্ধি, চিন্তা-চেতনায় উন্নত হওয়া সত্বেও বুদ্ধের বাণী রোহিঙ্গাদের মাঝে ছড়াতে পারছে না বা ছড়াতে চাইছে না। (যদিও অতীতের মত গ্রামকে গ্রাম গণহারে ধর্মান্তরিত হওয়ার কথা আধুনিক যুগে শুনা যায় না।) বিলুপ্তির পথে উপমহাদেশের ব্রাক্ষ ধর্ম, সৃষ্টি থেকেই কোয়ানটিটি নয়, কোয়ালিটি মেনটেইন করত। বৌদ্ধরাও হয়তো ব্রাক্ষদের অনুসরণ করছে। উঁচু লেবেলের ধার্মিকদের দিয়ে ধর্মের প্রবাহ ধারার বিস্তৃতি হয় না। সাধারণ, অতি সাধারণ ধর্মভীরুদের অধিক সংখ্যায় যুক্ত করতে হয়। কারণ এরাই ধর্মকে বাঁচিয়ে রাখে শতাব্দির পর শতাব্দি।


এবার আসা যাক আসল কথায়, রামু, চটৃগ্রামের পটিয়া ও পাশ্ববর্তী অন্যান্য এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর সংঘটিত নাশকতা শুধু ফেইসবুকে আপত্তিকর ছবি আপলোডকারী ( তার ফেইজবুকে ট্যাগ করা?) উত্তম বড়ুয়ার জন্য হয়েছে বলে, আমি মনে করি না। এটা হয়তো কাটা গায়ে নুনের ছিটা দেবার মত বিষয় হয়েছে। দীর্ঘদিন, বিশেষ করে, অতি সম্প্রতি বার্মার মুসলিম রোহিঙ্গা জাতির উপর বর্বরোচিত অত্যাচার, আমেরিকাতে নবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ চলচ্চিত্র, ফ্রান্সে মহানবীর ব্যাঙ্গ কার্টুন প্রচার, বাংলাদেশে রাজাকারদের বিচার (কক্সবাজার এলাকায় ধর্ম ভিক্তিক রাজনেতিক দলের শক্ত অবস্থান), সরকারী দল কর্তৃক বিরোধী দলের কোনঠাসা অবস্থা, রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের চরম ব্যর্থতা--এই সব কারণে এলাকাটির স্বার্থান্বেসী কিছু মানুষ সাধারন ধর্মভীরু মানুষদের (সাথে রোহিঙ্গাদেরও) ভুল বুঝিয়ে তাদের পরিকল্পনা সফল করেছিল। আর গান পাউডার ব্যবহার করে এতগুলো প্রাচীন মন্দির, ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেবার পরও পুলিশ প্রশাসন ঘটনার পরদিন পর্যন্ত কেন নির্লিপ্ত ছিল, সরকারই তা বলতে পারবে। আধুনিক সভ্যতায় দেখা যায়, ধর্ম বা ধর্মীয় কোন স্পর্শ বিষয়ে কোন দাঙ্গা ফ্যাসাত হলে পুলিশ প্রশাসন প্রশ্ন বোধক আচরণ করে। ১৯৪৭ সালে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গায়, সম্প্রতি বার্মায় রোহিঙ্গাদের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেবার সময়ও পুলিশ প্রশ্ন বোধক আচরণ করেছে, করছে।

রামু বা পটিয়ার কোন বৌদ্ধ অন্যায় না করা সত্বেও শুধু ভীন দেশী ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে এই বর্বোরোচিত আচরণ কোন সভ্য দেশ, কোন সভ্য মানুষ সমর্থন করতে পারে না। লিবিয়ায় আমেরিকান এক রাষ্ট্রদুতকে হত্যা কারা হয়েছে, রামুতে বৌদ্ধ পাড়ায় আগুন দেওয়া হয়েছে, মুসলিম মানুষদের বুঝা উচিত, পৃথিবীতে খ্রীস্টান, বৌদ্ধ রাষ্টের সংখ্যা অনেক । তারাও যদি আপনাদের মত একই কাজ করে তাহলে এর শেষ কোথায়? ইসলাম এত ঠুনকো ধর্ম নয়, যে কারো অবমাননায়, কারো ব্যঙ্গ আচরণে বিলীন হযে যাবে। বরং যারা নিরপরাধ মানুষকে ধর্মীয় ইস্যুতে হত্যা করে, যারা মসজিদ-মন্দির-গীর্জা-প্যাগোডা ধ্বংশ করে, তারা নিজেরাই ধ্বংশ হয়ে যাবে।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাংলার আবহমানকালের ঐতিহ্য। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে বহু ধর্মের মানুষ এদেশে একত্রে শান্তিপূর্ণভাবে জীবন যাপন করে আসছে। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নিষিদ্ধ--এই আলোকেই মুসলিম শাসকরা রাজ্য শাসন করেছেন। বৌদ্ধ এক শান্তিপ্রিয় জাতি। অন্ততঃ বাংলাদেশে বৌদ্ধ জাতির সাথে মুসলমান জাতির কোন দ্বন্ধ কোন কালেই শুনা যায়নি। তাহলে কেন ঘটল রামুর ঘটনা...?

আমরা দুঃখিত, লজ্জিত। সবুজ সুপারিবীথিকে পেছনে রেখে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা ক্ষতবিক্ষত গৌতম বুদ্ধ আমাদের ব্যথিত করে। আমরা মরমে মরে যাই। নিজেকে অসহায় মনে করি--যখন জানতে পারি, এ ঘটনার প্রস্তুতি গোয়েন্দা সংস্থার আগে থেকেই জানা ছিল। শ্রীলংকা বা থাইল্যান্ডে যখন আমাদের দূতাবাসের সামনে ওই দেশের নাগরিকরা ঘটনার প্রতিবাদ জানায়, আমাদের বুকে তখন রক্তক্ষরণ হয়। ভাবি, 'আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম!' ২৯-৩০ সেপ্টেম্বর ঘটে যাওয়া রামু বা পটিয়ার ঘটনা কোনো সভ্য দেশের, কোনো সভ্য মানুষ সমর্থন করতে পারে না।
এই বৌদ্ধ জাতিকে বারো শত শতাব্দির পরে এই ভূখন্ড ছেড়ে পালাতে হয়েছিল চর্যাপদের মত মহামূল্যবান সম্পদ নিয়ে নেপাল, তিব্বত এবং অন্য ভূখন্ডে। আমরা কি আবার সেই সময়ে ফিরে যাচ্ছি। আসুন, মানুষকে মানুষ হিসাবে দেখি, ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে মানুষের মূল্যায়ন বন্ধ করি। ধর্মকে বাহিরে প্রকাশের চেয়ে অন্তরে বেশী ধারণ করি, ধর্ম যেন অধর্ম হয়ে না উঠে সে দিকে খেয়াল রাখি। সেই সাথে যারা কক্সবাজারের রামু, চটৃগ্রামের পটিয়া ও পাশ্ববর্তী অন্যান্য এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর সাম্প্রদায়িক ভুত চাপাতে চেয়েছে তাদেরকে ঘৃণা করি।


















সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৪২
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×