তার ছাড়াই আসবে বিদ্যুৎ
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের প্রাত্যহিক জীবন বলতে গেলে অচল। বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে আমাদের আশপাশে বৈদ্যুতিক তারের জটলা থাকে। তাতে ঝামেলা কি কম বেড়েছে? একটু ঝড়-বৃষ্টি হলেই তার ছিঁড়ে যায়, ফলে কয়েক ঘণ্টার জন্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলো অচল হয়ে যায়। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে নানা ধরনের ছোট-বড় দুর্ঘটনা, এমনকি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে বিদ্যুৎ ও বিদ্যুতের তার চুরির ঘটনা তো 'মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা' আছেই। এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেত যদি খুঁটি আর তার ছাড়াই মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কের মতো শুধু শক্তিশালী মাল্টি ইউজ টাওয়ার বসিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হতো। সেই টাওয়ারগুলো থেকেই ঘরে ঘরে 'বিম' করে দেওয়া যেত বিদ্যুৎ। বিজ্ঞানীরা এখন অবশ্য তার ছাড়াই বিদ্যুৎ বিম করতে সক্ষম হয়েছেন। ট্রায়ালেও সফল। ব্যাপক হারে প্রয়োগের জন্য জোর গবেষণা চালাচ্ছেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। তারা এই তারবিহীন বিদ্যুৎ পরিবহনের নাম দিয়েছেন উইটিসিটি। একটি তামার তারের কুণ্ডলী থেকে আরেকটি কুণ্ডলিতে পরস্পরের সংযোগ ছাড়াই বিদ্যুৎ পরিবহন করা যায়। পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলা হয় তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ। তারা এমন ট্রান্সমিটার তৈরি করেছেন যা সারা বাড়িতে এ আবেশ ছড়াবে। আবিষ্কারকদের মতে, এ তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ ঘরে অবস্থিত মানুষ-আসবাবপত্র ইত্যাদিতে এর কোনো প্রভাবই পড়বে না। একমাত্র যেসব প্রয়োজনীয় বস্তুতে থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা, কেবল সেগুলোই ওই চুম্বকীয় আবেশ গ্রহণ করবে। আবিষ্কার অবশ্য এখানেই থেমে থাকবে না আরও গবেষণা চলছে এবং তাদের আশা শুধু বাড়ির ভেতর নয়, এ পদ্ধতিতে বাইরেও বিদ্যুৎ বিম করা সম্ভব হবে। এর ফলে আগামী দিনে মাইলের পর মাইল ওভারহেড তার আর ছোট-বড় দৈত্যাকৃতি খুঁটি বসিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের বিশাল আয়োজনের সমস্যা থাকবে না। থাকবে গগনচুম্বী টাওয়ার। শক্তিশালী উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি ট্রান্সমিটার বসানো হবে সেখানে। এভাবে তৈরি হবে বিদ্যুৎ সরবরাহের নেটওয়ার্ক। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে তড়িৎ বিম হয়ে ট্রান্সমিশন লাইন অর্থাৎ ডিমান্ড সেন্টারে যাবে। সেখান থেকে ট্রান্সফরমার অর্থাৎ যেখান থেকে উচ্চক্ষমতা যুক্ত তড়িৎকে নিয়ন্ত্রিত করে কম ভোল্টেজে নামিয়ে এনে বিভিন্ন সেক্টরে সরবরাহ করা হবে। এর সঙ্গে কমে যাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের খরচও। তবে অভাবনীয় এ পদ্ধতিতেও বিদ্যুৎ চুরি এবং সিস্টেম লস হবে কিনা সে খবর এখনো জানা যায়নি। উন্নত প্রযুক্তি ও অভাবনীয় বৈজ্ঞানিক উন্নতির জমানায় আর কিছুই অসম্ভব নয়। সেদিন আর দূরে নয়, যেদিন মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কের মতো দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে সহজেই পেঁৗছে যাবে বিদ্যুৎ। সোরস: বিডিপ্রতিদিন।
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা
২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন
যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!
এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন
নিউ ইয়র্কের পথে.... ২
Almost at half distance, on flight CX830.
পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১
হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন
সামুতে আপনার হিট কত?
প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন
ল অব অ্যাট্রাকশন
জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন